যৌন হয়রানি ও আইনগত অধিকার

  • ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক
  • ২০২১-১১-১২ ১৩:০৭:২৮
popular bangla newspaper, daily news paper, breaking news, current news, online bangla newspaper, online paper, bd news, bangladeshi potrika, bangladeshi news portal, all bangla newspaper, bangla news, bd newspaper, bangla news 24, live, sports, polities, entertainment, lifestyle, country news, Breaking News, Crime protidin. Crime News, Online news portal, Crime News 24, Crime bangla news, National, International, Live news, daily Crime news, Online news portal, bangladeshi newspaper, bangladesh news, bengali news paper, news 24, bangladesh newspaper, latest bangla news, Deshe Bideshe, News portal, Bangla News online, bangladeshi news online, bdnews online, 24 news online, English News online, World news service, daily news bangla, Top bangla news, latest news, Bangla news, online news, bangla news website, bangladeshi online news site, bangla news web site, all bangla newspaper, newspaper, all bangla news, newspaper bd, online newspapers bangladesh, bangla potrika, bangladesh newspaper online, all news paper, news paper, all online bangla newspaper, bangla news paper, all newspaper bangladesh, bangladesh news papers, online bangla newspaper, news paper bangla, all bangla online newspaper, bdnewspapers, bd bangla news paper, bangla newspaper com, bangla newspaper all, all bangla newspaper bd, bangladesh newspapers online, daily news paper in bangladesh, bd all news paper, daily newspaper in bangladesh, Bangladesh pratidin, crime pratidin, অনলাইন, পত্রিকা, বাংলাদেশ, আজকের পত্রিকা, আন্তর্জাতিক, অর্থনীতি, খেলা, বিনোদন, ফিচার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চলচ্চিত্র, ঢালিউড, বলিউড, হলিউড, বাংলা গান, মঞ্চ, টেলিভিশন, নকশা, ছুটির দিনে, আনন্দ, অন্য আলো, সাহিত্য, বন্ধুসভা,কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, অটোমোবাইল, মহাকাশ, গেমস, মাল্টিমিডিয়া, রাজনীতি, সরকার, অপরাধ, আইন ও বিচার, পরিবেশ, দুর্ঘটনা, সংসদ, রাজধানী, শেয়ার বাজার, বাণিজ্য, পোশাক শিল্প, ক্রিকেট, ফুটবল, লাইভ স্কোর, Editor, সম্পাদক, এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ, A Z M Mainul Islam Palash, Brahmanbaria, Brahmanbaria Protidin, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন, Bandarban, Bandarban Protidin, বান্দরবন, বান্দরবন প্রতিদিন, Barguna, Barguna Protidin, বরগুনা, বরগুনা প্রতিদিন, Barisal, Barisal Protidin, বরিশাল, বরিশাল প্রতিদিন, Bagerhat, Bagerhat Protidin, বাগেরহাট, বাগেরহাট প্রতিদিন, Bhola, Bhola Protidin, ভোলা, ভোলা প্রতিদিন, Bogra, Bogra Protidin, বগুড়া, বগুড়া প্রতিদিন, Chandpur, Chandpur Protidin, চাঁদপুর, চাঁদপুর প্রতিদিন, Chittagong, Chittagong Protidin, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম প্রতিদিন, Chuadanga, Chuadanga Protidin, চুয়াডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা প্রতিদিন, Comilla, Comilla Protidin, কুমিল্লা, কুমিল্লা প্রতিদিন, Cox's Bazar, Cox's Bazar Protidin, কক্সবাজার, কক্সবাজার প্রতিদিন, Dhaka, Dhaka Protidin, ঢাকা, ঢাকা প্রতিদিন, Dinajpur, Dinajpur Protidin, দিনাজপুর, দিনাজপুর প্রতিদিন, Faridpur , Faridpur Protidin, ফরিদপুর, ফরিদপুর প্রতিদিন, Feni, Feni Protidin, ফেনী, ফেনী প্রতিদিন, Gaibandha, Gaibandha Protidin, গাইবান্ধা, গাইবান্ধা প্রতিদিন, Gazipur, Gazipur Protidin, গাজীপুর, গাজীপুর প্রতিদিন, Gopalganj, Gopalganj Protidin, গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ প্রতিদিন, Habiganj, Habiganj Protidin, হবিগঞ্জ, হবিগঞ্জ প্রতিদিন, Jaipurhat, Jaipurhat Protidin, জয়পুরহাট, জয়পুরহাট প্রতিদিন, Jamalpur, Jamalpur Protidin, জামালপুর, জামালপুর প্রতিদিন, Jessore, Jessore Protidin, যশোর, যশোর প্রতিদিন, Jhalakathi, Jhalakathi Protidin, ঝালকাঠী, ঝালকাঠী প্রতিদিন, Jhinaidah, Jhinaidah Protidin, ঝিনাইদাহ, ঝিনাইদাহ প্রতিদিন, Khagrachari, Khagrachari Protidin, খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি প্রতিদিন, Khulna, Khulna Protidin, খুলনা, খুলনা প্রতিদিন, Kishoreganj, Kishoreganj Protidin, কিশোরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ প্রতিদিন, Kurigram, Kurigram Protidin, কুড়িগ্রাম, কুড়িগ্রাম প্রতিদিন, Kushtia, Kushtia Protidin, কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া প্রতিদিন, Lakshmipur, Lakshmipur Protidin, লক্ষ্মীপুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিদিন, Lalmonirhat, Lalmonirhat Protidin, লালমনিরহাট, লালমনিরহাট প্রতিদিন, Madaripur, Madaripur Protidin, মাদারীপুর, মাদারীপুর প্রতিদিন, Magura, Magura Protidin, মাগুরা, মাগুরা প্রতিদিন, Manikganj, Manikganj Protidin, মানিকগঞ্জ, মানিকগঞ্জ প্রতিদিন, Meherpur, Meherpur Protidin, মেহেরপুর, মেহেরপুর প্রতিদিন, Moulvibazar, Moulvibazar Protidin, মৌলভীবাজার, মৌলভীবাজার প্রতিদিন, Munshiganj, Munshiganj Protidin, মুন্সীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিদিন, Mymensingh, Mymensingh Protidin, ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ প্রতিদিন, Naogaon, Naogaon Protidin, নওগাঁ, নওগাঁ প্রতিদিন, Narayanganj, Narayanganj Protidin, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন, Narsingdi, Narsingdi Protidin, নরসিংদী, নরসিংদী প্রতিদিন, Natore , Natore Protidin, নাটোর, নাটোর প্রতিদিন, Nawabgonj, Nawabgonj Protidin, নওয়াবগঞ্জ, নওয়াবগঞ্জ প্রতিদিন, Netrokona, Netrokona Protidin, নেত্রকোনা, নেত্রকোনা প্রতিদিন, Nilphamari, Nilphamari Protidin, নীলফামারী, নীলফামারী প্রতিদিন, Noakhali, Noakhali Protidin, নোয়াখালী, নোয়াখালী প্রতিদিন, Norai, Norai Protidin, নড়াইল, নড়াইল প্রতিদিন, Pabna, Pabna Protidin, পাবনা, পাবনা প্রতিদিন, Panchagarh, Panchagarh Protidin, পঞ্চগড়, পঞ্চগড় প্রতিদিন, Patuakhali, Patuakhali Protidin, পটুয়াখালী, পটুয়াখালী প্রতিদিন, Pirojpur, Pirojpur Protidin, পিরোজপুর, পিরোজপুর প্রতিদিন, Rajbari, Rajbari Protidin, রাজবাড়ী, রাজবাড়ী প্রতিদিন, Rajshahi , Rajshahi Protidin, রাজশাহী, রাজশাহী প্রতিদিন, Rangamati, Rangamati Protidin, রাঙ্গামাটি, রাঙ্গামাটি প্রতিদিন, Rangpur, Rangpur Protidin, রংপুর, রংপুর প্রতিদিন, Satkhira, Satkhira Protidin, সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা প্রতিদিন, Shariyatpur, Shariyatpur Protidin, শরীয়তপুর, শরীয়তপুর প্রতিদিন, Sherpur, Sherpur Protidin, শেরপুর, শেরপুর প্রতিদিন, Sirajgonj, Sirajgonj Protidin, সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন, Sunamganj, Sunamganj Protidin, সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ প্রতিদিন, Sylhet, Sylhet Protidin, সিলেট, সিলেট প্রতিদিন, Tangail, Tangail Protidin, টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল প্রতিদিন, Thakurgaon, Thakurgaon Protidin, ঠাকুরগাঁও, ঠাকুরগাঁও প্রতিদিন, ক্রাইম প্রতিদিন, ক্রাইম, প্রতিদিন, Crime, Protidin, অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, অমুবাচা, crimeprotidin

যৌন হয়রানি কথাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের মনে একজন নারীর প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে। কারণ এ সমাজে খুব কমসংখ্যক নারীই রয়েছেন, যারা জীবনে একবারও যৌন হয়রানির শিকার হননি। অথচ দুঃখজনকভাবে খুব কমসংখ্যকই আছেন, যারা এর প্রতিবাদ করেছেন অথবা করতে পেরেছেন। প্রতিবাদ করতে না পারার কারণ হয়তো যিনি হয়রানি করছেন, তিনি বাড়িরই কেউ বা আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক, প্রতিবেশী অথবা পরিচিত কেউ। অথবা লজ্জা বা সংকোচের কারণে বলা থেকে না বলাটাই ভালো বলে মনে হয়।

অপ্রিয় হলেও সত্য, অপরাধ যখন যৌনতাকেন্দ্রিক হয়, তখন দুঃখজনকভাবে অপরাধীর চেয়ে অপরাধের শিকার হওয়া ব্যক্তিকেই বেশি লজ্জা, সংকোচ ও দোষারোপের মধ্যে পড়তে হয়। কিন্তু এ ধারণাটি পুরনো; এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। একটা ব্যাপার আমরা ভুলে যাই, যিনি হয়রানি করছেন, তিনি কিন্তু ভুলে যাচ্ছেন যে, তার পরিবারেরই কেউ অথবা পরিচিতদের মধ্যে একজন। লজ্জা তার, যিনি অপরাধ করছেন; দোষী তিনি, যিনি হয়রানি করছেন। নারীর পোশাক, অবস্থান, কর্মকাণ্ড কিছুই এ ধরনের হয়রানির জন্য দায়ী নয়। এ বিষয়টি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করা অপরিহার্য। সুতরাং প্রতিবাদ করতে হবে, অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে, যৌন হয়রানি দেশের ফৌজদারি আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

প্রতিবাদ কীভাবে করা যাবে, সেটিও জানা দরকার। যদি যৌন হয়রানি আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা কর্মক্ষেত্রে হয়, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের যৌন হয়রানি প্রতিরোধক কমিটি বরাবর অভিযোগ করা যেতে পারে। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে একটি যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। সুতরাং আশা করা যায়, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এই কমিটি বর্তমান। এ ক্ষেত্রে মনে রাখবেন, যিনি হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং যিনি হয়রানি করছেন, দু'জনই ওই প্রতিষ্ঠানের অংশ। নির্যাতনকারী বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্যাতিতার তুলনায় উচ্চপদস্থ হয়ে থাকে। তাই নিজের চেয়ে বেশি ক্ষমতাধর ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনতে গেলে উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে হবে। প্রমাণ সংগ্রহের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। অডিও বা ভিডিও রেকর্ডিং, স্ট্ক্রিনশট, কল রেকর্ডার সহায়তা করতে পারে। কিন্তু প্রতিটি মুহূর্তে সচেতন থাকতে হবে। প্রথম যেদিন মনে হবে আপনার প্রতি হওয়া কাজটি হয়রানিমূলক, সে মুহূর্তে মৌখিক প্রতিবাদ করা জরুরি। যদি কোনো কারণে মৌখিক প্রতিবাদ করতে না পারেন, তাহলে অন্তত যত দ্রুত সম্ভব হয়রানিমূলক কাজটি কোনোভাবে রেকর্ড করার চেষ্টা করবেন, যা পরবর্তী সময় অভিযোগটি প্রমাণ করার জন্য সহায়ক হতে পারে।

এখন আসি পাবলিক প্লেস প্রসঙ্গে। পাবলিক প্লেসে যৌন হয়রানির শিকার হলে দু'ভাবে অভিযোগ করা যেতে পারে। একটি হলো মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ অনুযায়ী মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ। আপনি যদি দণ্ডবিধি আইনের ধারা ৫০৯, ৩৫৪ অথবা ২৯৪-এর অধীনে সংঘটিত কোনো অপরাধের শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে অভিযোগ করতে পারবেন; কারণ যৌন হয়রানি সংক্রান্ত এই ধারাগুলো মোবাইল কোর্টের অধিক্ষেত্রভুক্ত। ধারাগুলো সমন্বয় করে বলছি : যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নারীর শালীনতার অমর্যাদার অভিপ্রায়ে কোনো মন্তব্য, শব্দ বা অঙ্গভঙ্গি করে বা কোনো বস্তু প্রদর্শন করে, কোনো নারীর শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে তাকে আক্রমণ ও তার প্রতি অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, তাহলে মোবাইল কোর্ট বরাবর অভিযোগ করা যেতে পারে। এ ধারাগুলোর অধীনে যদিও সব ধরনের যৌন হয়রানি অন্তর্ভুক্ত নয়, তবে বেশিরভাগই এর আওতাভুক্ত। যদি যৌন হয়রানির ঘটনাটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে মোবাইল কোর্টের শরণাপন্ন হওয়া শ্রেয়।

এবার আসা যাক, কীভাবে মোবাইল কোর্টের কাছে অভিযোগটি দাখিল করা যাবে। প্রথমে কম্পিউটারের ব্রাউজিং অপশনে ecourt.gov.bd-এই ঠিকানায় যেতে হবে। একটি ফরম স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে দেখা যাবে। ফরমটিতে নাম, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ই-মেইল, ঠিকানা এবং অভিযোগের বিবরণ লিখে জেলা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন বাছাই করে অভিযোগটি পাঠাতে হবে। অনেকের মনে সংশয় থাকে, অভিযোগকারীর তথ্য গোপন থাকবে কি-না। সে সুযোগ রয়েছে। মোবাইল কোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে 'সচরাচর জিজ্ঞাসা' বাটনে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন, এখানে অনেক প্রশ্নের মধ্যে একটি হলো, অভিযোগকারীর গোপনীয়তা নিশ্চিত হবে কি-না? সেখানে গোপনীয়তার চেয়ে দাখিলকৃত কোনো নাগরিক অভিযোগ শুধু জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার স্বতন্ত্র প্রোফাইলে দেখতে পাবেন। এতে অভিযোগকারীর গোপনীয়তা নিশ্চিতভাবে রক্ষা হবে। কেউ যদি শপিংমল, গণপরিবহন, রাস্তাঘাট ইত্যাদি জায়গায় যৌন হয়রানির শিকার হন, তাহলে এসব ক্ষেত্রে অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা প্রায় অসম্ভব। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুব দ্রুত ঘটনাটি ঘটে যায় এবং অপরাধী দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। অপরাধী সাধারণত অপরিচিত হয় আর এসব ঘটনায় অনেক সময় প্রমাণ রাখাও সম্ভব হয় না। তাই এসব ক্ষেত্রে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশ ডাকা সহজ ও কার্যকর। ৯৯৯ একটি কার্যকর হেল্পলাইন নম্বর। এতে ফোন করে যে কোনো অপরাধ সম্পর্কে অভিযোগ করা যায়।

আজকাল আমাদের সর্বক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী স্মার্টফোন। কিন্তু ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা যখন আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো শেয়ার করি, তখন সচেতন হওয়া জরুরি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেউ যদি হয়রানিমূলক কোনো আচরণ করে, তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে মহিলা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খোলা 'ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার ফর ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন'-এর সহায়তা পাওয়া যাবে। এ জন্য ১০৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশি সহযোগিতা, আইনগত উপদেশ, অভিযোগ দাখিল ইত্যাদি বিষয়ে সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। ন্যাশনাল হেল্পলাইন নম্বর ১০৯-এ ফোন করে সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। অথবা র‌্যাবর সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করা যেতে পারে (০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮)। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে হয়রানিগুলো হয় সেগুলো আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বুঝে উঠতে পারি না যে, কী করা উচিত। সে ক্ষেত্রে 'ইনসাইট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন' নামক একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ প্রদান করে। এর মাধ্যমে খুব দ্রুত আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি এবং অভিযোগ দাখিল করতে পারি।

এ ছাড়াও অভিযোগ করার একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের 'উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন'। এদের চারটি হেল্পলাইন নম্বর হলো : ০১৭৫৫৫৫৬৬৪৪, ০১৭৫৫৫৫৬৬৪৫, ০১৭৩৩২১৯০০৫ ও ০১৭৩৩২১৯০৩০। এর মাধ্যমে কুইক রেসপন্স টিমের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। এই ইউনিট আপনার অভিযোগটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে এবং সহযোগিতা করবে।

উল্লেখ্য, এই টিমের সদস্যদের সবাই নারী। সবশেষে বলতে চাই, আইন আছে, আইনের প্রয়োগ এবং ঘটনার প্রতিবাদ করা জরুরি। তা না হলে আইন আমাদের সহায়তা করতে পারবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

 
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
-->

Shotoborshe Mujib, A Z M Mainul Islam Palash, Crime Protidin Media And Publication