কারো দয়ায় নয়, জনগণের সমর্থনে ক্ষমতায় আছে আ'লীগ

  • ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক
  • ২০২০-১১-০৪ ০০:৫১:২০
popular bangla newspaper, daily news paper, breaking news, current news, online bangla newspaper, online paper, bd news, bangladeshi potrika, bangladeshi news portal, all bangla newspaper, bangla news, bd newspaper, bangla news 24, live, sports, polities, entertainment, lifestyle, country news, Breaking News, Crime protidin. Crime News, Online news portal, Crime News 24, Crime bangla news, National, International, Live news, daily Crime news, Online news portal, bangladeshi newspaper, bangladesh news, bengali news paper, news 24, bangladesh newspaper, latest bangla news, Deshe Bideshe, News portal, Bangla News online, bangladeshi news online, bdnews online, 24 news online, English News online, World news service, daily news bangla, Top bangla news, latest news, Bangla news, online news, bangla news website, bangladeshi online news site, bangla news web site, all bangla newspaper, newspaper, all bangla news, newspaper bd, online newspapers bangladesh, bangla potrika, bangladesh newspaper online, all news paper, news paper, all online bangla newspaper, bangla news paper, all newspaper bangladesh, bangladesh news papers, online bangla newspaper, news paper bangla, all bangla online newspaper, bdnewspapers, bd bangla news paper, bangla newspaper com, bangla newspaper all, all bangla newspaper bd, bangladesh newspapers online, daily news paper in bangladesh, bd all news paper, daily newspaper in bangladesh, Bangladesh pratidin, crime pratidin, অনলাইন, পত্রিকা, বাংলাদেশ, আজকের পত্রিকা, আন্তর্জাতিক, অর্থনীতি, খেলা, বিনোদন, ফিচার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চলচ্চিত্র, ঢালিউড, বলিউড, হলিউড, বাংলা গান, মঞ্চ, টেলিভিশন, নকশা, ছুটির দিনে, আনন্দ, অন্য আলো, সাহিত্য, বন্ধুসভা,কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, অটোমোবাইল, মহাকাশ, গেমস, মাল্টিমিডিয়া, রাজনীতি, সরকার, অপরাধ, আইন ও বিচার, পরিবেশ, দুর্ঘটনা, সংসদ, রাজধানী, শেয়ার বাজার, বাণিজ্য, পোশাক শিল্প, ক্রিকেট, ফুটবল, লাইভ স্কোর, Editor, সম্পাদক, এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ, A Z M Mainul Islam Palash, Brahmanbaria, Brahmanbaria Protidin, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন, Bandarban, Bandarban Protidin, বান্দরবন, বান্দরবন প্রতিদিন, Barguna, Barguna Protidin, বরগুনা, বরগুনা প্রতিদিন, Barisal, Barisal Protidin, বরিশাল, বরিশাল প্রতিদিন, Bagerhat, Bagerhat Protidin, বাগেরহাট, বাগেরহাট প্রতিদিন, Bhola, Bhola Protidin, ভোলা, ভোলা প্রতিদিন, Bogra, Bogra Protidin, বগুড়া, বগুড়া প্রতিদিন, Chandpur, Chandpur Protidin, চাঁদপুর, চাঁদপুর প্রতিদিন, Chittagong, Chittagong Protidin, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম প্রতিদিন, Chuadanga, Chuadanga Protidin, চুয়াডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা প্রতিদিন, Comilla, Comilla Protidin, কুমিল্লা, কুমিল্লা প্রতিদিন, Cox's Bazar, Cox's Bazar Protidin, কক্সবাজার, কক্সবাজার প্রতিদিন, Dhaka, Dhaka Protidin, ঢাকা, ঢাকা প্রতিদিন, Dinajpur, Dinajpur Protidin, দিনাজপুর, দিনাজপুর প্রতিদিন, Faridpur , Faridpur Protidin, ফরিদপুর, ফরিদপুর প্রতিদিন, Feni, Feni Protidin, ফেনী, ফেনী প্রতিদিন, Gaibandha, Gaibandha Protidin, গাইবান্ধা, গাইবান্ধা প্রতিদিন, Gazipur, Gazipur Protidin, গাজীপুর, গাজীপুর প্রতিদিন, Gopalganj, Gopalganj Protidin, গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ প্রতিদিন, Habiganj, Habiganj Protidin, হবিগঞ্জ, হবিগঞ্জ প্রতিদিন, Jaipurhat, Jaipurhat Protidin, জয়পুরহাট, জয়পুরহাট প্রতিদিন, Jamalpur, Jamalpur Protidin, জামালপুর, জামালপুর প্রতিদিন, Jessore, Jessore Protidin, যশোর, যশোর প্রতিদিন, Jhalakathi, Jhalakathi Protidin, ঝালকাঠী, ঝালকাঠী প্রতিদিন, Jhinaidah, Jhinaidah Protidin, ঝিনাইদাহ, ঝিনাইদাহ প্রতিদিন, Khagrachari, Khagrachari Protidin, খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি প্রতিদিন, Khulna, Khulna Protidin, খুলনা, খুলনা প্রতিদিন, Kishoreganj, Kishoreganj Protidin, কিশোরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ প্রতিদিন, Kurigram, Kurigram Protidin, কুড়িগ্রাম, কুড়িগ্রাম প্রতিদিন, Kushtia, Kushtia Protidin, কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া প্রতিদিন, Lakshmipur, Lakshmipur Protidin, লক্ষ্মীপুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিদিন, Lalmonirhat, Lalmonirhat Protidin, লালমনিরহাট, লালমনিরহাট প্রতিদিন, Madaripur, Madaripur Protidin, মাদারীপুর, মাদারীপুর প্রতিদিন, Magura, Magura Protidin, মাগুরা, মাগুরা প্রতিদিন, Manikganj, Manikganj Protidin, মানিকগঞ্জ, মানিকগঞ্জ প্রতিদিন, Meherpur, Meherpur Protidin, মেহেরপুর, মেহেরপুর প্রতিদিন, Moulvibazar, Moulvibazar Protidin, মৌলভীবাজার, মৌলভীবাজার প্রতিদিন, Munshiganj, Munshiganj Protidin, মুন্সীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিদিন, Mymensingh, Mymensingh Protidin, ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ প্রতিদিন, Naogaon, Naogaon Protidin, নওগাঁ, নওগাঁ প্রতিদিন, Narayanganj, Narayanganj Protidin, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন, Narsingdi, Narsingdi Protidin, নরসিংদী, নরসিংদী প্রতিদিন, Natore , Natore Protidin, নাটোর, নাটোর প্রতিদিন, Nawabgonj, Nawabgonj Protidin, নওয়াবগঞ্জ, নওয়াবগঞ্জ প্রতিদিন, Netrokona, Netrokona Protidin, নেত্রকোনা, নেত্রকোনা প্রতিদিন, Nilphamari, Nilphamari Protidin, নীলফামারী, নীলফামারী প্রতিদিন, Noakhali, Noakhali Protidin, নোয়াখালী, নোয়াখালী প্রতিদিন, Norai, Norai Protidin, নড়াইল, নড়াইল প্রতিদিন, Pabna, Pabna Protidin, পাবনা, পাবনা প্রতিদিন, Panchagarh, Panchagarh Protidin, পঞ্চগড়, পঞ্চগড় প্রতিদিন, Patuakhali, Patuakhali Protidin, পটুয়াখালী, পটুয়াখালী প্রতিদিন, Pirojpur, Pirojpur Protidin, পিরোজপুর, পিরোজপুর প্রতিদিন, Rajbari, Rajbari Protidin, রাজবাড়ী, রাজবাড়ী প্রতিদিন, Rajshahi , Rajshahi Protidin, রাজশাহী, রাজশাহী প্রতিদিন, Rangamati, Rangamati Protidin, রাঙ্গামাটি, রাঙ্গামাটি প্রতিদিন, Rangpur, Rangpur Protidin, রংপুর, রংপুর প্রতিদিন, Satkhira, Satkhira Protidin, সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা প্রতিদিন, Shariyatpur, Shariyatpur Protidin, শরীয়তপুর, শরীয়তপুর প্রতিদিন, Sherpur, Sherpur Protidin, শেরপুর, শেরপুর প্রতিদিন, Sirajgonj, Sirajgonj Protidin, সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন, Sunamganj, Sunamganj Protidin, সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ প্রতিদিন, Sylhet, Sylhet Protidin, সিলেট, সিলেট প্রতিদিন, Tangail, Tangail Protidin, টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল প্রতিদিন, Thakurgaon, Thakurgaon Protidin, ঠাকুরগাঁও, ঠাকুরগাঁও প্রতিদিন, ক্রাইম প্রতিদিন, ক্রাইম, প্রতিদিন, Crime, Protidin, অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, অমুবাচা, crimeprotidin

 নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে যেভাবে বলতে চেষ্টা করুক না কেন, কারো দয়া বা দাক্ষিণ্যে নয়, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট ও সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। জনগণের সমর্থন নিয়েই আওয়ামী লীগ চার চারবার ক্ষমতায় থেকে দেশের সেবা করে যাচ্ছে। জনগণের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করে বলেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, যারা ক্ষমতায় থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি ও মানুষ হত্যা করে, যারা দেশের কল্যাণ করতে পারে না, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর হাতে যে দলের জন্ম- জনগণ কেন তাদের (বিএনপি) ভোট দেবে? ক্ষমতায় থেকে এরা কেবল সন্ত্রাস, দুর্নীতি, হত্যা, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি এবং যুবসমাজকে বিপথে চালিত ও প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ধবংস করতে পেরেছে। দেশ ও দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। নিজেরা অর্থশালী, বিত্তশালী হয়েছে, জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করেনি, করতে চায়ওনি।

মঙ্গলবার ঐতিহাসিক জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন তিনি।

সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী, খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বসে নেই। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েও জনগণের কারণে তারা ক্ষমতাকে ভোগ করতে পারেনি। এজন্যই তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের অনেক চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হয়েছে। জনসমর্থন না থাকলে ষড়যন্ত্র করে হত্যাকাণ্ড ঘটানো যায়। কিন্তু ক্ষমতায় আসা কিংবা টিকে থাকা যায় না। তাই আওয়ামী লীগকে নিয়ে যত বেশি নাড়াচাড়া কিংবা ষড়যন্ত্র করা হবে, আওয়ামী লীগের জনসমর্থনের শেকড় তত বেশি শক্তিশালী হবে। শক্ত হবে, পোক্ত হবে। এটাই হলো বাস্তবতা।

বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ও ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে গঠিত রাজনৈতিক দলগুলো কখনোই দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে পারে না। ক্ষমতাকে তারা নিজেদের ভাগ্য গড়ার কাজে ব্যবহার করে। কিন্তু জনগণ কিছু পায় না।

সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের একটি শ্রেণি আছে, তাদের কাজই হচ্ছে সরকারের সমালোচনা করা। এদেশে দুর্নীতির বিষবৃক্ষ রোপণ এবং অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে একটি এলিট শ্রেণি তৈরি করে ঋণখেলাপি সংস্কৃতি কারা সৃষ্টি করেছিল? দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে তারা দেশকে কী দিতে পেরেছে? এরা কী মানুষের ভাগ্যেন্নয়নে কিছু করেছে? খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ কিংবা মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছে? আসলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার মূল লক্ষ্যই ছিল দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, খুন ও সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করা। এর মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন।

নির্বাচন নিয়ে সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বলেন, জিয়া-এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে নির্বাচন কেমন ছিল? ১০টা হুন্ডা, ২০টা গুন্ডা- নির্বাচন ঠান্ডা। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ভোটে হারেনি। ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছিল। আর খালেদা জিয়া এক কোটি ২৩ লাখ ভূয়া ভোটার দিয়ে তালিকা করেছিলেন। অনেকে হয়তো ভুলে যান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে শুধুমাত্র ভোটচুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে জনগণ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মাত্র দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য করিয়েছিল।

বিএনপি আমলের সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে দেশকে দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন, বাংলা ভাই-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিলেন। এর আগে ৯১ সালেও জামায়াতের হাত ধরে ক্ষমতায় এসেছিলেন খালেদা জিয়া। ভোটচুরির কারণেই মানুষ ৯৬ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে ভোট দেননি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাট ও জঙ্গিবাদের কারণেই দেশে ওয়ান ইলেভেনের সৃষ্টি হয়েছিল। ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারও খালেদা জিয়ার হাতেই তৈরি। প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমদকে খালেদা জিয়াই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর বানিয়েছিলেন। নয়জন সিনিয়র জেনারেলকে ডিঙ্গিয়ে মঈন উ আহমদকে সেনাপ্রধানও করেছিলেন তিনি। এরা সবাই তার পছন্দের লোক ছিলেন।

তিনি বলেন, 'কিন্তু ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন দল গঠনের চেষ্টা করলো। যাকে আমি গ্রামীণ মোবাইল ফোনের লাইসেন্স দিয়েছিলাম, সেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস আর ডেইলি স্টারের সম্পাদককে নিয়ে নতুন দল গঠনের চেষ্টা করা হলেও জনগণ তাতে সমর্থন দেয়নি। আরেকজন যিনি মারা গেছেন (ফেরদৌস আহমেদ কোরাইশি) তাকে নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তাকে দিয়েও কিংস পার্টি গঠনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেখানেও জনগণ কোনো সাড়া দেয়নি। ওই সরকার কিন্তু প্রথমে আমাকেই গ্রেপ্তার করে।'

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থক এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ আন্তর্জাতিক চাপে ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। ওই সময়ের একটি শ্রেণির ধারণা ছিল কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। কিন্তু জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে। এরপর একটার পর একটা প্রতিটি নির্বাচনে জনগণের ভোট নিয়েই আওয়ামী লীগ মানুষের সেবা করে যাচ্ছে। যারা জনগণের কাছে ভোট চাইতে পারে না, যাদের তৃণমূলে সংগঠন নেই- তাদের কেন মানুষ ভোট দেবে?

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, শুধু পারিবারিক হত্যাকাণ্ড নয়, দেশ ও জাতিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতেই ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। এই দু'টি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেই খুনি মোশতাক ও জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা মানতে পারেনি, স্বীকার করতে পারেনি এবং স্বাধীন বাংলাদেশই যারা চায়নি- তাদের দোসররাই এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ছিল। এটা একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত ছিল। এটা যে স্বাধীনতা ও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ছিল- সেটাই পরে প্রমাণ হয়।

তিনি বলেন, ওই সময় শুধু ক্ষমতা দখল নয়, খুনিদের ইনডেমনিটি দেয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দেশকে সম্পূর্ণ ভিন্নপথে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। সারা বাংলাদেশটা হয়ে যায় একটা খুনিদের রাজত্ব। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর খুনিকে প্রহসনের নির্বাচনে বিজয়ী করে সংসদে বসিয়েছিলেন। আর এরশাদও খুনী ফারুককে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করেছিলেন।

টানা তিন মেয়াদে তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বেসরকারি টেলিভিশনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে। কিন্তু এখানেই একেকজন একেক কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে তৃণমূল থেকেই আওয়ামী লীগ গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এদেশের স্বাধীনতা এসেছে। জনগণের সমর্থন নিয়েই প্রতিবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের মঙ্গলে ও কল্যাণে কাজ করেছে। যার শুভ ফলও জনগণ পাচ্ছে। তাই এত অত্যাচার-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের পরও আওয়ামী লীগ টিকে আছে শুধুমাত্র জনগণের সমর্থনেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল যেটি দেশের মাটি ও মানুষের মধ্যে থেকে জন্ম নিয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশ উন্নত হয়। দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জন্য কাজ করে, দেশ এগিয়ে যায়, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউর প্রান্তে সূচনা বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আর গণভবন প্রান্ত থেকে সভাটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

নিউজটি শেয়ার করুন

 
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
-->

Shotoborshe Mujib, A Z M Mainul Islam Palash, Crime Protidin Media And Publication