কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যসচিব মো. আবদুল মান্নান এর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন নিন্দা জানানোর পাশপাশি হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্যসচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, করোনায় স্ত্রীকে হারিয়েছি। আমার হারানোর আর কিছুই নেই। স্ত্রীর স্মৃতি ধরে রাখতে তার নামে গ্রামের বাড়িতে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করছিলাম, যাতে সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ চিকিৎসা পায়। কমিউনিটি ক্লিনিকের সমস্ত উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর। আমি শুধু ৮ শতাংশ জায়গা দিয়েছি।
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, গতকাল মুরাদ (চাঁনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি) নামে একটা ছেলে এসে বলেছে, এমপি সাহেব বলেছেন একটা ইটও লাগাতে পারবেন না। আমি বলেছি, এটা নির্মিত হলে তো তিনিই (এমপি) উদ্বোধন করবেন। এর আগেও ওনাকে দিয়ে আরেকটি কাজ উদ্বোধন করেছি। এরপর ওই বাচ্চা ছেলেগুলো বলে, রাখেন এসব। ওনার অনুমতি পেলে কাজ হবে। এরপর আমি বলেছি, আচ্ছা আমি ওনার সাথে কথা বলব। তারপর বলে, ওনাকে এখনই ফোন দেন, ফোন ধরলে কাজ হবে, না হলে বন্ধ। আমার বড় ছেলের চেয়েও ছোট বয়সের ছেলেরা এসে আমাকে এসব বলে। বাচ্চা ছেলেগুলো ১০০ মানুষের সামনে কথাগুলো বলেছে।
হামলার ঘটনায় শনিবার রাতে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে জরুরি সভা হয়। সংগঠনটির পাঠানো বিবৃতিতে তুলে ধরে বলা হয়েছে, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম, যার মাধ্যমে পশ্চাৎপদ তৃণমূল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয়।
হামলাকারীরা কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্বাস্থ্যসচিবের গ্রামের বাড়িতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে তার স্ত্রীর নামে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণকাজে বাধা দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলমকেও ‘লাঞ্ছিত’ করা হয়েছে।