চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানায় একসঙ্গে পাঁচ সন্তান প্রসব করেছেন এক মা। তবে অপরিণত সময়ে জন্ম হওয়ায় প্রসবের পরপরই হাসপাতালেই মারা যায় তিন শিশু। আলোচিত এই ঘটনা ঘটেছে কচুয়া টাওয়ার হাসপাতাল নামে বেসরকারি একটি ক্লিনিকে।
শনিবার (১৫ আগস্ট) রাতে এই ঘটনার পর জীবিত অন্য দুই শিশু নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন ওই প্রসূতি মা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মারুফা বেগম (২৫) এক প্রসূতি।
প্রসূতির বর্ণনা শুনে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন। এসময় প্রসব ব্যথা তীব্র হতে শুরু করলে মারুফা বেগমকে দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বাভাবিকভাবে পরপর পাঁচটি সন্তান প্রসব করেন মারুফা বেগম। এরমধ্যে চারটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে।
তবে অপরিণত হওয়ায় জন্মের অল্পে সময় পরেই তিন শিশু মারা যায়। এদিকে, রাতেই জীবিত অন্য দুই শিশু নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন ওই প্রসূতি মা।
কচুয়া টাওয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক সিনথিয়া সাহা জানান, মূলত অপরিণত হয়ে জন্ম হওয়ায় তিন শিশু হাসপাতালে মারা যায়।
তিনি আরো জানান, স্বাভাবিক প্রসব হলেও জীবিত অন্য দুই শিশু বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা কম।
জানা গেছে, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকড়ই গ্রামের কৃষক মো. ইউনুসের স্ত্রী মারুফা বেগম। তবে প্রসব ব্যথার আগে মারুফা তার বাবার বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আন্দিরপাড়ে অবস্থান করছিলেন।
অন্যদিকে, কচুয়ায় একসঙ্গে পাঁচ সন্তান প্রসব! এমন সংবাদ আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের সামনে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়।