পৃথিবীর যে প্রান্তেই খেলতে যান না কেন, ভক্তদের সমর্থন পান। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মত দেশগুলিতেও অনেক সময় স্বাগতিক দর্শকের চেয়েও বেশি দেখা যায় ভারতীয় দর্শক। তবে রোহিত শর্মা ব্যতিক্রম দেখেছেন বাংলাদেশে। ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান বলছেন, বাংলাদেশে তারা একদমই সমর্থন পান না। গতপরশু রাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে সরাসরি অনলাইন আড্ডায় যোগ দেন এই ভারতীয় ওপেনার। দুজন খোশ মেজাজে ক্রিকেট ও ক্রিকেটের বাইরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করেন। সেখানেই নিজের আক্ষেপের কথা জানালেন মারমুখী এই ব্যাটসম্যান।
কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘চিরশত্রু’ আবহটা ছিল না। কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর পাল্টে গেছে গোটা চিত্র। ওই ম্যাচে আম্পায়ারদের কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গিয়েছিল ভারতের পক্ষে। সেসব নিয়ে এখনও ক্ষোভ জমা রয়েছে বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটপ্রেমীর মনে। তা ছাড়া, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেও ভারতের কাছে হেরে শিরোপাবঞ্চিত হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে, ২০১৮ সালের নিদহাস ট্রফি আর এশিয়া কাপের ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিল একেবারে শেষ বলে। সেই দুঃসহ স্মৃতিগুলোর ক্ষতও বয়ে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশের সমর্থকদের বড় একটি অংশ।
সবকিছু মিলিয়ে তাই বাংলাদেশের মাঠে সমর্থন পাওয়ার কথা নয় ভারতের। রোহিতও তা টের পেয়েছেন। ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিকের ভাষায়, ‘আমরা যখন (বাংলাদেশের) মাঠে খেলতে নামি, এটা একেবারে অবিশ্বাস্য। কারণ, মাঠে সমর্থন না থাকার সঙ্গে ভারত (জাতীয় ক্রিকেট দল) অভ্যস্ত না। বাংলাদেশই একমাত্র জায়গা, যেখানে আমরা কোনো সমর্থনই পাই না। বিশ্বের যেখানেই আমরা খেলতে যাই না কেন, সমর্থন পাই। অনেক ভক্ত মাঠে আসেন এবং আমাদের খেলা দেখেন। কিন্তু একমাত্র স্থান হিসেবে বাংলাদেশে আমাদের কোনো সমর্থন জোটে না।’
তখন হাসতে হাসতে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম বলেন, ‘তারা (মাঠে উপস্থিত দর্শকরা) আমাদেরকে সমর্থন দেন। তারা পুরোপুরিভাবে আমাদের সমর্থনে থাকেন।’ তবে তামিমের কাছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশংসা করতেও কার্পণ্য করেননি রোহিত, ‘তাদের প্রত্যেককে টুপি খোলা সম্মান জানাচ্ছি, যারা মাঠে আসেন এবং খেলা দেখেন। আমি দেখেছি তারা খেলা কতটা উপভোগ করেন আর কী দারুণভাবে তোমাদের জয় কামনা করেন। আর বাংলাদেশ দলও ১০-১৫ বছর আগে যা ছিল, এখন পুরোপুরি বদলে গেছে। তোমরা এখন যখন মাঠে নামো, তোমাদের মধ্যে লক্ষ্য ও তাড়না দেখা যায়। এটা ভিন্ন এক বাংলাদেশ দল। এটা শুধু আমি নই, সবাই বলে। তোমাদের পারফরম্যান্সেই সেটা দেখেছি গত বিশ্বকাপে ও গত ২-৩ বছরের পারফরম্যান্সে।’