বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে মা-বাবাকে কাজে ব্যস্ত রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। পরে ওই ছাত্রী ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। সোমবার নির্যাতিতাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম ননী গোপাল বিশ্বাস। তার বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা জানান, গতকাল বেলা ১১টার দিকে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর ননী গোপাল বিশ্বাস তাদের বাড়িতে যান। এ সময় তিনি করোনার সাহায্য দেওয়ার কথা বলে তার কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিসহ অন্যান্য কাগজপত্র ও মোবাইল নম্বর চান। এরপর তিনি ব্যবসার কাজে এবং তার স্ত্রী ওই কাগজের ফটোকপি করতে চিতলমারী সদর বাজারে যান। ঘণ্টাখানেক পরে তার স্ত্রী বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে জানায়, তারা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ননী গোপাল বিশ্বাস তাকে ধর্ষণ করেছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস পলাতক এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চিতলমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইকরাম হোসেন জানান, ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ বাগেরহাট সিভিল সার্জনের নিকট পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ওই ছাত্রীকে জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে। আসামি ননী গোপাল বিশ্বাসকে আটকের চেষ্টা চলছে।