প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক জেলেদের জন্য মানবিক সহায়তার চাল বিতরণে নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হায়দার বকসীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ।
গত মঙ্গলবারে তিনি জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করেন । যেখানে ৪০ কেজি করে দুই মাসের চাল ৮০ কেজি পাওয়ার কথা সেখানে প্রতি কার্ডের বিপরীতে মাত্র ১৩-১৪ কেজি চাল পেয়েছেন জেলেরা ।কার্ডধারী অনেক জেলেই চাল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন । এতে জেলেরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় ।
জানা গেছে, জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা আহরণকারী জেলেদের জন্য মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য-২ অধিশাখা থেকে আন্ডারচর ইউনিয়নে জেলেদের জন্য ২০টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয় ।
জেলেরা অভিযোগ করে বলেন,আমাদের কার্ড আছে কিন্তু চাল পাইনি আমরা ।আমাদের মধ্যে যারা পেয়েছেন তারা ৪০ কেজির যায়গায় ১৩-১৪ কেজি করে পেয়েছেন ।
চাল কমের কথা বললে চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদেরকে মারধর করেন । জেলেরা সেনা বাহিনীর মাধ্যমে চাল বিতরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আহ্বান জানান ।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপিতে গেলে চেয়ারম্যান আলী হায়দার বকসীকে পাওয়া যায়নি । তাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন,আমি এ বিষয়ে পরে কথা বলবো । আমি এখন মাইজদীতে ব্যস্ত আছি ।
নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো: মোতালেব হোসেন বলেন,জেলেদের জন্য প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ৪০ কেজি করে দুইমাসের ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া
হয়েছে । কার্ডের বাহিরে কাউকে চাল বিতরণ করার নিয়ম নেই ।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জেহান বলেন,চাল বিতরণে অনিয়মের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন আমি বাস্তবায়ন
করবো । আমার উপজেলায় কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম সরদার বলেন, আন্ডারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত করে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।