ওএমএস’র চাল কালোবাজারী ও মজুদের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য বিভাগ।
শনিবার (১১ এপ্রিল) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে দেশের সকল জেলা প্রশাসকদের এই নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরকারি ২২৬ বস্তা চালসহ ৭ জন আটক
চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ২’শটি দেশে করোনার সংক্রমন ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে এর সংক্রমন শুরু হওয়ার পর থেকেই তা মোকাবিলায় নানা রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ওএমএস খাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিকেজি চালের মূল্য ৩০ টাকার স্থলে ১০ টাকা নির্ধারন করা হয়। ঘোষনা দেয়া হয় সাধারন ছুটির। এরফলে নিজ নিজ বাড়িতে থাকা সাধারন শ্রমজীবী, দিনমজুর, রিক্সা-ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালাসহ সকল কর্মহীন মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্দেশনার প্রেক্ষিতে এরইমধ্যে ঢাকা মহানগরসহ দেশের সকল বিভাগ, জেলা শহর ও পৌর এলাকাগুলোতে সপ্তাহের রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলছে। সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত খালি যায়গা আছে এমন স্থান সমূহকে অস্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এবার জঙ্গল থেকে সরকারি চাল উদ্ধার, খাদ্য নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!
চিঠিতে মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ওএমএস’র চাল কালোবাজারে বিক্রি ও মজুদের খবর আসছে। যা মটেও কাম্য নয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা এ ধরনের কালোবাজারী বা মজুদদারদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি কোনো কর্মহীন মানুষ যেন এই কর্মসূচীর সুফল থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ নজর দিতে বলেন খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আরও পড়ুন: খাদ্য সংকটে রিকশা-ভ্যান-অটো চালক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা!
প্রশঙ্গত, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়তে ২০১৬ সাল থেকে দেশব্যাপী ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী’র আওতায় ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি শুরু করে সরকার। যেখানে নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে কার্ডধারীরা চাল কিনতে পারেন।