করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্ব জুড়ে স্কুল বন্ধ থাকায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। কিন্তু বিশ্বের মোট শিশু শিক্ষার্থীর এক-তৃতীয়াংশেরই অনলাইনভিত্তিক এই শিক্ষা কার্যক্রমে যোগ দেওয়ার সামর্থ্য নেই বলে জাতিসংঘের শিশু তহবিল বিষয়ক অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বুধবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি কেনার সক্ষমতা না থাকায় প্রায় ৪৬ কোটি ৩০ লাখ শিশু ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। ফলে এসব শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েত্তা ফোরে বলেন, “মাসের পর মাস অনেক শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে ব্যাহত হওয়াটা বৈশ্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার বিপর্যয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রতিক্রিয়া আগামী কয়েক দশক জুড়ে অর্থনীতি ও সমাজ অনুভব করা যাবে।”
জাতিসংঘের এই অঙ্গসংস্থাটির হিসেব মতে, করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় বিশ্বের প্রায় দেড়শো কোটি শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। সম্পদশালী থাকায় ইউরোপের শিশুদের এর প্রভাব কম পড়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলের শিশুরা।
দৈব চয়নের ভিত্তিতে একশোটি দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী করোনা ভাইরাসের কারণে শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া নিয়ে জরিপটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
তাতে বলা হয়েছে, যেসব শিশু ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সামর্থ্য নেই তাদের মধ্যে ৬ কোটি ৭০ লাখ পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার।
পাঁচ কোটি ৪০ লাখ শিশু পশ্চিম ও সেন্ট্রাল আফ্রিকার, আট কোটি শিশু প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের, ৩ কোটি ৭০ লাখ শিশু মধ্য প্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার, ১৪ কোটি ৭০ লাখ শিশু দক্ষিণ এশিয়ার এবং ১ কোটি ৩০ লাখ শিশু লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের।