জনগণের সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত (৬ জুন) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৫ হাজার ৯৯৯ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের শুরু থেকে একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন এ বাহিনীর সদস্যরা।
অন্যদিকে সুচিকিৎসা ও সুনিবিড় পরিচর্যায় বুধবার পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ২ হাজার ৪৪৫ জন পুলিশ করোনাজয় করে সুস্থ হয়েছেন। চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এক সিভিল স্টাফসহ পুলিশের ১৭ সদস্য শাহাদাতবরণ করেছেন।
পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ৫ হাজার ৯৯৯ জন আক্রান্ত সদস্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশেরই সদস্য ৮০৯ জন। অন্যদিকে করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় এবং কারও কারও মধ্যে করোনার মতো উপসর্গ থাকায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬ হাজার ৭২৩ সদস্য, এবং আইসোলেশনে রয়েছেন ১৯৯৫ জন।
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে পুলিশ সদস্যরা দেশের সেবায় পুনরায় আত্মনিয়োগ করছেন। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেছেন করোনা আক্রান্ত এক-তৃতীয়াংশ পুলিশ সদস্য।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘মাঠে নিয়োজিত সদস্যরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সুরক্ষিত থাকতে পারেন, সেজন্য সচেতনতার পাশাপাশি সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি জানানো হচ্ছে। সিনিয়র অফিসাররাও বিভিন্ন ইউনিটে গিয়ে তাদের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলছেন। সুরক্ষা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক সরবরাহে এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে’।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে আক্রান্ত পুলিশদের জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সব পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে।