করোনা পরিস্থিতিতে বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য নানা কৌশল করছিল পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি পরিবহন মালিক সমিতি। তবে নানা টালবাহানার পর অবশেষে রাস্তায় গাড়ি নামাতে বাধ্য হলেন তারা। বৃহস্পতিবার থেকে অধিকাংশ বাসই রাস্তায় চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন তারা। আর বাস-মিনিবাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলবে পুরনো ভাড়াতেই।
বুধবার কলকাতার সংবাদমাধ্যম জানায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বেসরকারি গণপরিবহনের মালিকেরা রাস্তায় গাড়ি নামানোর ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ানোর দাবি তুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার এই আবদার-চাপ কোনও কিছুতেই টলেনি। বরং সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই অবস্থায় ভাড়া বাড়লে দীর্ঘদিন আয়-রোজগার ছাড়া কাটানো মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত পুরনো ভাড়াতেই রাস্তায় গাড়ি নামানোর সিদ্ধান্ত নেন মালিকরা। এক্ষেত্রে অবশ্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে যত আসন তত যাত্রী বসানোর দাবি আদায় করে নেন তারা।
বাস-মিনিবাস রাস্তায় নামানোর আগে তাদের ভাড়া বাড়ানোর দাবির বিষয়ে বুধবার আলোচনায় বসে সরকার। এতে মালিকপক্ষের লোকজনও অংশ নেন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মানুষের অসুবিধার কথা চিন্তা করে ধীরে ধীরে সব রুটে বাস নামাতে হবে। মালিকরা এই মুহূর্তে ভাড়া বাড়ানোর দাবি তুললেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। পরে মালিকরা সরকারের কাছে একটা সময়ে গিয়ে ভাড়া বাড়ানোর দাবি তোলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সিদ্ধান্তের ভার এ সংক্রান্ত রেগুলেটরি কমিটির ওপর ছেড়ে দেয়। তারা পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত জানাবে যে, কখন কতো শতাংশ হারে ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর হতে পারে।
বাস-মিনিবাস পথে নামার পর পশ্চিমবঙ্গের গণপরিবহন ব্যবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অটো-ট্যাক্সি-ক্যাবে যত আসন, তত যাত্রী নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও মিলেছে। চালু হয়েছে নৌপরিবহনও। সম্প্রতি চালু হয়েছে সরকারি গণপরিবহনও।