বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমার কাছে একটা জিনিস খুব খটকা লাগে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন– ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান জড়িত। গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান জড়িত হলে আপনাদের আন্দোলনের ফসল মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম কেন দেয়নি? আপনারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আইন-আদালত কব্জা করে তারপর তার নাম দিতে হলো। তাতে কী প্রমাণিত হয় না, এই মামলায় আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নাম প্রতিহিংসামূলকভাবে দেয়া হয়েছে। আপনার লোকরাও দিতে পারেনি, আপনি এসে দিলেন। আপনার মনের মধ্যে ছটফট করছিল, কখন ক্ষমতায় আসব আর তারেক রহমানকে ধরব।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা জেলা বিএনপির আয়োজনে দলটির সদ্যপ্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নানের স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন রিজভী।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমি একজন আইনজীবী হিসেবে যতটুকু দেখেছি, কোথাও কোনোভাবে ন্যূনতম কারণে সেখানে তারেক রহমানকে জড়ানোর স্কোপ নেই। জোর করে তার নাম বলানো হয়েছে মুফতি হান্নানকে দিয়ে। সে-ই আবারও ১৬৪-তে কীভাবে তার ওপর টর্চার করা হয়েছে, আঙুলের নখ তোলা হয়েছে, পায়ের নখ তোলা হয়েছে, সেগুলোর বর্ণনাও দিয়েছে।
রিজভী বলেন, বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নেয়া যাবে, সে জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে। এত বোমা ফুটল, কিন্তু শেখ হাসিনার কিছু হয়নি। আমরা এ ঘটনাকে অবশ্যই একটি মর্মান্তিক ঘটনা মনে করি। যারাই করুক, তারা অপরাধী। কিন্তু এখানে বিএনপিকে জড়ানো, তারেক রহমানকে জড়ানোর একটি মাস্টারপ্ল্যান।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিশ্বস্ত শক্তি বা ব্যক্তিরা জড়িত ছিল কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন রিজভী। বলেন, ২১ আগস্ট জনসভা হওয়ার কথা ছিল রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে, কিন্তু সেই মিটিং জোর করে আওয়ামী লীগ নিয়ে গেছে তাদের পার্টি অফিসের সামনে। পুলিশকেও ঠিকমতো অবহিত করা হয়নি। সে রকম আরও অনেক ঘটনা আছে। তাই বলছি হামলার বিষয়ে তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী নিজে জানতেন এবং ওনার বিশ্বস্ত কোনো শক্তি বা ব্যক্তি এটির সঙ্গে জড়িত ছিল।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আরও বক্তব্য দেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোরশেদ আলম প্রমুখ।