কিশোরগঞ্জে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের তিন সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
প্রায় দুই ঘন্টা ধরে চলা সংঘর্ষে শহরের একরামপুর, পুরান থানাসহ আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড টিয়ার সেল ও শটগানের ফাকা গুলি ছুড়ে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের একরামপুর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বলে জানায় পুলিশ।
মিছিলটি পুরান থানা এলাকায় গেলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ও রেললাইনের পাথর নিক্ষেপ করে। পুলিশের সাথে চলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ মিছিলকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিলে দুপুর দেড়টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘটনার পর শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জে মডেল থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, পুলিশের অনুমতি ছাড়া হাজার খানেক বিএনপি নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল বের করে। বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে। সেসময় এক পরিদর্শকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে হামলা করে। এতে দলের অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
প্রসঙ্গত, গত রোববার হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে মিছিলকারীরা। এদিন রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি ও সদর উপজেলা অফিসের আসবাবপত্র রাস্তায় এনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হরতালের দিন আওয়ামী লীগ অফিসসহ শহরের কয়েকটি স্থানে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় কয়েক হাজার আসামি করা হয়।