ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে নোভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য স্থাপন করা হেলথ ডেক্সে করোনাভাইরাস পরীক্ষার মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই।
হেলথ ডেক্সের কর্মীদের কাছে মাত্র একটি থার্মোমিটার ও স্টেথিস্কোপই করোনাভাইরাস শনাক্তের যন্ত্র।
রোববার সকাল থেকে এই চেকপোস্টে বসানো হয়েছে হেলথ ডেস্ক।
সম্প্রতি চীনে করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় এই ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে হেলথ ডেক্স। প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে একজন করে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং কমিউনিটি হেলথ প্রোপাইটরের মাধ্যমে এই হেলথ ডেক্সের কার্যক্রম চলছে।
এ দিকে স্পর্শকাতর এই রোগ শনাক্তের জন্য দায়সারাভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুই দেশে চলাচলরত যাত্রীরা।
বাংলাদেশি যাত্রীদের একজন রাজিব আহমেদ ভূঁইয়া জানান, চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরেছে। ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত আছে। এ ছাড়া আমাদের দেশেও অনেকে চীন, ভারত ভ্রমণ করেছেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্পর্শকাতর এই রোগ পরীক্ষার জন্য আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে হেলথ ডেক্সে আধুনিক কোনো যন্ত্রপাতি নেই। একটি থার্মোমিটার ও স্টেথিস্কোপ দিয়ে চলছে করোনাভাইরাস পরীক্ষা।
ভারত থেকে আসা যাত্রী দিপ্তী রায় জানান, ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণরত দুই দেশকেই সচেতন হতে হবে। মরণঘাতি ভাইরাস আছে এমন কোনো যাত্রী সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ নয়, পরীক্ষা করেই নিশ্চিত হতে হবে।
এ দিকে আখাউড়া স্থলবন্দরে হেলথ ডেক্সের দায়িত্বে থাকা আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট গোকুল চন্দ্র মণ্ডল, নাজমুল আলম ও মাহাবুবুল জানান, তারা ধারাবাহিকভাবে হেলথ ডেক্সের দায়িত্ব পালন করছেন।
তারা বলেন, নোভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য তাদের কাছে আধুনিক কোনো উপকরণ নেই। থার্মোমিটার ও স্টেথিস্কোপ দিয়েই যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। চীন ফেরত কোনো যাত্রীর সর্দি-কাশি প্রমাণিত হলে তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে পরীক্ষা করানো হবে বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম হেলথ ডেক্সে করোনাভাইরাস পরীক্ষার মতো আধুনিক কোনো যন্ত্রপাতি না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, সব জায়গায় থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো সম্ভব নয়। তাই সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। যারা সম্প্রতি সময়ে চীন ভ্রমণ করেছেন এবং যাদের শরীরে জ্বর-সর্দি, কাশি আছে তাদের পরীক্ষার আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করে থাকেন।