উহানের সেই ল্যাবের পরিচালক অবশেষে মুখ খুলেছেন। বলেছেন, ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়ানো একেবারেই অসম্ভব একটা বিষয়। করোনা ভাইরাসে আতঙ্ক সামলে স্বাভাবিক হচ্ছে চীন আর এখনো ধুকছে গোটা বিশ্ব। করোনার ছোবলে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্সসহ নানান দেশ। অভিযোগ রয়েছে, চীনের উহানের ল্যাব থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শুরু হয়। যদিও শুরু থেকেই চীন বলে আসছে, করোনাভাইরাস প্রকৃতির পরিবর্তনের ফসল। আর উহানের এক বন্য প্রাণীর বাজার এর উৎপত্তি। অবশেষে মুখ খুলেছেন উহানের ওই ল্যাবের পরিচালক। বললেন, এটা একেবারেই অসম্ভব একটা বিষয়। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি হচ্ছে চীনের ওপর।
খোদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, ভাইরাসের সূত্রপাত নিয়ে চীন লুকোচুরি খেলছে। তাই তাদের বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে। এ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, যদি করোনাভাইরাস চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজি ল্যাব থেকে শুরু হয় তবে চীনকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এমন সময় স্থানীয় গণমাধ্যম সিজিটিএনকে দেয়া একা সাক্ষাৎকারে ল্যাবের পরিচালক ইউয়ান ঝিমিং বলেন, এ ল্যাব থেকে ভাইরাসটির সূত্রপাত একেবারেই অসম্ভব বিষয়। আমাদের কোনও স্টাফই আক্রান্ত হয়নি। পুরো ইনস্টিটিউট করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা যারা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছি এবং আমরা স্পষ্টভাবে জানি আমরা কোনও ধরণের গবেষণা করছি। একইভাবে আমরা অবগত আছি ইনস্টিটিউট ভাইরাস এবং স্যাম্পলগুলো কিভাবে ব্যবস্থাপনা করে।
ইউয়ান ঝিমিং দাবি করেন, এ নিয়ে কিছু মিডিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষের মাঝে ভুল ছড়াচ্ছে এবং অনুমান নির্ভর রিপোর্ট করছে।
২০১৭ সালে চীন উহান প্রদেশে এ উচ্চ প্রযুক্তসিম্পন্ন ল্যাব তৈরি করে। যেখানে ইবোলা, সার্সের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক কিছু ভাইরাস নিয়ে কাজ করার কথা জানায় বেইজিং। চীনা গবষেকরা দাবি করেন, গবেষণা ল্যাবটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। ল্যাবটি হুনানের সামুদ্রিক বাজার থেকে মাত্র ২০ মাইল দূরে অবস্থিত। ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী ওই বাজাররে একজন বিক্রেতা।