নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিদের এমপিওভুক্তিতে কোনো প্রকার ঘুষ-দুর্নীতি-হয়রানি সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। বলেছেন, ঘুষ নেয়া যেমন অপরাধ, দেয়াও তেমন অপরাধ। তাই যারাই এ কাজে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্রবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের আলোকে দেশের নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিদের এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে নতুন এমপিওভুক্তিতে ঘুষ নেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক শিক্ষক-কর্মচারি দুদকে অভিযোগ পাঠিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, দুদকে আসা ওইসব অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হচ্ছে যে, কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে কোনো কোনো উপজেলা শিক্ষা অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস এবং আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসসমূহের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারি তাদের কাছে অনৈতিক অর্থ দাবি করছেন। আর ইতিমধ্যে কমিশনের গোয়েন্দা অনুবিভাগ এসব অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করেছেন।
আর এ প্রেক্ষাপটে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দুদকের গোয়েন্দা অনুবিভাগ, সকল সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) এবং বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক এক বার্তায় নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষক-কর্মচারিদের এমপিওভুক্তিকরণে কোনো প্রকার দুর্নীতি-অনিয়ম-হয়রানি কমিশন সহ্য করবে না। সজেকার কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ এই এমপিওভুক্তিকরণ কার্যক্রম নিবিড় নজরদারি করবেন। তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই কোনো অযোগ্য শিক্ষক যেন ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হতে না পারেন। আবার কোনো যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারির নিকট থেকে সংশ্লিষ্ট অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারি যাচাই-বাছাইয়ের নামে ঘুষ গ্রহণ করার সুযোগও যেন না পায়।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এ কার্যক্রম এমনভাবে মনিটরিং করতে হবে, যাতে কারো পক্ষে ঘুষ দেয়া এবং ঘুষ নেয়ার সুযোগ না থাকে। প্রয়োজনে ফাঁদ পেতে মামলা পরিচালনা করে অপরাধীদের আইন-আমলে নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে ঘুষ নেয়া যেমন ফৌজদারি অপরাধ, তেমনি ঘুষ দেয়াও একই জাতীয় (সমান) অপরাধ। এ অপরাধে যারাই সম্পৃক্ত হবেন তাদেরকে আইনের মুখোমুখি করা হবে।