বাংলাদেশ থেকে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় আশাপ্রদ ফলদায়ক অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির নিতে একটি প্রাইভেট বিমান ভাড়া করেছেন করাচি-ভিত্তিক ব্যবসায়ী, এজিপি ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান তারেক মঈনুদ্দিন খান।
বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা বেক্সিমকো তারেক খানের কাছে বেমসিভির আইভি ইনফিউশন (রেমডেসিভির)-এর ৪৮টি শিশি প্রতিটি ৬৫ ডলার মূল্যে বিক্রিতে সম্মত হয়েছিল। ইনজেকশনযোগ্য শিশিগুলি চারটি রোগীর চিকিৎসার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল যারা করোনভাইরাসে ভুগছিলেন এবং প্রাণঘাতী সংক্রমণের একটি জটিল পর্যায়ে প্রবেশ করেছিলেন। সমস্ত রোগী রেমডেসিভিরের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে।
পাকিস্তান টুডে প্রাপ্ত নথিগুলোতে দেখা যায়, ডিআরপি (ড্রাগ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ পাকিস্তান) ড্রাগ (আমদানি ও রফতানি) বিধি অনুযায়ী জনাব খানকে ‘অনিবন্ধিত ওষুধ রেমডেসিভির’ আমদানির জন্য অনাপত্তি দিয়েছে। জনাব খানের অনুরোধে ডিআরপি-র সিইও ডা. অসীম রউফ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ড্রাগটি আমদানির অনুমোদন দিয়েছেন।
ঢাকায় গিয়ে ওষুধ সংগ্রহ ও ইসলামাবাদে ফিরে আসতে ভারতের কাছে তার আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক বেসরকারী জেট চার্টার সংস্থা প্রিন্সি জেটস (প্রাইভেট) লিমিটেড। ইসলামাবাদে চিকিৎসাধীন রোগীদের চিকিৎসায় এসব ওষুধ ব্যবহার করা হবে।
হেপাটাইটিস-সি’র চিকিৎসার জন্য প্রথমে রেমডেসিভির তৈরি হয়েছিল। তবে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল অবস্থার বিভিন্ন চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি যথেষ্ট আশাপ্রদ ফল দিয়েছে। এর আগে সেভার একুইট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (এসএআরএস), মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (এমইআরএস) এবং ইবোলা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কিছু আশাপ্রদ ফল দেখিয়েছিল, যদিও এগুলোর কোনটির চিকিৎসায় এটি এখনও অনুমোদিত নয়।
বিশ্বজুড়ে এবং বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা মৃত্যুর পরিসংখ্যানের প্রেক্ষিতে দেশটির ফেডারেল ড্রাগস, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে সন্দেহভাজন বা পরীক্ষায় নিশ্চিত মারাত্মক কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় ১ মে রেমডেসিভিরের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।