লুটের নায়ক মাহবুবকে শাস্তিমূলক বদলি

  • শীর্ষ কাগজ
  • ২০২১-০৯-০১ ০১:১৭:২৮
popular bangla newspaper, daily news paper, breaking news, current news, online bangla newspaper, online paper, bd news, bangladeshi potrika, bangladeshi news portal, all bangla newspaper, bangla news, bd newspaper, bangla news 24, live, sports, polities, entertainment, lifestyle, country news, Breaking News, Crime protidin. Crime News, Online news portal, Crime News 24, Crime bangla news, National, International, Live news, daily Crime news, Online news portal, bangladeshi newspaper, bangladesh news, bengali news paper, news 24, bangladesh newspaper, latest bangla news, Deshe Bideshe, News portal, Bangla News online, bangladeshi news online, bdnews online, 24 news online, English News online, World news service, daily news bangla, Top bangla news, latest news, Bangla news, online news, bangla news website, bangladeshi online news site, bangla news web site, all bangla newspaper, newspaper, all bangla news, newspaper bd, online newspapers bangladesh, bangla potrika, bangladesh newspaper online, all news paper, news paper, all online bangla newspaper, bangla news paper, all newspaper bangladesh, bangladesh news papers, online bangla newspaper, news paper bangla, all bangla online newspaper, bdnewspapers, bd bangla news paper, bangla newspaper com, bangla newspaper all, all bangla newspaper bd, bangladesh newspapers online, daily news paper in bangladesh, bd all news paper, daily newspaper in bangladesh, Bangladesh pratidin, crime pratidin, অনলাইন, পত্রিকা, বাংলাদেশ, আজকের পত্রিকা, আন্তর্জাতিক, অর্থনীতি, খেলা, বিনোদন, ফিচার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চলচ্চিত্র, ঢালিউড, বলিউড, হলিউড, বাংলা গান, মঞ্চ, টেলিভিশন, নকশা, ছুটির দিনে, আনন্দ, অন্য আলো, সাহিত্য, বন্ধুসভা,কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, অটোমোবাইল, মহাকাশ, গেমস, মাল্টিমিডিয়া, রাজনীতি, সরকার, অপরাধ, আইন ও বিচার, পরিবেশ, দুর্ঘটনা, সংসদ, রাজধানী, শেয়ার বাজার, বাণিজ্য, পোশাক শিল্প, ক্রিকেট, ফুটবল, লাইভ স্কোর, Editor, সম্পাদক, এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ, A Z M Mainul Islam Palash, Brahmanbaria, Brahmanbaria Protidin, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন, Bandarban, Bandarban Protidin, বান্দরবন, বান্দরবন প্রতিদিন, Barguna, Barguna Protidin, বরগুনা, বরগুনা প্রতিদিন, Barisal, Barisal Protidin, বরিশাল, বরিশাল প্রতিদিন, Bagerhat, Bagerhat Protidin, বাগেরহাট, বাগেরহাট প্রতিদিন, Bhola, Bhola Protidin, ভোলা, ভোলা প্রতিদিন, Bogra, Bogra Protidin, বগুড়া, বগুড়া প্রতিদিন, Chandpur, Chandpur Protidin, চাঁদপুর, চাঁদপুর প্রতিদিন, Chittagong, Chittagong Protidin, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম প্রতিদিন, Chuadanga, Chuadanga Protidin, চুয়াডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা প্রতিদিন, Comilla, Comilla Protidin, কুমিল্লা, কুমিল্লা প্রতিদিন, Cox's Bazar, Cox's Bazar Protidin, কক্সবাজার, কক্সবাজার প্রতিদিন, Dhaka, Dhaka Protidin, ঢাকা, ঢাকা প্রতিদিন, Dinajpur, Dinajpur Protidin, দিনাজপুর, দিনাজপুর প্রতিদিন, Faridpur , Faridpur Protidin, ফরিদপুর, ফরিদপুর প্রতিদিন, Feni, Feni Protidin, ফেনী, ফেনী প্রতিদিন, Gaibandha, Gaibandha Protidin, গাইবান্ধা, গাইবান্ধা প্রতিদিন, Gazipur, Gazipur Protidin, গাজীপুর, গাজীপুর প্রতিদিন, Gopalganj, Gopalganj Protidin, গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ প্রতিদিন, Habiganj, Habiganj Protidin, হবিগঞ্জ, হবিগঞ্জ প্রতিদিন, Jaipurhat, Jaipurhat Protidin, জয়পুরহাট, জয়পুরহাট প্রতিদিন, Jamalpur, Jamalpur Protidin, জামালপুর, জামালপুর প্রতিদিন, Jessore, Jessore Protidin, যশোর, যশোর প্রতিদিন, Jhalakathi, Jhalakathi Protidin, ঝালকাঠী, ঝালকাঠী প্রতিদিন, Jhinaidah, Jhinaidah Protidin, ঝিনাইদাহ, ঝিনাইদাহ প্রতিদিন, Khagrachari, Khagrachari Protidin, খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি প্রতিদিন, Khulna, Khulna Protidin, খুলনা, খুলনা প্রতিদিন, Kishoreganj, Kishoreganj Protidin, কিশোরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ প্রতিদিন, Kurigram, Kurigram Protidin, কুড়িগ্রাম, কুড়িগ্রাম প্রতিদিন, Kushtia, Kushtia Protidin, কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া প্রতিদিন, Lakshmipur, Lakshmipur Protidin, লক্ষ্মীপুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিদিন, Lalmonirhat, Lalmonirhat Protidin, লালমনিরহাট, লালমনিরহাট প্রতিদিন, Madaripur, Madaripur Protidin, মাদারীপুর, মাদারীপুর প্রতিদিন, Magura, Magura Protidin, মাগুরা, মাগুরা প্রতিদিন, Manikganj, Manikganj Protidin, মানিকগঞ্জ, মানিকগঞ্জ প্রতিদিন, Meherpur, Meherpur Protidin, মেহেরপুর, মেহেরপুর প্রতিদিন, Moulvibazar, Moulvibazar Protidin, মৌলভীবাজার, মৌলভীবাজার প্রতিদিন, Munshiganj, Munshiganj Protidin, মুন্সীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিদিন, Mymensingh, Mymensingh Protidin, ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ প্রতিদিন, Naogaon, Naogaon Protidin, নওগাঁ, নওগাঁ প্রতিদিন, Narayanganj, Narayanganj Protidin, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন, Narsingdi, Narsingdi Protidin, নরসিংদী, নরসিংদী প্রতিদিন, Natore , Natore Protidin, নাটোর, নাটোর প্রতিদিন, Nawabgonj, Nawabgonj Protidin, নওয়াবগঞ্জ, নওয়াবগঞ্জ প্রতিদিন, Netrokona, Netrokona Protidin, নেত্রকোনা, নেত্রকোনা প্রতিদিন, Nilphamari, Nilphamari Protidin, নীলফামারী, নীলফামারী প্রতিদিন, Noakhali, Noakhali Protidin, নোয়াখালী, নোয়াখালী প্রতিদিন, Norai, Norai Protidin, নড়াইল, নড়াইল প্রতিদিন, Pabna, Pabna Protidin, পাবনা, পাবনা প্রতিদিন, Panchagarh, Panchagarh Protidin, পঞ্চগড়, পঞ্চগড় প্রতিদিন, Patuakhali, Patuakhali Protidin, পটুয়াখালী, পটুয়াখালী প্রতিদিন, Pirojpur, Pirojpur Protidin, পিরোজপুর, পিরোজপুর প্রতিদিন, Rajbari, Rajbari Protidin, রাজবাড়ী, রাজবাড়ী প্রতিদিন, Rajshahi , Rajshahi Protidin, রাজশাহী, রাজশাহী প্রতিদিন, Rangamati, Rangamati Protidin, রাঙ্গামাটি, রাঙ্গামাটি প্রতিদিন, Rangpur, Rangpur Protidin, রংপুর, রংপুর প্রতিদিন, Satkhira, Satkhira Protidin, সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা প্রতিদিন, Shariyatpur, Shariyatpur Protidin, শরীয়তপুর, শরীয়তপুর প্রতিদিন, Sherpur, Sherpur Protidin, শেরপুর, শেরপুর প্রতিদিন, Sirajgonj, Sirajgonj Protidin, সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন, Sunamganj, Sunamganj Protidin, সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ প্রতিদিন, Sylhet, Sylhet Protidin, সিলেট, সিলেট প্রতিদিন, Tangail, Tangail Protidin, টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল প্রতিদিন, Thakurgaon, Thakurgaon Protidin, ঠাকুরগাঁও, ঠাকুরগাঁও প্রতিদিন, ক্রাইম প্রতিদিন, ক্রাইম, প্রতিদিন, Crime, Protidin, অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, অমুবাচা, crimeprotidin

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ) এর কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি-লুটপাটের হোতা হিসাব রক্ষক মাহবুবুর রহমানকে অবশেষে পটুয়াখালীতে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ এবং আমাদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে অফিসিয়ালি খোঁজখবর নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অবশেষে বাধ্য হন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বদলির ব্যবস্থা নিতে। 

গত ৩ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) এর স্বাক্ষরে মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে আইপিএইচ থেকে পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জের কাঠালতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক পদে বদলি করা হয়। বদলির সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজও করা হয়। বদলির আদেশে বলা হয়েছে, “এই আদেশ প্রশাসনিক কারণে জারি করা হইলো এবং আদেশ জারির ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে ছাড়পত্র গ্রহণ করিতে হইবে। অন্যথায় ০৪ (চার) কর্মদিবসের দিন হইতে সরাসরি অব্যাহতি পাইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।” 

এই বদলির আদেশ জারির পর শীর্ষ দুর্নীতিবাজ মাহবুবুর রহমান বিভিন্ন মহলে ব্যাপক তদবির চালিয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভব হয়নি, যেহেতু স্ট্যান্ড রিলিজ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে।  

দেশের একমাত্র স্যালাইন উৎপাদনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ)। কিন্তু এখানে দীঘদিন ধরে দুর্নীতির রামরাজত্ব চালিয়ে আসছে একটি চক্র। বছরের পর বছর ধরে টেন্ডার ঘাপলা, অবৈধভাবে কোটেশন, ভুয়া বিল-ভাউচারসহ নানা রকমের অপকর্মের মাধ্যমে  কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে চক্রটি। 

শুধু তাই নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমুহের সঙ্গে যোগসাজশে সরকারের স্বাস্থ্যখাতের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটিকে একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত করারও চক্রান্ত চালিয়েছে এই চক্র। এই চক্রেরই মূল হোতা মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, যিনি প্রতিষ্ঠানটিতে ১৯৯২ সাল থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে হিসাব রক্ষকের পদে আছেন। এই প্রতিষ্ঠানে পরিচালকসহ বিভিন্ন পদের কর্মকর্তারা অন্যত্র থেকে নতুন পদায়ন হয়ে আসছেন, আবার বদলি হয়ে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু মাহবুব বহালই থেকে যাচ্ছেন। পরিচালকসহ অন্য পদগুলোতে যখন যিনি আসেন তাকে শুরুতেই মাহবুব ম্যানেজ করে নেন। এরপর নিজের ইচ্ছেমতো দুর্নীতি-লুটপাট চালাতে থাকেন। 

ইতিপূর্বে একাধিক প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। অন্য গণমাধ্যমেও ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। দুদক হাতেনাতে দুর্নীতি ধরেছে। বিভিন্ন সময়ে একাধিক তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। সেইসব তদন্ত কোনো না কোনোভাবে ধামাচাপা দিয়ে বহাল তবিয়তেই থেকেছেন মাহবুবুর রহমান। তবে সর্বশেষ চলতি বছরের প্রথমদিকে একটি তদন্ত কমিটি কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কোয়ারেন্টাইনের অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতির প্রমাণের প্রতিবেদন দাখিল করে মাহবুবের বিরুদ্ধে। যার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চালু করে। বিভাগীয় মামলায় তার শুনানিও নেয়া হয়। কিন্তু দুর্নীতি প্রমাণের পর ফেব্রুয়ারি মাসে বিভাগীয় মামলা চালু হলেও অধিদফতর তার বিরুদ্ধে এতোদিন কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছিলো না। বরং এটি পুরোপুরি ধামাচাপা দেয়ার পাঁয়তারা চলছিলো। এরজন্য কোটি টাকার লেনদেনও হয়ে গিয়েছিলো। 

আমাদের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান এবং সুনির্দিষ্টভাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে এ বিষয়ে জবাব চাওয়ায় অবশেষে অধিদফতর বাধ্য হয় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বদলির ব্যবস্থা নিতে। 
 
তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মাহবুবুর রহমান দুর্নীতি-লুটপাটের মধ্য দিয়ে সরকারের যে অর্থ আত্মসাত করেছেন এবং জীবন রক্ষাকারী স্যালাইন উৎপাদনকারী দেশের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট চক্রান্তমূলকভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন- এজন্য শুধু বদলিই নয়, চাকরিচ্যুতি, জেল-জরিমানাসহ তার আরো কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।
 
ইতিপূর্বে দেশের সরকারি সব হাসপাতালে আইভি ফ্লুইড স্যালাইন সরবরাহ করত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ)। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এর উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। 

যদিও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ওষুধ প্রশাসন এর উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কিন্তু নেপথ্যে রয়েছে বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিগুলো এবং আইপিএইচ এর দুর্নীতিবাজচক্রের যোগসাজশ ও সুগভীর ষড়যন্ত্র। আইপিএইচ এর স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে বাজারে বেড়েছে স্যালাইনের দাম, বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে রোগীদের। মাঝ থেকে রমরমা বাণিজ্য করছে বেসরকারি উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো। 

সরকারি এক হিসাবে দেখা গেছে, দেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে বাজেটের ৬১ শতাংশই ব্যয় হচ্ছে ওষুধে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় আইভি ফ্লইডে। জানা গেছে, আইপিএইচে গত ৫০ বছর ধরেই ২২ ধরনের স্যালাইন, ব্লাডব্যাগ, ট্রান্সফিউশন সেট উৎপাদন করা হচ্ছিল। এতে বছরে এক লাখের বেশি ব্লাডব্যাগ তৈরি হতো, যা দেশের মোট চাহিদার সাত ভাগের এক ভাগ। উৎপাদন করত বিভিন্ন ধরনের ১৪-১৭ লাখ স্যালাইন। এসব স্যালাইন কম দামে সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা হতো। দামের প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছিল না বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। 

অভিযোগ রয়েছে, উৎপাদনের মানসম্মত চর্চা নেই- এমন অজুহাতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ২০১৯ সালের আগস্টে আইপিএইচের উৎপাদন স্থগিত করে। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক ও তৎকালীন সচিব (অব.) আসাদুল ইসলাম কারখানা পরিদর্শনের পর এটি বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এতে কলকাঠি নেড়েছে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। 
 
অবশ্য, এর আগে দীর্ঘদিন থেকেই জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন ধরনের স্যালাইন উৎপাদন বন্ধের চক্রান্ত চলছিলো। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সরাসরি অভিযান চালিয়ে দুর্নীতিবাজদের চক্রান্ত ও অপকর্মের প্রমাণও পায় হাতেনাতে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টিম ১ জুলাই, ২০১৮ মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আকস্মিক অভিযান চালায়। উপ-পরিচালক সাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম স্যালাইন উৎপাদনকারী এই সরকারি প্রতিষ্ঠানে ওই দিন বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে ১০৬-এ ফোন করে ভুক্তভোগী জনসাধারণের পক্ষ থেকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে দুদক টিম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে বেশ কিছু দুর্নীতি-অনিয়ম ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের সন্ধান পায়। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের তৎকালীন পরিচালকও উপস্থিত ছিলেন। 

দুদকের কাছে অভিযোগ আসে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটিতে এক বছরে স্যালাইন উৎপাদন প্রায় বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে কাঁচামাল ক্রয় বন্ধ রাখায় স্যালাইন উৎপাদন শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ রেখে বেসরকারি স্যালাইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে রমরমা বাণিজ্যের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। 

অভিযানকালে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের তখনকার পরিচালক ডা. আবুল কালাম মো. আজাদ স্বীকার করেন, কাঁচামাল কিনতে না পারায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তিনি দাবি করেন, গত অর্থবছরে এ প্রতিষ্ঠানের বাজেটের ৮ কোটি টাকা ফেরত গেছে। কিন্তু, আরও বিভিন্ন খাতে প্রতিষ্ঠানের যে কোটি কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে সেগুলোর যৌক্তিকতা সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি পরিচালক ডা. আজাদ।

অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হলেও কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নন। অবিলম্বে এ প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতার পূর্ণ সদ্ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গোচরে আনা হবে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কোনো যৌক্তিক কারণ ও ভিত্তি ছাড়া উৎপাদন বন্ধ রাখাও এক ধরনের দুর্নীতি। অনুসন্ধানে এ দুর্নীতি প্রমাণিত হলে দুদকের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

কিন্তু জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেট এতো শক্তিশালী যে, দুদকের ওই পদক্ষেপও তারা এক পর্যায়ে থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে চক্রান্ত করে মন্ত্রণালয় ও ওষুধ প্রশাসনকে দিয়ে জনস্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউটের উৎপাদিত স্যালাইনসমুহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জীবন রক্ষাকারী স্যালাইন আইভি ফ্লুইড উৎপদান একেবারে বন্ধই করে দেয়া এই চক্রটি।

উল্লেখ্য, এক সময় শুধু স্যালাইনই নয়, গুরুত্বপূর্ণ টিকাও উৎপাদন করতো জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। এমনকি বিদেশে রফতানিও করা হতো জনস্বাস্থ্য ইনস্টিউটের টিকা। কিন্তু এখন টিকা উৎপাদন দূরের কথা, ক্রমান্বয়ে স্যালাইন উৎপাদনের সক্ষমতাও হারাচ্ছে এই দুর্নীতিবাজচক্রের ধারাবাহিক চক্রান্তে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

 
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
-->

Shotoborshe Mujib, A Z M Mainul Islam Palash, Crime Protidin Media And Publication