মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়ায় এবার শেনজেন সীমান্ত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে চীন, মিয়ানমার, ভারতসহ বিশ্বের ৫৪টি দেশের নাগরিকরা শেনজেন জোনে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে।
শেনজেন জোন মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের আওতাভুক্ত ২২টি দেশ এবং এর বাইরের চারটি দেশ নিয়ে গঠিত। এটি ইইউর পাসপোর্ট ফ্রি জোন হিসেবে পরিচিত। এই সীমান্ত দিয়ে যেকোনো দেশের নাগরিক শেনজেনভুক্ত যেকোনো সদস্য দেশ সফর করতে পারেন। এমনকি এই সীমান্তে কোনো চেকপোস্টও নেই।
এক বিবৃতিতে ইইউ জানায়, প্রত্যেক দেশের মহামারি পরিস্থিতি, করোনার বিরুদ্ধে নেয়া পদক্ষেপ, ভ্রমণের সময় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে কি না, এসব বিষয় যাচাই করে এ তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ জুন ইউরোপীয় কমিশনে শেনজেন সীমান্ত পুনরায় খুলে দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। সুপারিশে বলা হয়, ইউরোপীয়রা মহামারির আগে শেনজেন অঞ্চলে যেভাবে অবাধ চলাচল করতে পারতেন, সীমান্ত খুলে দেয়া হলে যেন একইভাবে অবাধ চলাচল করতে পারেন। পাশাপাশি ইইউর সদস্য দেশগুলোতে তৃতীয় দেশের নাগরিকদের প্রবেশ করতে দেয়া উচিত।
যে ৫৪ দেশের নাগরিকরা ইইউ যেতে পারবেন
আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, অ্যান্ডোরা, অ্যাঙ্গোলা, অস্ট্রেলিয়া, বাহামাস, ভুটান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কানাডা, চীন, কোস্টারিকা, কিউবা, ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া, ডোমিনিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, জর্জিয়া, গায়ানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জ্যামাইকা, জাপান, কাজাখস্তান, কসোভো, লেবানন, মৌরিশাস, মোনাকো, মঙ্গোলিয়া, মন্টিনিগ্রো, মরক্কো, মোজাম্বিক, মিয়ানমার, নামিবিয়া, নিউজিল্যান্ড, নিকারাগুয়া, পালাউ, প্যারাগুয়ে, রুয়ান্ডা, সেইন্ট লুসিয়া, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তিউনিশিয়া, তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, উগান্ডা, ইউক্রেন, উরুগুয়ে, উজবেকিস্তান, ভ্যাটিকান সিটি, ভেনিজুয়েলা, ভিয়েতনাম এবং জাম্বিয়া।