বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস সংকটের মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসী ফেরত নিতে চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের উপর। এর মধ্যে তিন উপসাগরীয় দেশ বাহরাইন, কাতার ও কুয়েত সরকার জানিয়েছে, তারা প্রায় ৩৮ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাতে চায়। একইসঙ্গে সিঙ্গাপুর, কোরিয়া ও মালদ্বীপ থেকেও অভিবাসী ফেরত নেয়ার চাপ বাড়ছে বাংলাদেশ সরকারের উপর।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বৈঠকটিতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশ থেকে অভিবাসীদের ফেরত নিতে চাপ দিলে জোরপূর্বক ফেরত আসার ঝুঁকিতে পড়বেন ১ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী। সোমবার বৈঠক শেষে ইমরান আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মধ্যপ্রাচ্যীয় দেশগুলো বেশকিছু সময় ধরেই অনিয়মিত ও বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত নেয়ার চাপ দিচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারকে এসব অভিবাসীদের চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ফিরিয়ে আনতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ প্রত্যেক দেশের কাছে তারা যেসব বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাতে চান, তাদের তালিকা চেয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তবে তার আগে আমরা তালিকাটি খুঁটিয়ে দেখতে চাই।
বৈঠকে বলা হয়, কুয়েত ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ৩৫০ জনের তালিকা পাঠিয়েছে। দেশগুলো থেকে এত বিশাল সংখ্যক অভিবাসীদের আনতে মিত্রদের কাছ থেকে সহায়তা চাওয়ার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।