মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে পৃথিবীর অনেক দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরলে সাধারণত অস্বস্তি লাগে এবং শ্বাস নিতে অনেক সময় কষ্ট হতে পারে। মাস্ক পরার কারণে মুখ লাল হয়ে যায়। নাক-মুখে দাগ পড়াসহ ব্রণও হতে পারে। তৈলাক্ত ও শুষ্ক উভয় ত্বকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হতে পারে।
তবে তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া অ্যাজমা রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে মাস্কের ঘর্ষণ ও সেখানে আটকে থাকা ঘাম থেকেই এই ব্রণ হয়ে থাকে।
ব্রণ কেন হয়
শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার সময় মাস্কের মধ্যে উষ্ণ বাতাস আটকে সৃষ্টি হয় ‘ডেমোডেক্স’ নামক ব্যাক্টেরিয়ার, যা থেকে ব্রণের সৃষ্টি হয়।
কী করবেন-
১. যাদের এলার্জির ও ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তারা তিন স্তরের সুতি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। মাস্কের ভেতরে জমা বাষ্প বা ঘাম মুছে নিতে হবে।
২. ঘন ঘন মুখ ধুয়ে ফেলুন ও ব্যবহার করা মাস্ক প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। মাস্ক রোদে শুকালে সবচেয়ে ভালো।
৩. বাইরে বের হওয়ার পর যদি মাস্ক খোলার সুযোগ থাকে তবে ৪ ঘণ্টা পর পর মাস্ক খুলতে পারলে ত্বকের জন্য ভালো।
৪. বাইরে বের হলে সঙ্গে একাধিক মাস্ক রাখুন। একটি নষ্ট হয়ে গেলে আরেকটি ব্যবহার করুন।
৫. বাইরে থেকে ঘরে ফিরে মুখ ধোয়ার জন্য মৃদু ও পানি নির্ভর ফেসওয়াস ব্যবহার করুন। মাস্ক পরার এক ঘণ্টা আগে মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ব্রণ না কমলে চিকিৎকের পরামর্শ নিন।