খুলনার তেরখাদা উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী (৯) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মধুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ওই শিশু বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ মামলায় পুলিশ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মোকামপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে। রেজাউল ইসলাম নাটোর পুলিশ লাইনসে পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনার তিন উপজেলায় চারটি ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেল। এর মধ্যে খালিশপুরে একটি, ডুমুরিয়ায় দুটি ও তেরখাদায় একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার খালিশপুরে এক কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডুমুরিয়া উপজেলায় এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গত বুধবার থানায় মামলা হলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। সর্বশেষ তেরখাদায় শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার হলেন।
তেরখাদার ওই শিশুর বাবা বলেন, রেজাউল পুলিশের একজন কনস্টেবল। নাটোরে চাকরি করেন। বছর তিনেক হয়েছে চাকরি পেয়েছেন। এখন ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। তাঁর মেয়ে রেজাউলের বাড়ির পাশের ঘেরের পাড়ে বেলা ১১টার দিকে কদম ফুল পাড়তে যায়। সে সময় ফুল পাড়তে সহায়তার কথা জানান রেজাউল। পরে তিনি ফুসলিয়ে মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়ে বাড়িতে এসে তার মাকে সব ঘটনা খুলে বলে।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি চলতি দায়িত্ব) স্বপন কুমার রায় বলেন, অভিযুক্ত রেজাউলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি নাটোর পুলিশ লাইনসে পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত। ওই শিশুকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসির সমন্বয়ক চিকিৎসক অঞ্জন কুমার চক্রবর্তী বলেন, শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনো তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। শিশুটি শঙ্কামুক্ত নয়।