করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চিকিৎসা খাতকে আরও শক্তিশালী করতে শিগগিরই পাঁচ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
রোববার দুপরে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে করোনা মোকাবিলায় ২ হাজার বেডের অস্থায়ী হাসপাতাল কেন্দ্র উদ্বোধনকালে তিনি একথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ২ হাজার চিকিৎসক ও ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা খাতকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন আরও অন্তত ৫ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজ চলমান রয়েছে। খুব দ্রুতই এই টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দেওয়া হবে।’
বসুন্ধরা করোনা ডেডিকেটেড অস্থায়ী হাসপাতালকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোভিড হাসপাতাল উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র ২০ দিনের মধ্যে এই হাসপাতালটি (বসুন্ধরা অস্থায়ী কভিড হাসপাতাল) সরকার প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছে। এখানে অত্যাধুনিক মোট ২ হাজার ১৩টি আইসোলেটেড শয্যা রয়েছে, যার মধ্যে ৭১টির সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার যুক্ত করা রয়েছে।
এ ছাড়া আরও অন্তত ৪০০টি পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। আইসিইউ ব্যবস্থাসহ এই হাসপাতালটি উন্নত দেশের কোভিড অস্থায়ী হাসপাতালের থেকে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই, যোগ করেন জাহিদ মালেক।
করোনা মোকাবিলায় দেশে এখন প্লাজমা থেরাপির কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমেরিকার উৎপাদিত ওষুধ রেমডেসিভির এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে এবং সরকারের নিকট এই ওষুধ মজুদ করা হচ্ছে।’
এ সময় নন কোভিড হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের বাধ্যতামূলক চিকিৎসার জন্য সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে করোনার লক্ষ্মণ থাকলে সে তথ্য গোপন না করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
লকডাউন শিথিল করা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক জানান, ‘সরকার প্রথম থেকেই একটি সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনায় কাজ করেছে। যখন লকডাউন জরুরি ছিল তখনই লকডাউন করা হয়েছে, যখন শিথিল করা প্রয়োজন তখন স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সাপেক্ষে শিথিল করা হয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে সরকার যা কিছু করছে তা ভেবেচিন্তেই করছে।’
মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি দেশ অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রেহাই পাবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।