অস্ত্র হাতে পুলিশের সাথে এরা কারা?

  • এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার
  • ২০২১-০৪-০৬ ০০:৪২:৫৫
popular bangla newspaper, daily news paper, breaking news, current news, online bangla newspaper, online paper, bd news, bangladeshi potrika, bangladeshi news portal, all bangla newspaper, bangla news, bd newspaper, bangla news 24, live, sports, polities, entertainment, lifestyle, country news, Breaking News, Crime protidin. Crime News, Online news portal, Crime News 24, Crime bangla news, National, International, Live news, daily Crime news, Online news portal, bangladeshi newspaper, bangladesh news, bengali news paper, news 24, bangladesh newspaper, latest bangla news, Deshe Bideshe, News portal, Bangla News online, bangladeshi news online, bdnews online, 24 news online, English News online, World news service, daily news bangla, Top bangla news, latest news, Bangla news, online news, bangla news website, bangladeshi online news site, bangla news web site, all bangla newspaper, newspaper, all bangla news, newspaper bd, online newspapers bangladesh, bangla potrika, bangladesh newspaper online, all news paper, news paper, all online bangla newspaper, bangla news paper, all newspaper bangladesh, bangladesh news papers, online bangla newspaper, news paper bangla, all bangla online newspaper, bdnewspapers, bd bangla news paper, bangla newspaper com, bangla newspaper all, all bangla newspaper bd, bangladesh newspapers online, daily news paper in bangladesh, bd all news paper, daily newspaper in bangladesh, Bangladesh pratidin, crime pratidin, অনলাইন, পত্রিকা, বাংলাদেশ, আজকের পত্রিকা, আন্তর্জাতিক, অর্থনীতি, খেলা, বিনোদন, ফিচার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চলচ্চিত্র, ঢালিউড, বলিউড, হলিউড, বাংলা গান, মঞ্চ, টেলিভিশন, নকশা, ছুটির দিনে, আনন্দ, অন্য আলো, সাহিত্য, বন্ধুসভা,কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, অটোমোবাইল, মহাকাশ, গেমস, মাল্টিমিডিয়া, রাজনীতি, সরকার, অপরাধ, আইন ও বিচার, পরিবেশ, দুর্ঘটনা, সংসদ, রাজধানী, শেয়ার বাজার, বাণিজ্য, পোশাক শিল্প, ক্রিকেট, ফুটবল, লাইভ স্কোর, Editor, সম্পাদক, এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ, A Z M Mainul Islam Palash, Brahmanbaria, Brahmanbaria Protidin, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন, Bandarban, Bandarban Protidin, বান্দরবন, বান্দরবন প্রতিদিন, Barguna, Barguna Protidin, বরগুনা, বরগুনা প্রতিদিন, Barisal, Barisal Protidin, বরিশাল, বরিশাল প্রতিদিন, Bagerhat, Bagerhat Protidin, বাগেরহাট, বাগেরহাট প্রতিদিন, Bhola, Bhola Protidin, ভোলা, ভোলা প্রতিদিন, Bogra, Bogra Protidin, বগুড়া, বগুড়া প্রতিদিন, Chandpur, Chandpur Protidin, চাঁদপুর, চাঁদপুর প্রতিদিন, Chittagong, Chittagong Protidin, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম প্রতিদিন, Chuadanga, Chuadanga Protidin, চুয়াডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা প্রতিদিন, Comilla, Comilla Protidin, কুমিল্লা, কুমিল্লা প্রতিদিন, Cox's Bazar, Cox's Bazar Protidin, কক্সবাজার, কক্সবাজার প্রতিদিন, Dhaka, Dhaka Protidin, ঢাকা, ঢাকা প্রতিদিন, Dinajpur, Dinajpur Protidin, দিনাজপুর, দিনাজপুর প্রতিদিন, Faridpur , Faridpur Protidin, ফরিদপুর, ফরিদপুর প্রতিদিন, Feni, Feni Protidin, ফেনী, ফেনী প্রতিদিন, Gaibandha, Gaibandha Protidin, গাইবান্ধা, গাইবান্ধা প্রতিদিন, Gazipur, Gazipur Protidin, গাজীপুর, গাজীপুর প্রতিদিন, Gopalganj, Gopalganj Protidin, গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ প্রতিদিন, Habiganj, Habiganj Protidin, হবিগঞ্জ, হবিগঞ্জ প্রতিদিন, Jaipurhat, Jaipurhat Protidin, জয়পুরহাট, জয়পুরহাট প্রতিদিন, Jamalpur, Jamalpur Protidin, জামালপুর, জামালপুর প্রতিদিন, Jessore, Jessore Protidin, যশোর, যশোর প্রতিদিন, Jhalakathi, Jhalakathi Protidin, ঝালকাঠী, ঝালকাঠী প্রতিদিন, Jhinaidah, Jhinaidah Protidin, ঝিনাইদাহ, ঝিনাইদাহ প্রতিদিন, Khagrachari, Khagrachari Protidin, খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি প্রতিদিন, Khulna, Khulna Protidin, খুলনা, খুলনা প্রতিদিন, Kishoreganj, Kishoreganj Protidin, কিশোরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ প্রতিদিন, Kurigram, Kurigram Protidin, কুড়িগ্রাম, কুড়িগ্রাম প্রতিদিন, Kushtia, Kushtia Protidin, কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া প্রতিদিন, Lakshmipur, Lakshmipur Protidin, লক্ষ্মীপুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিদিন, Lalmonirhat, Lalmonirhat Protidin, লালমনিরহাট, লালমনিরহাট প্রতিদিন, Madaripur, Madaripur Protidin, মাদারীপুর, মাদারীপুর প্রতিদিন, Magura, Magura Protidin, মাগুরা, মাগুরা প্রতিদিন, Manikganj, Manikganj Protidin, মানিকগঞ্জ, মানিকগঞ্জ প্রতিদিন, Meherpur, Meherpur Protidin, মেহেরপুর, মেহেরপুর প্রতিদিন, Moulvibazar, Moulvibazar Protidin, মৌলভীবাজার, মৌলভীবাজার প্রতিদিন, Munshiganj, Munshiganj Protidin, মুন্সীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিদিন, Mymensingh, Mymensingh Protidin, ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ প্রতিদিন, Naogaon, Naogaon Protidin, নওগাঁ, নওগাঁ প্রতিদিন, Narayanganj, Narayanganj Protidin, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন, Narsingdi, Narsingdi Protidin, নরসিংদী, নরসিংদী প্রতিদিন, Natore , Natore Protidin, নাটোর, নাটোর প্রতিদিন, Nawabgonj, Nawabgonj Protidin, নওয়াবগঞ্জ, নওয়াবগঞ্জ প্রতিদিন, Netrokona, Netrokona Protidin, নেত্রকোনা, নেত্রকোনা প্রতিদিন, Nilphamari, Nilphamari Protidin, নীলফামারী, নীলফামারী প্রতিদিন, Noakhali, Noakhali Protidin, নোয়াখালী, নোয়াখালী প্রতিদিন, Norai, Norai Protidin, নড়াইল, নড়াইল প্রতিদিন, Pabna, Pabna Protidin, পাবনা, পাবনা প্রতিদিন, Panchagarh, Panchagarh Protidin, পঞ্চগড়, পঞ্চগড় প্রতিদিন, Patuakhali, Patuakhali Protidin, পটুয়াখালী, পটুয়াখালী প্রতিদিন, Pirojpur, Pirojpur Protidin, পিরোজপুর, পিরোজপুর প্রতিদিন, Rajbari, Rajbari Protidin, রাজবাড়ী, রাজবাড়ী প্রতিদিন, Rajshahi , Rajshahi Protidin, রাজশাহী, রাজশাহী প্রতিদিন, Rangamati, Rangamati Protidin, রাঙ্গামাটি, রাঙ্গামাটি প্রতিদিন, Rangpur, Rangpur Protidin, রংপুর, রংপুর প্রতিদিন, Satkhira, Satkhira Protidin, সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা প্রতিদিন, Shariyatpur, Shariyatpur Protidin, শরীয়তপুর, শরীয়তপুর প্রতিদিন, Sherpur, Sherpur Protidin, শেরপুর, শেরপুর প্রতিদিন, Sirajgonj, Sirajgonj Protidin, সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন, Sunamganj, Sunamganj Protidin, সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ প্রতিদিন, Sylhet, Sylhet Protidin, সিলেট, সিলেট প্রতিদিন, Tangail, Tangail Protidin, টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল প্রতিদিন, Thakurgaon, Thakurgaon Protidin, ঠাকুরগাঁও, ঠাকুরগাঁও প্রতিদিন, ক্রাইম প্রতিদিন, ক্রাইম, প্রতিদিন, Crime, Protidin, অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, অমুবাচা, crimeprotidin

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শেখ হাসিনা সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজত ইসলামসহ ইসলামিক দলগুলো প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে, তবে হেফাজতের ভ‚মিকা ছিল অগ্রগণ্য। মোদী বাংলাদেশে আসার প্রতিবাদের কারণ হিসাবে প্রতিবাদকারীরা ঘোষণা করেছেন যে, (১) মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাবস্থায় অনেক মুসলমানকে হত্যা করেছে যার জন্য তিনি ‘গুজরাটের কসাই’ হিসাবেও পরিচিত, (২) সম্প্রতি টি.আর.সি বিধিবিধান করার মাধ্যমে মোদী সরকার ভারত থেকে মুসলমানদের বিতারিত করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং এর প্রতিবাদ করায় ভারতে অনেক মুসলমান নিধন হয়েছে, (৩) পবিত্র কোরান শরীফের ২৬টি আয়াত সংশোধন করার জন্য ভারতের একটি হাইকোর্টে রিট হয়েছে যার আশ্রয়/প্রশ্রয়দাতা ভারত সরকার। সর্বপরি মোদীর উস্কানিতে ভারতে মুসলমানরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। মোদী এবং মোদীর দল একটি সাম্প্রদায়িক শক্তি হিসাবে চিহ্নিত। মুক্তিযুদ্ধে তৎকালিন ভারত সরকার ও গান্ধী পরিবারের যে সহযোগিতা ছিল, অনুরূপ ভ‚মিকা বিজেপী পন্থীদের ছিল না। বাংলাদেশের জনগণ গান্ধী পরিবারের বিশেষ করে ইন্দিরা গান্ধীর সে সময়ের ভ‚মিকাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। কোন দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান যদি বাংলাদেশে আগমন করে তবে তা গৌরবের বিষয় বটে, কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ আছে তাদেরকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জনগণ স্বাগত জানাবে কোন কারণে? 

বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম ভীরু, তবে অসম্প্রদায়িক, মোট জনসংখ্যার ৯২শতাংষ মানুষ মুসলমান এবং ইসলাম একটি অসাম্প্রদায়িক ধর্ম। ধর্মীয় বিবেচনায় কারো উপর অত্যাচার নির্যাতন করা বা ধর্মকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করার দৃষ্টান্ত হযরত মোহাম্মদ (সা:) জীবনীতে দেখা যায় নাই। বরং সংখ্যালঘু জনগণ সংখ্যাগুরুদের আমানত হিসাবে তিনি ঘোষণা করেছেন। বিদায় হজের ভাষণে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাও নির্দেশনা রয়েছে। তবে ধর্মের উপর যদি কোন আঘাত আসে বা শুধুমাত্র মুসলমান হওয়ার কারণে যদি বিনা বিচারে হত্যা করা হয় সেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদতো করতেই হবে এবং এটাই ধর্মীয় বিধান। 

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর প্রতি কটাক্ষ করায় গোটা বিশ্ব প্রতিবাদ করেছে, ফলশ্রুতিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং গোটা বিশ্ব তার প্রতি ঘৃনায় থু থু নিক্ষেপ করেছে। হেফাজত ইসলামসহ ইসলামী দলগুলো এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান মাত্রই মোদীর ঢাকায় আগমনের প্রতিবাদ করেছে, যারা ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষুর ভয়ে বা সরকারি চাকরির হারানোর ভয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারে নাই তারাও ঘৃনা পোষণ করেছে, তবে মুসলমান নামধারী যারা নাস্তিক তাদের কথা আলাদা।

বহু রক্তের বিনিময়ে সম্পাদিত বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধান মোতাবেক নাগরিকদের চিন্তা চেতনার ও প্রতিবাদ করার অধিকার দিয়েছে। দেখা মতে মোদীর আগমনকে ইসলামী চিন্তা সম্পন্ন ব্যক্তিরাই প্রতিবাদ জানিয়েছে। গোটা বিশ্বে এ ধরনের অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে, পৃথিবীর ভিন্ন রাষ্ট্রেও সরকারের দাওয়াতী মেহমানকে “ফিরে যাও” পোস্টার, প্লেকার্ড, ব্যানার বিমান বন্দরে বা রেল স্টেশনে প্রতিবাদকারীরা প্রদর্শন করেছে। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিধায় মোদীর বাংলাদেশে আগমনের নিয়মতান্ত্রিক বিরোধীতা বা প্রতিবাদ করার সাংবিধানিক অধিকার একটি স্বাধীন দেশের নাগরিকের রয়েছে, নতুবা বুঝা যাবে যে সে দেশের নাগরিক কাগজে কলমে স্বাধীন হলেও মন মানসিকতার প্রশ্নে বিবেকের স্বাধীনতা এখনো অর্জিত হয় নাই।

মোদী বিরোধী অবস্থানের কারণে মুসল্লি পুলিশ সংঘর্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৯ জন হত্যা হয়েছে বলে হেফাজত ইসলাম দাবী করেছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশ “ঢাকায় বায়তুল মোকারমের মুসল্লিদের সাথে পুলিশও যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংর্ঘষে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে, আটক করা হয়েছে শতাধিক মুসল্লীকে।” এ মর্মে পুলিশের সাথে অস্ত্র উচিয়ে সাদা পোশাকে একটি সশস্ত্র বাহিনীর একটি সচিত্র প্রতিবেদন জাতীয় দৈনিকে ২৭ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকার সচিত্র ভাষ্যমতে পুলিশের সাথের অস্ত্রধারীরা আওয়ামী ছাত্রলীগ-যুবলীগ। হেফাজতকে মোকাবেলার জন্য রাষ্ট্র বা সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সরকারি দলের ক্যাডারদের লেলিয়ে দেওয়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কতটুকু যৌত্তিক? অন্যদিকে মোদীর আগমনের বিরোধীতা করে প্রতিবাদকারীদের প্রতিবাদ কর্মসূচী করার সশস্ত্র বাধা প্রদান না করলে সরকার কতটুকু ক্ষতিগ্রস্থ হতো? ১৯ জনের (হেফাজত ও পত্রিকার ভাষ্যমতে) জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশে মোদীর আগমনে শেখ হাসিনা সরকারের কতটুকু লাভ-ক্ষতি হয়েছে, তা “সময়ই” বলে দিবে।

মোদীকে বার বার আমন্ত্রণ করে বাংলাদেশ সফরে এনে লাভবান হচ্ছে কি বাংলাদেশ রাষ্ট্র, নাকি এটা শেখ হাসিনা সরকারের ইহা একটি রাজনৈতিক ফয়দা? নাকি মোদীরও রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে? তিস্তার পানি বাংলাদেশের জন্য একটি বার্নিং ইস্যু। ইতোপূর্বেও শেখ হাসিনা সরকারের আমন্ত্রণে মোদী বাংলাদেশ সফর করেছেন। তখনো প্রত্যাশা করা হয়েছিল যে, মোদী সরকারের সময়কালের মধ্যেই তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন হবে। মোদী পুনরায় নির্বাচিত হলেও চুক্তি স্বাক্ষর হয় নাই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেও কয়েক দফা ভারত সফরে গিয়েছেন, প্রতিবারই তিস্তার পানি ছাড়াই তিনি ফেরৎ এসেছেন। এবারও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোদী বলেছেন “তিস্তার পানি দেয়ার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ” কিন্তু কবে কখন তিস্তার পানি বাংলাদেশ পাবে, এ সম্পর্কে মোদী কোন প্রতিশ্রুতি প্রদান করে নাই। অন্যদিকে বাংলার (পশ্চিমবঙ্গ) মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী প্রকাশ্যে বলে দিয়েছে যে, “তিস্তার পানি দেওয়া সম্ভব নহে”। অথচ এ দোটানার মধ্যেই ভারতের স্বার্থ জড়িত চুক্তিগুলি সম্পাদিত হলেও বাংলাদেশের স্বার্থ সম্মলিত কোন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে কিনা তা আদৌ জনগণ জানে না। অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী দাবি করেছেন যে, মোদী তার দলীয় রাজনীতির ফয়দা হাসিলের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছেন। মমতার মতে বাংলাদেশে গোপালগঞ্জে বসবাসকারী মাতুয়া সম্প্রদায়ের একটি বিরাট অংশ ভারতের নাগরিক বিধায় ভারতীয় মাতুয়াদের সমর্থন লাভের জন্য বাংলাদেশে মোদীর আগমনের কারণের জন্য মমতা মোদীর ভিসা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। বাংলাদেশে আগমনে মোদী কতটুকু লাভবান তা আলোচনার মুখ্য বিষয় নহে, মুখ্য বিষয়টি হচ্ছে এ সফরে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ কতটুকু খুশি?  

পত্রিকান্তরে প্রকাশ বিভিন্ন জেলায় গাড়ি পোড়ানোসহ সহিংসতার জন্য অনেক মামলা হয়েছে। ঢাকার পার্শ্ববর্তী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৬টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদেরই সংখ্যাই বেশী। এর মধ্যে ৫/৬ বৎসরের পূর্বে নারায়নগঞ্জ জেলা কারাগারে মৃত্যুবরণকারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র আহবায়ক আলী হোসেনের নামও আসামি হিসাবে রয়েছে। অন্যান্য জেলায়ও অনুরূপভাবে বিএনপি’র নেতা কর্মীরাই আসামি। ইহাতে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে, বিএনপি’কে মাঠ ছাড়া করার উদ্দেশ্যেই এ ধরনের মামলা, যা সরকারের সাজানো নাটকও বলা হচ্ছে। ফলে ২৭/০৩/২০২১ ইং তারিখে জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অর্থাৎ পুলিশের সাথে যে সকল অস্ত্রধারী রয়েছে পত্রিকার ভাষ্যমতে তারা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগ। 

বিরোধী মতাবলম্বিদের কণ্ঠরোধ করার জন্য যে স্টিম রোলার সরকার চালাচ্ছে তার হাতিয়ার হিসাবে নগ্নভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে পুলিশ, প্রশাসন, আইন ও আদালত। পুলিশ, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এখন জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে, যার ফয়দা পুলিশও নিচ্ছে। সরকার অনৈতিকভাবে পুলিশকে ব্যবহার করছে বিধায় পুলিশের একটি অংশ নিজেরাও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। পত্রিকা খুললেই দেখা যায় মাদক, চাঁদাবাজী ও অপহরণমূলক অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেফতার হচ্ছে। অথচ তাদের প্রমোশন হচ্ছে যাদের আশ্রয় প্রশয়ে পুলিশ সরকার বিরোধীদের নির্মূল করার জন্য মিথ্যা মামলা সৃজন, গ্রেফতার, রিমান্ড ও চার্জশীট দেওয়ার জন্য পেশাগত যুগান্তকারী কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে। পাকিস্তান আমলে ভোটে পুকুর চুরি হয়েছে, কিন্তু বর্তমান সরকার আমলে হচ্ছে ভোটার বিহীন ভোট, অর্থাৎ নির্বাচনে সমুদ্র চুরি। পুলিশ বাহিনীর বড় বড় কর্মকর্তারা পুলিশের পেশাদারীত্ব ও পেশার মান বৃদ্ধি করার জন্য প্রায়সই বাহিনীর নিম্নস্থ সদস্যদের নির্দেশাবলী জারি করাসহ বক্তৃতা করে থাকেন যা ফলাও করে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। আইনগতভাবে পুলিশের পেশাগত দায়িত্ব হচ্ছে অবৈধ অস্ত্রধারী ও অস্ত্র ব্যবহারকারীদের গ্রেফতার করা, কিন্তু পুিিলশ কি তা করছে। সরকার বিরোধীদের ঠেঙ্গানোর জন্য হরহামেশা পুলিশ এ ধরনের ভ‚মিকাই গ্রহণ করে থাকে। কার্যত: পুলিশ এখন আইনের ঊর্ধ্বে। ২০১৩ ইং সনে পুলিশ কাস্টডিতে নির্যাতন বন্ধ করার জন্য আইন পাশ হয়েছে, কিন্তু সে আইন সম্পূর্ণভাবে এখন অকার্যকর। পুলিশকে জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য দায়িত্ব পালন করছে বলে সরকার দাবি করে এবং এ জন্যই নৈতিকতার প্রশ্নে প্রশ্ন জাগে বাইতুল মোকাররমে অস্ত্র হাতে পুলিশের সাথে এরা কারা?

লেখক: রাজনীতিক, কলামিস্ট ও আইনজীবী (এ্যাপিলেট ডিভিশন), E-mail: taimuralamkhandaker@gmail.com

নিউজটি শেয়ার করুন

 
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
-->

Shotoborshe Mujib, A Z M Mainul Islam Palash, Crime Protidin Media And Publication