গণগ্রেফতার বন্ধ করুন, আলাপ-আলোচনায় সমাধান সম্ভব

  • ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক
  • ২০২১-০৪-২৩ ০০:৩৭:২৪
popular bangla newspaper, daily news paper, breaking news, current news, online bangla newspaper, online paper, bd news, bangladeshi potrika, bangladeshi news portal, all bangla newspaper, bangla news, bd newspaper, bangla news 24, live, sports, polities, entertainment, lifestyle, country news, Breaking News, Crime protidin. Crime News, Online news portal, Crime News 24, Crime bangla news, National, International, Live news, daily Crime news, Online news portal, bangladeshi newspaper, bangladesh news, bengali news paper, news 24, bangladesh newspaper, latest bangla news, Deshe Bideshe, News portal, Bangla News online, bangladeshi news online, bdnews online, 24 news online, English News online, World news service, daily news bangla, Top bangla news, latest news, Bangla news, online news, bangla news website, bangladeshi online news site, bangla news web site, all bangla newspaper, newspaper, all bangla news, newspaper bd, online newspapers bangladesh, bangla potrika, bangladesh newspaper online, all news paper, news paper, all online bangla newspaper, bangla news paper, all newspaper bangladesh, bangladesh news papers, online bangla newspaper, news paper bangla, all bangla online newspaper, bdnewspapers, bd bangla news paper, bangla newspaper com, bangla newspaper all, all bangla newspaper bd, bangladesh newspapers online, daily news paper in bangladesh, bd all news paper, daily newspaper in bangladesh, Bangladesh pratidin, crime pratidin, অনলাইন, পত্রিকা, বাংলাদেশ, আজকের পত্রিকা, আন্তর্জাতিক, অর্থনীতি, খেলা, বিনোদন, ফিচার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চলচ্চিত্র, ঢালিউড, বলিউড, হলিউড, বাংলা গান, মঞ্চ, টেলিভিশন, নকশা, ছুটির দিনে, আনন্দ, অন্য আলো, সাহিত্য, বন্ধুসভা,কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, অটোমোবাইল, মহাকাশ, গেমস, মাল্টিমিডিয়া, রাজনীতি, সরকার, অপরাধ, আইন ও বিচার, পরিবেশ, দুর্ঘটনা, সংসদ, রাজধানী, শেয়ার বাজার, বাণিজ্য, পোশাক শিল্প, ক্রিকেট, ফুটবল, লাইভ স্কোর, Editor, সম্পাদক, এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ, A Z M Mainul Islam Palash, Brahmanbaria, Brahmanbaria Protidin, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন, Bandarban, Bandarban Protidin, বান্দরবন, বান্দরবন প্রতিদিন, Barguna, Barguna Protidin, বরগুনা, বরগুনা প্রতিদিন, Barisal, Barisal Protidin, বরিশাল, বরিশাল প্রতিদিন, Bagerhat, Bagerhat Protidin, বাগেরহাট, বাগেরহাট প্রতিদিন, Bhola, Bhola Protidin, ভোলা, ভোলা প্রতিদিন, Bogra, Bogra Protidin, বগুড়া, বগুড়া প্রতিদিন, Chandpur, Chandpur Protidin, চাঁদপুর, চাঁদপুর প্রতিদিন, Chittagong, Chittagong Protidin, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম প্রতিদিন, Chuadanga, Chuadanga Protidin, চুয়াডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা প্রতিদিন, Comilla, Comilla Protidin, কুমিল্লা, কুমিল্লা প্রতিদিন, Cox's Bazar, Cox's Bazar Protidin, কক্সবাজার, কক্সবাজার প্রতিদিন, Dhaka, Dhaka Protidin, ঢাকা, ঢাকা প্রতিদিন, Dinajpur, Dinajpur Protidin, দিনাজপুর, দিনাজপুর প্রতিদিন, Faridpur , Faridpur Protidin, ফরিদপুর, ফরিদপুর প্রতিদিন, Feni, Feni Protidin, ফেনী, ফেনী প্রতিদিন, Gaibandha, Gaibandha Protidin, গাইবান্ধা, গাইবান্ধা প্রতিদিন, Gazipur, Gazipur Protidin, গাজীপুর, গাজীপুর প্রতিদিন, Gopalganj, Gopalganj Protidin, গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ প্রতিদিন, Habiganj, Habiganj Protidin, হবিগঞ্জ, হবিগঞ্জ প্রতিদিন, Jaipurhat, Jaipurhat Protidin, জয়পুরহাট, জয়পুরহাট প্রতিদিন, Jamalpur, Jamalpur Protidin, জামালপুর, জামালপুর প্রতিদিন, Jessore, Jessore Protidin, যশোর, যশোর প্রতিদিন, Jhalakathi, Jhalakathi Protidin, ঝালকাঠী, ঝালকাঠী প্রতিদিন, Jhinaidah, Jhinaidah Protidin, ঝিনাইদাহ, ঝিনাইদাহ প্রতিদিন, Khagrachari, Khagrachari Protidin, খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি প্রতিদিন, Khulna, Khulna Protidin, খুলনা, খুলনা প্রতিদিন, Kishoreganj, Kishoreganj Protidin, কিশোরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ প্রতিদিন, Kurigram, Kurigram Protidin, কুড়িগ্রাম, কুড়িগ্রাম প্রতিদিন, Kushtia, Kushtia Protidin, কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া প্রতিদিন, Lakshmipur, Lakshmipur Protidin, লক্ষ্মীপুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিদিন, Lalmonirhat, Lalmonirhat Protidin, লালমনিরহাট, লালমনিরহাট প্রতিদিন, Madaripur, Madaripur Protidin, মাদারীপুর, মাদারীপুর প্রতিদিন, Magura, Magura Protidin, মাগুরা, মাগুরা প্রতিদিন, Manikganj, Manikganj Protidin, মানিকগঞ্জ, মানিকগঞ্জ প্রতিদিন, Meherpur, Meherpur Protidin, মেহেরপুর, মেহেরপুর প্রতিদিন, Moulvibazar, Moulvibazar Protidin, মৌলভীবাজার, মৌলভীবাজার প্রতিদিন, Munshiganj, Munshiganj Protidin, মুন্সীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিদিন, Mymensingh, Mymensingh Protidin, ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ প্রতিদিন, Naogaon, Naogaon Protidin, নওগাঁ, নওগাঁ প্রতিদিন, Narayanganj, Narayanganj Protidin, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন, Narsingdi, Narsingdi Protidin, নরসিংদী, নরসিংদী প্রতিদিন, Natore , Natore Protidin, নাটোর, নাটোর প্রতিদিন, Nawabgonj, Nawabgonj Protidin, নওয়াবগঞ্জ, নওয়াবগঞ্জ প্রতিদিন, Netrokona, Netrokona Protidin, নেত্রকোনা, নেত্রকোনা প্রতিদিন, Nilphamari, Nilphamari Protidin, নীলফামারী, নীলফামারী প্রতিদিন, Noakhali, Noakhali Protidin, নোয়াখালী, নোয়াখালী প্রতিদিন, Norai, Norai Protidin, নড়াইল, নড়াইল প্রতিদিন, Pabna, Pabna Protidin, পাবনা, পাবনা প্রতিদিন, Panchagarh, Panchagarh Protidin, পঞ্চগড়, পঞ্চগড় প্রতিদিন, Patuakhali, Patuakhali Protidin, পটুয়াখালী, পটুয়াখালী প্রতিদিন, Pirojpur, Pirojpur Protidin, পিরোজপুর, পিরোজপুর প্রতিদিন, Rajbari, Rajbari Protidin, রাজবাড়ী, রাজবাড়ী প্রতিদিন, Rajshahi , Rajshahi Protidin, রাজশাহী, রাজশাহী প্রতিদিন, Rangamati, Rangamati Protidin, রাঙ্গামাটি, রাঙ্গামাটি প্রতিদিন, Rangpur, Rangpur Protidin, রংপুর, রংপুর প্রতিদিন, Satkhira, Satkhira Protidin, সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা প্রতিদিন, Shariyatpur, Shariyatpur Protidin, শরীয়তপুর, শরীয়তপুর প্রতিদিন, Sherpur, Sherpur Protidin, শেরপুর, শেরপুর প্রতিদিন, Sirajgonj, Sirajgonj Protidin, সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন, Sunamganj, Sunamganj Protidin, সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ প্রতিদিন, Sylhet, Sylhet Protidin, সিলেট, সিলেট প্রতিদিন, Tangail, Tangail Protidin, টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল প্রতিদিন, Thakurgaon, Thakurgaon Protidin, ঠাকুরগাঁও, ঠাকুরগাঁও প্রতিদিন, ক্রাইম প্রতিদিন, ক্রাইম, প্রতিদিন, Crime, Protidin, অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, অমুবাচা, crimeprotidin

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে গণগ্রেফতার বন্ধ করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজি। সমস্যা যত বড়ই হোক, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান বের করা যায়। হেফাজতের মধ্যেও যদি কেউ অপতৎপরতা চালায়, আমরা তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেব।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হেফাজত মহাসচিবের পুত্র মাওলানা মুর্শেদ নুর গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী এসব কথা বলেন।
 
বিবৃতিতে সম্মতি জানিয়েছেন হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ও নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কালাম।

বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব বলেন, হেফাজত শুরুর দিন থেকেই সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন। হেফাজতের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। হেফাজতের কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাও নেই। হেফাজতের প্রধান প্রধান পদগুলোতে যারা রয়েছেন, তারাও সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বিশেষ করে বর্তমান আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী, প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এবং আমি, আমরা কখনই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না এবং বর্তমানেও নেই। হেফাজত শুধু দ্বীনি ইস্যুতে কর্মসূচি দিয়ে থাকে। এ যাবতকাল আমরা যতগুলো কর্মসূচি দিয়েছি, তার সবই দ্বীন ও দেশের স্বার্থে।

হেফাজতে ইসলাম দেশের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অরাজনৈতিক আধ্যাত্মিক সংগঠন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আল্লামা আহমদ শফী এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন। মৃত্যু অবধি তিনি এ সংগঠনের আমীরের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। শাইখুল ইসলামের ইন্তেকালের পর তার এই মহান আমানত তার উত্তরসূরি ওলামায়ে কেরামের হাতে ন্যস্ত হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তারই দেখানো পথে এ সংগঠনকে পরিচালিত করতে।
 
তিনি বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে বলেন, দেশে বর্তমান যে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা তৈরি হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে। হেফাজত মোদির সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের বিরোধিতা করেছে। এটা কোনো রাজনৈতিক ইস্যু বা দেশ বিরোধিতা নয়। অতীতে অনেকবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। আমরা তখন বিরোধিতা করিনি। মোদির আগমন বিরোধিতার কারণ তার ইসলাম বিদ্বেষ।

তিনি আরও বলেন, মোদি এবং তার দল ভারতের মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। মসজিদ ভেঙে মন্দির নির্মাণ করছে। কাশ্মীরে মুসলিম গণহত্যা ও জনগণের অধিকার হরণ করছে। এসব কারণেই আমরা মোদির আগমনের বিরোধিতা করেছি। তবে সেই বিরোধিতা বক্তব্য ও বিবৃতি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। হেফাজত মাঠের কোনো কর্মসূচি দেয়নি। বরং সংবাদ সম্মেলন করে হেফাজতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এ ইস্যুতে আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই। বিশেষ করে ২৬ মার্চ দেশের কোথায় হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি ছিল না।

হেফাজত মহাসচিব বলেন, কিন্তু ২৬ তারিখ জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে সাধারণ মুসল্লিদের সঙ্গে কিছু দুষ্কৃতকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এতে সাধারণ মুসল্লিদের অনেকেই আহত হন। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ করে সাধারণ ছাত্র জনতা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হেফাজত দুই দিনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করে। ২৭ মার্চ ছিল বিক্ষোভ সমাবেশ ও ২৮ মার্চ শান্তিপূর্ণ হরতাল।
 
হেফাজতের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করতে- এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে যেখানে নেতারা উপস্থিত ছিলেন, সেখানে কোনোপ্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। তবে যেসব জায়গায় নেতারা সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি, এমন কিছু জায়গায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নই এসব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পেছনে আসল ঘটনা কী! কারণ আমরা তো বারবার বলেছি আমাদের কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। তাহলে কারা করল এসব বিশৃঙ্খলা! হতে পারে কোনো অপশক্তি তাদের হীনউদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হেফাজতের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অনুপ্রবেশ করেছিল এবং হেফাজত ও হেফাজতের নেতাকর্মীদের দায়ী করার জন্য নানান বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল।

তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলেন, ২৬ তারিখ আমাদের কর্মসূচি ছিল না। বাইতুল মোকাররমে যারা বিক্ষোভ করেছে, তাদের সঙ্গে হেফাজতের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং ওই ঘটনায় পরিস্থিতি শান্ত করতে ভূমিকা রেখেছে হেফাজত। হেফাজতের দায়িত্বশীলরা সেদিন প্রশাসনের অনুরোধে মসজিদ থেকে বিক্ষোভরত মুসল্লিদের বের করে নিয়ে আসেন। হাটহাজারীতে যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেটাও কেন্দ্র ঘোষিত কোনো কর্মসূচি ছিল না। সেটা ছিল ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ। শুক্রবার হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। 

তাছাড়া ২৭ তারিখ বিক্ষোভ হেফাজতের ঘোষিত কর্মসূচি হলেও আমরা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত কর্মসূচি পালন করতে সক্ষম হয়েছি। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোথাও কোনো ঝামেলা তৈরি করতে দেওয়া হয়নি। ২৮ তারিখ হেফাজতের হরতাল কর্মসূচি ছিল। বারবার সংবাদ সম্মেলন করে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। নেতারা মাঠে থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। নেতারা থাকা অবস্থায় কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়নি বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

হেফাজত মহাসচিব বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি জায়গায় বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার সঙ্গে হেফাজতের হরতাল কর্মসূচির সরাসরি কোনো সম্পর্ক ছিল না। ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসায় হামলা করায় বিক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ মাঠে নেমে আসে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাব, মাদ্রাসায় হামলা ও তৌহিদী জনতাকে উস্কানি দেওয়ার পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করুন। এ ঘটনার সঙ্গে কোনো তৃতীয় পক্ষ যদি জড়িত থাকে, আপনারা তদন্ত করে বের করুন। এতে আমরাও সহযোগিতা করব ইনশাআল্লাহ। তারপরও পুরো ঘটনার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এক্ষেত্রে নেতাদের আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন ছিল বলে আমরা মনে করি। আগামীতে হেফাজতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এসব ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকবে ইনশাআল্লাহ। 

গত কয়েক দিন যাবত গণহারে প্রশাসন হেফাজত নেতাদের গ্রেফতার করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, মুফতী সাখাওয়াত হুসাইন রাজী ও মাওলানা জালাল আহমদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ঢাকা মহানগর সহসভাপতি মাওলানা যুবায়েদ আহমদ, কেন্দ্রীয় সহকারী অর্থ সম্পাদক মুফতী ইলিয়াস হামিদী, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মুফতী শরীফউল্লাহসহ অসংখ্য নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে জানতে চাই, কেন তাদের গ্রেফতার করা হলো। তারা তো কোনো সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। বরং তারা বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন।

তিনি বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, দেশের শান্তিশৃঙ্খলা আমরাও চাই, আপনারাও চান। আমরা কোনোভাবেই চাই না যে, দেশের মধ্যে অশান্তি তৈরি হোক। তাই আসুন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমস্যা থাকলে তার সমাধান করি। হেফাজতের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে সারা দেশের নেতাকর্মীরা কর্মসূচি চায়। কিন্তু আমরা দেশের করোনা পরিস্থিতি ও পবিত্র রমজান মাসের সম্মানে কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না।

হেফাজত মহাসচিব বলেন, সরকারকে বলব- আপনারা যেমন চাননি দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হোক, আমরাও সেটা চাইনি। কিন্তু এরপরও কিছু বিশৃঙ্খলা হয়েছে এবং এতে আমাদের ২২টি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। এতকিছুর পরেও আমরা চুপ রয়েছি। কারণ আমরা দেশ ও দেশের জনগণকে ভালোবাসি। দেশের তৌহিদী জনতাই আমাদের কর্মী। এ অবস্থায় নতুন কোনো কর্মসূচি দিয়ে দেশের পরিস্থিতি আরও নাজুক করতে চাই না।

নিউজটি শেয়ার করুন

 
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
-->

Shotoborshe Mujib, A Z M Mainul Islam Palash, Crime Protidin Media And Publication