বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেদের টাকায় ত্রাণ নিয়ে দুস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সারা দেশে ১৩ লাখ পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী দিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের ত্রাণ পাই না। তার পরও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ত্রাণ বিতরণ করছি। সারা দেশে ১৩ লাখ পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা করা হয়েছে। এটিই হলো বিএনপি।
বিএনপি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা ত্রাণ সহায়তা করছেন। কিন্তু সরকারের এটি সহ্য হচ্ছে না। বিএনপি ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। হয়রানি করা হচ্ছে। যারা সত্য কথা বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। অনেক সাংবাদিক ও ব্লগারকে ডিজিটাল আইনে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রংপুর-কুড়িগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থানে মানুষ খাদ্যের জন্য বিক্ষোভ করছেন। ত্রাণের ট্রাক আটকে দিচ্ছে, লুট করছে। কখন মানুষ এই কাজ করে, যখন পেটের মধ্যে খুদায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে। এ রকম পরিস্থিতিতে মানুষের টাকায় কেনা ত্রাণ গরিব অসহায় মানুষকে না দিয়ে আওয়ামী লীগের লোকেরা আত্মসাৎ করছে।
রোববার সকালে রাজধানীর বাড্ডায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এমএ কাইয়ূমের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় তিনি এ কথা বলেন।
সরকার মহামারী বিস্তারের সুযোগ করে দিয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, মানুষের কি হবে সরকার সে চিন্তা না করে লকডাউন খুলে দিয়েছে। দোকানপাট খুলে দিয়েছে। চার মাস মানুষকে খাওয়ানো যেত। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেত। কিন্তু সরকার ওই দিকে যায়নি। সরকারের টাকা দরকার। মানুষের জীবন বেঁচে থাকা সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। লকডাউন খুলে দেয়ায় সারা দেশে গণসংক্রমণ হচ্ছে। গণসংক্রমণ রোধ করা যেত। সরকার তা না করে মহামারী আরও বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।