এপ্রিলের শুরু থেকেই ঢাকা শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে শহরের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা। বিশেষ করে ৪ এপ্রিল থেকে প্রতিদিনই দ্বিগুণ হারে আক্রান্ত হতে থাকে মানুষ। প্রথম সপ্তাহ শেষে দেশের মোট রোগীর ৫৬ শতাংশই শনাক্ত করা হয় ঢাকা শহরে। এরপর গত দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে ঢাকা শহর হয়ে পড়ে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হটস্পট। গত রবিবারও দেশের মোট রোগীর ৪০ শতাংশই ছিল ঢাকা শহরের।
অন্যদিকে গত ৫ এপ্রিল ঢাকা শহরসংলগ্ন জেলা নারায়ণগঞ্জে মোট রোগী ছিল মাত্র ১১ জন। তারপর থেকে প্রতিদিনই উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকে রোগী। গত দুই সপ্তাহে সেই রোগীর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৩৮৬ জনে। অর্থাৎ মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এ জেলায় রোগী বেড়েছে ৩৫ গুণ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ যে ৪৯২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা শহরে ও নারায়ণগঞ্জে। এমনকি এ সময় যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ৫ জন ঢাকার ও ৪ জন নারায়ণগঞ্জের।
ইতিমধ্যেই এ দুই জেলাকে দেশের মধ্যে করোনার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ঢাকা শহরের দুই এলাকা বাসাবো ও টোলারবাগ (বৃহত্তর মিরপুর) এবং গোটা নারায়ণগঞ্জকে ‘ক্লাস্টার জোন’ (এক এলাকায় কম দূরত্বে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত) ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা শহরের ১২৫ এলাকায় করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ দুই জেলায় লকডাউন চলছে। এ দুই জেলা থেকে বের হওয়া ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বরং দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
এ দুই জেলার কারণে দেশের আরও চার জেলা করোনার ‘হটস্পট’ হয়ে পড়েছে। জেলা চারটি হলো গাজীপুর, কেরানীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ। গত এক সপ্তাহ ধরেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের অনলাইনে প্রচারিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে প্রচার করে আসছে, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে যাওয়া ব্যক্তিরাই এ চার জেলায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। পরে সেখানে সামাজিকভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। গতকালের বুলেটিনেও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের ১৯ দশমিক ৫ শতাংশই গাজীপুরের ও ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ কিশোরগঞ্জের।
এসব হটস্পটে সংক্রমণ থামানো যাচ্ছে না কেন জানতে চাইলে এসব জেলার সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব জেলায় লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। ক্লাস্টার জোন ও হটস্পট ঘোষণা দিলেও এখনো এসব এলাকায় পরীক্ষার সংখ্যা কম এবং কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। বিশেষ করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এখনো মানুষ বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে ও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এর বাইরে গাজীপুর, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম কারণ গার্মেন্টস খোলা ও বন্ধ করার ঘোষণা।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, একবার গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্তের পর গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার আশপাশে প্রচুর গার্মেন্টসকর্মী প্রবেশ করে। এদের বেশিরভাগই আসে কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও ময়মনসিংহ থেকে। এরা আসার সময় রাস্তায় রোগটি ছড়াতে ছড়াতে আসে। পরে যখন গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা করা হয়, তখন এরা কিছুদিন অবস্থান করার সময় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে রোগটি ছড়াতে থাকে। পরে লকডাউন ঘোষণা করা হলে এরা যে যেভাবে পাড়ে নিজ নিজ এলাকায় চলে যায় এবং এখনো যাচ্ছে। ফলে অন্য জেলাগুলোতেও রোগটি সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে।
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের উচিত ছিল এরা যে যেখানে ছিল, সেখানেই আটকে দেওয়া এবং ব্যাপকহারে পরীক্ষা করে সন্দেহজনকদের শক্তভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা। কিন্তু সেটি হয়নি। এখনো যদি এসব হটস্পটে ঠিকমতো পরীক্ষা করা হয়, স্থানান্তর বন্ধ করা যায় ও শক্তভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা যায়, তাহলেও সংক্রমণ ঠেকানো যাবে। তবে ইনকিউবেশন পিরিয়ড অনুযায়ী এসব ব্যক্তি এসব জেলায় মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রোগটি ছড়াবে। আর যদি এদের নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে আরও বেশি সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়বে এবং সংক্রমণ সময় আরও বাড়বে।
ঢাকায় কেন বাড়ছে : দেশে এখন করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। গত রবিবার প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মোট ২ হাজার ৪৫৬ রোগীর মধ্যে ঢাকা শহরে ৯৭৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঢাকায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে কেন জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাঁচটি কারণে ঢাকায় রোগী বাড়ছে। এগুলো হলো প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে এসে কিছুদিন ঢাকায় ছিলেন। এ সময় তারা নানাজনের সঙ্গে মিশেছেন। প্রবাসীদের একটি সংখ্যক দেশে ফিরে গ্রামে গেলেও ঢাকায় তারা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। শপিং করেছেন। ঘুরে বেরিয়েছেন। এখানে বস্তি ও বস্তির মতো অনেক এলাকা রয়েছে। সেখানে লোকজন গাদাগাদি করে থাকেন। একজন আরেকজনের সংস্পর্শে যান। এসব জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা কম। এছাড়া ঢাকা সবচেয়ে ঘনবসতি এলাকা। লকডাউনের সময়ও এখানে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা খুব কঠিন। কেউ মানতে চান না। মূল সড়কে লোকজন না এলেও পাড়া-মহল্লার গলিতে আড্ডা দেন। সামাজিক দূরত্ব মানেন না। এমনকি ঢাকায় যেভাবে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে, সেটা ঠিকমতো হচ্ছে না। তাছাড়া এখনো ঢাকা থেকে লোকজন অন্য জায়গায় যাচ্ছেন। ফলে অন্য জেলাগুলোও আক্রান্ত হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জে কোনো ব্যবস্থা নেই : জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হটস্পট হলেও এখানে রোগটির সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। পরীক্ষার সংখ্যা যেমন কম, তেমনি সন্দেহজনকদের আলাদা রাখতে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা নেই। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ থেকে লোকজনের অন্যত্র যাওয়া-আসা ঠেকানোর কোনো উদ্যোগই নেই। এখানে আটকে পড়া গার্মেন্টস শ্রমিকরা এখনো বিভিন্ন জেলায় তাদের নিজ নিজ গ্রামে ফিরে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর জেলার পুরান কোর্ট এলাকায় ৫০ শয্যার একটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন খোলা হয়। কিন্তু সেখানে একজন রোগী বা সন্দেহজনক ভর্তি হয়নি। এখন সেটি বন্ধ। পরবর্তী সময়ে জেলায় ৩০০ শয্যার একটি হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু করা হয় এবং সেখানে ১০ শয্যার আইসিইউসহ ৫০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়। সেখানে গত রবিবার পর্যন্ত মাত্র ১৮ জন রোগী ভর্তি ছিল। সেটার অবস্থাও দুর্বল। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রতিদিনই অনেক মানুষ বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। সেটা আটকানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। এছাড়া গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর পাঁচ লাখের মতো লোক জেলায় ঢোকে। পরে বন্ধ ঘোষণা করলে এরা যে যার মতো করে নিজ নিজ জেলায় চলে যায়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলার সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহমেদকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটা ঘনবসতিপূর্ণ এবং শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। অল্প জায়গায় মানুষ বেশি। নারায়ণগঞ্জে অনেক ইতালিফেরত মানুষ আছে। ওদের সত্যিকার অর্থে আমরা চিহ্নিত করতে পারিনি। তাছাড়া এখানকার শ্রমিকরা পালাচ্ছে। আমরা সেটাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না।
কিশোরগঞ্জ করোনার হটস্পট : কিশোরগঞ্জ জেলাকে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস বিস্তারের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে গত রবিবার পর্যন্ত মোট ৭৭ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর আগে শনিবার রোগী ছিল ৫৪ জন। এক দিনেই বেড়েছে ২৩ জন।
কেন সংক্রমণ বাড়ছে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কারণে এ জেলায় করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঘটছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে। শতভাগ লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইন বাস্তবায়ন করা হলে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
গাজীপুর করোনার নতুন হটস্পট : রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা গাজীপুরকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর হটস্পট হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল পর্যন্ত জেলায় মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬১ জন। কীভাবে হটস্পট হলো জেলাটি জানতে চাইলে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর অংশ হিসেবে জেলাটিতে লকডাউন কার্যকর করা যাচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ গার্মেন্টস খোলা রাখা। প্রথম দিকে জেলাটি অনেক ভালো ছিল। হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার কারণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। কিন্তু পরেরবার যখন গার্মেন্টস কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হলো আর শ্রমিকরা বেতনের আশায় ফিরতে শুরু করল তখনই অবস্থা পাল্টে যায়। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের সঙ্গেও জেলার যোগাযোগ চালু ছিল। তবে এখনো অন্য কারখানাগুলো তেমন সংক্রমিত হয়নি। আরেকটি কারখানায় একজনের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সে এখন কারখানাতেই অবস্থান করছে। এ অবস্থার মধ্যে যদি আবারও কারখানাগুলো খুলে যায়, আবার যদি শ্রমিক আসা-যাওয়া করে তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে কেরানীগঞ্জ ও ময়মনসিংহ : মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হলো কেরানীগঞ্জ। এক সপ্তাহ আগে যেখানে কোনো রোগী ছিল না, সেখানে গত সাত দিনে ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে, ১০ জন হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছে এবং বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ পর্যন্ত ১০৭টি টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৪টি রিপোর্ট হয়েছে আর ৩৩টি বাকি। এখানকার পাঁচটি ইউনিয়ন লকডাউন করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জে করোনা রোগী বাড়ার কারণ হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, কেরানীগঞ্জের একটা পাশ নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে সংযুক্ত। নারায়ণগঞ্জের অবস্থা খারাপ হওয়াতে সেখান থেকে লোক ভয়ে নৌকায় পার হয়ে কেরানীগঞ্জ চলে আসছে। আমাদের এখান থেকে নৌকা পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ থেকে ঠিকই আসছে। এভাবে নারায়ণগঞ্জ থেকে মানুষ আসতে থাকলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে। তাছাড়া কেরানীগঞ্জের আগানগর, জিনজিরা ও শুভাঢ্য এ তিনটি ইউনিয়নে করোনা আক্রান্ত বেশি। কারণ হচ্ছে, প্রশাসনের বারবার সতর্ক করার পরও এখানে এলাকাবাসী সামাজিক দূরত্ব মানছে না, সচেতন হচ্ছে না। ফলে এলাকায় সামাজিকভাবে সংক্রমণ বাড়ছে।
এছাড়া ময়মনসিংহে গত রবিবার পর্যন্ত মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ২১ জন। এখানে রোগী বাড়ার কারণ হিসেবে গার্মেন্টস কারখানা খোলা ও বন্ধের সিদ্ধান্তকে দায়ী করেন জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তাদের মতে, এসব জেলার লোক গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে কাজ করে বেশি। এরা দুবার আসা-যাওয়া করার ফলে সংক্রমন বেড়েছে। এখনো অনেক লোকজন আসছে।