ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দশম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় ইজাজুল হক রতন নামে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইজাজুল হক রতনের বাড়ি বড়হিত ইউপির রঘুনাথপুর। তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন থানায় কর্মরত রয়েছেন।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে রতনকে আসামি করে বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দশম শ্রেণিতে পড়ে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিত। এতে রাজি না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ফোনে ও ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
পুলিশ সদস্য ইজাজুল হক রতন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মঙ্গলবার রাতে মোবাইলে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে কলাবাগানে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ইজাজুল হক রতনকে আটক করে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানান। চেয়ারম্যানের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, গ্রেফতার ইজাজুল হক রতনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।