বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সূত্র জানিয়েছে, ৪৪তম বিসিএসে মোট আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ না হওয়ার কারণে এ বিসিএসের আবেদনের সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছিল।
গত ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। প্রথম দফায় আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে ২৭ মে।
৪৪তম বিসিএস হবে সাধারণ (জেনারেল)। এ বিসিএসে ১ হাজার ৭১০ জনকে নেয়া হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জনকে নেয়া হবে।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল ৪১তম বিসিএসে। ওই বিসিএসে ৪ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ৪৩তম বিসিএসে আবেদন পড়েছিল ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০টি। ৪০তম বিসিএসে আবেদন পড়েছিল ৪ লাখ ১২ হাজার। আবেদনের হিসাবে ৪৩তম বিসিএস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ব্রুনেই, বাহামা, আইসল্যান্ড, বার্বাডোজ, সেন্ট লুসিয়া, গ্রেনাডাসহ কয়েকটি দেশের জনসংখ্যাও এত নয়, যত জন ৪৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, করে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন।
প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আগ্রহী প্রার্থীরা কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে তাদের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করতে পারবেন।
পরীক্ষায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০, ভূগোলে (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ১০, সাধারণ বিজ্ঞান ১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ১৫, গাণিতিক যুক্তিতে ১৫, মানসিক দক্ষতায় ১৫, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনের ওপর ১০ নম্বর নির্ধারণ করা থাকবে।
সাধারণ ক্যাডারের জন্য লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ২০০, ইংরেজি ২০০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ১০০ (মানসিক দক্ষতা পরীক্ষার এমসিকিউ ৫০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে) এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১০০। আর মৌখিক পরীক্ষা হবে ২০০ নম্বরের। তবে প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারের প্রার্থীদের বাংলায় ২০০ নম্বরের পরিবর্তে ১০০ নম্বর, সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ের বদলে সংশ্লিষ্ট পদের প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।