করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ত্রাণ বিতরণে যারা অনিয়ম দুর্নীতি করছে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। স্থানীয় জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দুদকের সব বিভাগীয় কার্যালয় ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়গুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুদকের জনসংযোগ পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিতে দুর্নীতির ন্যূনতম সুযোগ দেওয়া হবে না। কোনো ব্যক্তি যদি এ জাতীয় ত্রাণসামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। তাহলে তাদেরকেও আইনে আওতায় আনা হবে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুদকের সকল বিভাগীয় কার্যালয় ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়সমূহকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিশন জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক যেকোনো কর্মসূচিতে দুর্নীতির মত অপরাধ পশ্রয় দেবে না। আমি আগেও বলেছি, আজও বলছি, সংবিধান অন্যুায়ী অনুপার্জিত আয় ভোগ করার কোনো সুযোগ নাই। দুদক কাউকে অনুপার্জিত আয় ভোগ করার সুযোগ দেবে না।’
দুদক জানায়, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দাদের মাধ্যমে অবহিত হয়েছে, কতিপয় ব্যক্তি জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির ত্রাণসামগ্রী বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছেন। বিষয়টি অবহিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশনের প্রতিটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা স্থানীয় জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।