ভারত তার দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে মর্যাদার প্রশ্নে কিছুটা কোণঠাসা। নয়াদিল্লি এই মুহূর্তে কেবল তার ঐতিহ্যগত প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গেই নয়, তার তিক্ততা দেখা দিয়েছে নেপাল, বাংলাদেশ এবং সম্ভবত শ্রীলংকার সঙ্গেও । এটা এমন এক সময় ঘটছে যখন সে তিব্বত সীমান্ত সংলগ্ন চীন সীমান্তে চাপের মুখে পড়েছে। বর্তমানে গোটা অঞ্চলের মধ্যে কেবলমাত্র মালদ্বীপ ভারতের জন্য অপেক্ষাকৃত একটা ভালো বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
চলতি বছরের মে মাসে নেপালী প্রধানমন্ত্রী কে. পি. `শর্মা অলি ভারতকে একটা বিস্ময় উপহার দিয়েছেন । তিনি একটা নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছেন । তিনি তাতে দাবি করেছেন ভারতীয় ভূখণ্ড হিসেবে পরিচিত কিছু অংশ নেপালের হিসেবে । এই নতুন মানচিত্র থেকে দেখা যাচ্ছে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অন্তর্গত কালাপানি, লিম্পিয়াধুরা এবং লিপুলেখ এলাকা নেপালের অন্তর্গত । এসব অঞ্চলকে দেখানো হয়েছে নেপালের সুদূরপশ্চিমের পৌরসভা –বিয়াস রুরাল মিউনিসিপ্যালিটির অংশ হিসেবে।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নেপালের ভূমি ব্যবস্থাপনা সমবায় এবং দারিদ্র্য বিমোচন মন্ত্রী পদ্ম কুমারি আরিয়াল বলেছেন, এই মানচিত্রের কার্যকরিতা অবিলম্বে বাস্তবায়িত হবে এবং তিনি একই সঙ্গে উল্লেখ করেন যে, কালাপানির নিকটবর্তী গুঞ্জি, নাভি এবং কুটি যা ইতিপূর্বেকার মানচিত্রে বাদ পড়েছিল, তাও নতুন মানচিত্রের অংশ হিসেবে গণ্য হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেপালের নেয়া এই পদক্ষেপকে একটি ‘একতরফা পদক্ষেপ’ এবং ‘ঐতিহাসিক তথ্য এবং সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে করা নয়’ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে ।
ভারতীয় সরকারের বিবৃতিতে নেপালের দাবি নাকচ করে বলা হয়েছে, কূটনৈতিক সংলাপের মধ্য দিয়ে অনিষ্পন্ন সীমান্ত সমস্যা সমাধানের যে দ্বিপক্ষীয় বোঝাপড়া দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান, সেটা এই পদক্ষেপের ফলে একটা সাংঘর্ষিক অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। এই বিবৃতির ফলে নেপালে বিরাট প্রতিবাদ সমাবেশ দেখা গেছে । ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং উত্তরখণ্ডের ধারচুলা এবং লিপুলেখের মধ্যবর্তী ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক উদ্বোধন করেন। এর লক্ষ্য হচ্ছে তিব্বত সীমান্ত এলাকার সঙ্গে ভারতীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন নিশ্চিত করা। ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এম. এম. নারাভানে উল্লেখ করেছেন যে, নেপাল সম্ভবত অন্য একজনের পক্ষে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। নাম উল্লেখ না করলেও দেশটি যে চীন, সে বিষয়ে নেপালীদের মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। আর সে কারণেই নেপালে ক্ষোভ আরো বেশি তীব্রতা পেয়েছে।
নেপালের নতুন মানচিত্র ইতিমধ্যেই নেপালী পার্লামেন্টে অনুমোদিত হয়েছে। এখন ক্ষমতাসীন অলি সরকার এই নতুন মানচিত্র জাতিসংঘসহ অন্যান্য বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠানে প্রেরণের পরিকল্পনা করছেন । এদিকে প্রতীয়মান হচ্ছে যে অলি একটা খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছিলেন। এখন সেটা বেশি খারাপের দিকে রুপ নিচ্ছে । কারণ তাকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে অপসারণে ভারতীয় প্রচেষ্টা রয়েছে বলে মনে করা হয়। এই অবস্থা তার নিজ দলের সদস্যদেরকেও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে । এই দলের একজন সদস্যের কথায়, ভারত যদি নির্দিষ্ট করে প্রমাণের (মানচিত্র বিষয়ে) দাবি তোলে, তাহলে আমাদেরকে তা প্রমাণ করতে হবে, কিংবা পরিণতি ভোগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে । সাম্প্রতিককালে অলি অবশ্য ভারতবিরোধী অন্যান্য বিতর্কিত বিষয়ও সামনে এনেছেন । নেপালী প্রধানমন্ত্রীর কথায়, চীনা কিংবা ইতালিয়ান ভাইরাসের থেকে ভারতীয় ভাইরাস অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক । যদিও একথা তিনি বলেছেন, ভারতে কর্মরত নেপালী শ্রমিক, যারা ভারত থেকে নেপালে এসেছেন, তাদের উদ্দেশ্য করে । তিনি সম্ভবত ভাইরাসের পার্থক্য বোঝানোর জন্য ওই মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু এই পরিভাষাটি তৈরি করার ক্ষেত্রে তিনি সতর্ক ছিলেন বলে নয়াদিল্লিতে সংশয় তৈরি হয়েছে। এবং তারা বিষয়টি সুনজরে দেখেনি।
ভারত এবং নেপালের মধ্যকার এই মানচিত্র বিতর্কের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান নিজেও একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশোর সুযোগ নিল। জম্মু এবং কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার প্রথম বার্ষিকীতে পাকিস্তান ওই নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে । ওই মানচিত্রে গুজরাটের অংশবিশেষসহ সমগ্র জম্মু এবং কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই ঘটনাটিকে একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন । ইমরানের কথায়, ‘এই রাজনৈতিক মানচিত্রের মধ্যে দিয়ে আমাদের জাতীয় আকাঙ্ক্ষা এবং কাশ্মীর বিরোধের বিরুদ্ধে আমাদের নীতিগত অবস্থানের প্রতি সমর্থনের প্রতিফলন ঘটেছে।’
পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের ফলে ভারত উত্তেজিত হয়েছে এবং নয়াদিল্লির তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এই পদক্ষেপকে একটি হাস্যকর পদক্ষেপ হিসেবে নাকচ করা হয়েছে। এবং তারা বলেছে, এর না আছে কোন আইনগত বৈধতা, না আছে কোন আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ একটি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার অনুশীলন এবং এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে , আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের মাধ্যমে পাকিস্তানের একটা ভূখণ্ডগত উচ্চাভিলাষ রয়েছে।
ভারতের বিরোধীদলীয় কংগ্রেস পার্টির সংসদ সদস্য এক টুইট বার্তায় বলেছেন, এটা অবশ্যই একটি ভূ-রাজনৈতিক বিবৃতি। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, নেপালের নতুন মানচিত্রের পটভূমিতে এটা হচ্ছে চীন কর্তৃক ভারতের প্রতিবেশী থেকে ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার আর একটা প্রয়াস । এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু থাকবে না, যদি এরপর আরো এক বা দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ওই ধরণের একই বিপর্যয়কর পথে অগ্রসর হয়।
ভারত বাংলাদেশের সঙ্গেও সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে । মোদীর প্রথম মেয়াদে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ভালোভাবেই সম্পর্ক বজায় রাখতে পেরেছিল। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা কোনভাবেই বজায় রয়েছে, সেটা বলা যাবে না । ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (কা) মুসলিমদেরকে টার্গেট করে প্রণীত হয়েছে বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীরা পর্যদুস্ত হয়েছেন। শেখ হাসিনার সরকার এটা পরিষ্কার করেছেন যে, ওই নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে বাংলাদেশ কি চোখে দেখে । এবং বাংলাদেশি অভিবাসীদেরকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন `কীট’’ হিসেবে উল্লেখ করেন, তখন তা বোধগম্য কারণেই ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। ঢাকার তরফে এই অসন্তুষ্টি ব্যক্ত করার কয়েকটি ঘটনা আছে। এরমধ্যে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের প্রস্তাবিত দিল্লি সফর বাতিল রয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ, যারা কিনা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে, তারা এখন ওই নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের কারণে একটা কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়েছ। বাংলাদেশ একইসঙ্গে একটা বিপরীতমুখী অভিবাসন স্রোতের আশঙ্কা করছে । তাদের ভয়, ভারতে যদি বিশেষ করে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে যদি মুসলমানরা নিপীড়নের শিকার হন, তাহলে সেই অভিবাসীরা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেবে।
শ্রীলঙ্কায় রাজাপাকশে সরকার ক্ষমতায় আসার কারণে সেটা নয়াদিল্লির শিরপীড়ার কারণ হয়েছে। কারণ রাজাপাকশেকে চীনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা হয়। এবং বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, চীন এটা দেখতে চাইছে যে, শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং জাপানের মতো তার অংশীদারদের কাছ থেকে যাতে দূরে থাকে । ভারতে নিযুক্ত শ্রীলংকার সাবেক হাইকমিশনার অস্টিন ফারনান্দো এক সাম্প্রতিক নিবন্ধে যুক্তি তুলে ধরেছেন যে, পরিস্থিতির জন্য ভারতের অতিরিক্ত সতর্কতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি আংশিকভাবে দায়ী । শ্রীলংকা সরকার সম্প্রতি জাপানি অর্থায়নে নির্মিত একটি হালকা রেল প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে । এতে এটাই দেখা যায় যে, সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে না। শ্রীলংকার তথ্যমন্ত্রী বান্দুরা জ্ঞানবর্ধনে বলেছেন, প্রকল্পটি ব্যয়বহুল । অথচ তার থেকে মুনাফা মিলবে কম । একইভাবে ভারত–জাপানের যৌথ উদ্যোগে নির্মীয়মান শ্রীলংকার ইস্ট কন্টেইনার টার্মিনাল (সিটি) প্রকল্প কলম্বোতে সংকটের মধ্যে পড়েছে । মাত্র এক বছর আগে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি ত্রিদেশীয় সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল । কিন্তু এখন এর কোনো নিশ্চয়তা নেই যে এই প্রকল্পটি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে । অন্ততপক্ষে ভারত এবং জাপানকে অংশীদার রেখে এটা হওয়ার নয়।
এভাবে ভারতের প্রতিবেশী সম্পর্ক নানাভাবে দুর্দশা কবলিত হয়ে পড়েছে। ভারত মালদ্বীপে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব সীমিত করতে নানাভাবে তৎপর । ভারতীয় গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিড –১৯ মহামারির কারণে মালদ্বীপের যে অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা থেকে কাটিয়ে উঠতে ভারত একটি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে । এর প্রকৃত লক্ষ্য কৌশলগত বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। সোজা কথায় কোভিডের প্রভাব থেকে মালেকে মুক্তি দেয়া । মালদ্বীপে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার সঞ্জয় সুধির গত জুলাইয়ে হাই ইম্প্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট স্কিমের অধীনে নয়টি প্রকল্প গড়ে তোলার কথা বলেছেন। ওই প্রকল্পের অধীনে ভারত মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিট, পর্যটন অঞ্চল এবং একটি পানি শোধন কারখানা প্রতিষ্ঠার মতো একাধিক সমঝোতা স্মারক সই করেছে। মালদ্বীপ যাতে তারল্য সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে , সেজন্য ভারত তাকে চারশ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি বর্ধিত মুদ্রা সহায়তাও দিয়েছে । এর বাইরেও মহামারি সংকট কাটিয়ে উঠতে অতিরিক্ত আরো ১৪০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে মালদ্বীপকে।
তবে মালদ্বীপকে দেয়া এইসব অর্থনৈতিক সহায়তার প্যাকেজ দেওয়া সত্ত্বেও সেখানে ভারতের ভূমিকা এবং প্রভাব কতটা টিকে থাকে, সেটা দেখার বিষয় । এই মুহূর্তে অবশ্য এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে ভারত মালদ্বীপে লক্ষণীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে । ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভারতের ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোহাম্মেদ সলি নির্বাচিত হয়েছিলেন । মালদ্বীপে অবশ্য ভারতের আরো অনেক বন্ধু রয়েছে । সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ সম্প্রতি বলেছেন, মালদ্বীপকে অবশ্যই স্মার্ট পছন্দ বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞতার পরিচয় দিতে হবে । প্রবৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধির জন্য ভারতের সঙ্গে হাত মেলাতে হবে। মালদ্বীপের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরে সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ বলেছেন, ‘‘আমি অবশ্যই নিশ্চিত যে মালদ্বীপ এবং তাদের নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত নেবেন। পররাষ্ট্র নীতি এবং আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে আমাদের প্রতিবেশী এবং ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সাথে সম্পর্ক রক্ষার বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেবেন । আর সবথেকে ঘনিষ্ঠ এবং অন্তরঙ্গ প্রতিবেশীদের মধ্যে রয়েছে ভারত।’’
নয়াদিল্লি অবশ্যই তার অন্যান্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সচেষ্ট হবে । কিন্তু আপাতত কেবলমাত্র মালদ্বীপকে নিয়েই ভারতকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
----
লেখক: ডক্টর রাজেশ্বরী পিল্লাই রাজাগোপালান। ডিস্টিঙ্গুইশড ফেলো। দিল্লিভিত্তিক ভারতের শীর্ষস্থানীয় থিংকট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নিউক্লিয়ার এন্ড স্পেস পলিসি ইনিশিয়েটিভের প্রধান।