মানিকগঞ্জে জাল ওয়ারিশান সনদপত্রে সরকারি সড়কের জমি বিক্রি

  • মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
  • ২০২৩-০২-০৫ ১৫:২৯:০৭
popular bangla newspaper, daily news paper, breaking news, current news, online bangla newspaper, online paper, bd news, bangladeshi potrika, bangladeshi news portal, all bangla newspaper, bangla news, bd newspaper, bangla news 24, live, sports, polities, entertainment, lifestyle, country news, Breaking News, Crime protidin. Crime News, Online news portal, Crime News 24, Crime bangla news, National, International, Live news, daily Crime news, Online news portal, bangladeshi newspaper, bangladesh news, bengali news paper, news 24, bangladesh newspaper, latest bangla news, Deshe Bideshe, News portal, Bangla News online, bangladeshi news online, bdnews online, 24 news online, English News online, World news service, daily news bangla, Top bangla news, latest news, Bangla news, online news, bangla news website, bangladeshi online news site, bangla news web site, all bangla newspaper, newspaper, all bangla news, newspaper bd, online newspapers bangladesh, bangla potrika, bangladesh newspaper online, all news paper, news paper, all online bangla newspaper, bangla news paper, all newspaper bangladesh, bangladesh news papers, online bangla newspaper, news paper bangla, all bangla online newspaper, bdnewspapers, bd bangla news paper, bangla newspaper com, bangla newspaper all, all bangla newspaper bd, bangladesh newspapers online, daily news paper in bangladesh, bd all news paper, daily newspaper in bangladesh, Bangladesh pratidin, crime pratidin, অনলাইন, পত্রিকা, বাংলাদেশ, আজকের পত্রিকা, আন্তর্জাতিক, অর্থনীতি, খেলা, বিনোদন, ফিচার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চলচ্চিত্র, ঢালিউড, বলিউড, হলিউড, বাংলা গান, মঞ্চ, টেলিভিশন, নকশা, ছুটির দিনে, আনন্দ, অন্য আলো, সাহিত্য, বন্ধুসভা,কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, অটোমোবাইল, মহাকাশ, গেমস, মাল্টিমিডিয়া, রাজনীতি, সরকার, অপরাধ, আইন ও বিচার, পরিবেশ, দুর্ঘটনা, সংসদ, রাজধানী, শেয়ার বাজার, বাণিজ্য, পোশাক শিল্প, ক্রিকেট, ফুটবল, লাইভ স্কোর, Editor, সম্পাদক, এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ, A Z M Mainul Islam Palash, Brahmanbaria, Brahmanbaria Protidin, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন, Bandarban, Bandarban Protidin, বান্দরবন, বান্দরবন প্রতিদিন, Barguna, Barguna Protidin, বরগুনা, বরগুনা প্রতিদিন, Barisal, Barisal Protidin, বরিশাল, বরিশাল প্রতিদিন, Bagerhat, Bagerhat Protidin, বাগেরহাট, বাগেরহাট প্রতিদিন, Bhola, Bhola Protidin, ভোলা, ভোলা প্রতিদিন, Bogra, Bogra Protidin, বগুড়া, বগুড়া প্রতিদিন, Chandpur, Chandpur Protidin, চাঁদপুর, চাঁদপুর প্রতিদিন, Chittagong, Chittagong Protidin, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম প্রতিদিন, Chuadanga, Chuadanga Protidin, চুয়াডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা প্রতিদিন, Comilla, Comilla Protidin, কুমিল্লা, কুমিল্লা প্রতিদিন, Cox's Bazar, Cox's Bazar Protidin, কক্সবাজার, কক্সবাজার প্রতিদিন, Dhaka, Dhaka Protidin, ঢাকা, ঢাকা প্রতিদিন, Dinajpur, Dinajpur Protidin, দিনাজপুর, দিনাজপুর প্রতিদিন, Faridpur , Faridpur Protidin, ফরিদপুর, ফরিদপুর প্রতিদিন, Feni, Feni Protidin, ফেনী, ফেনী প্রতিদিন, Gaibandha, Gaibandha Protidin, গাইবান্ধা, গাইবান্ধা প্রতিদিন, Gazipur, Gazipur Protidin, গাজীপুর, গাজীপুর প্রতিদিন, Gopalganj, Gopalganj Protidin, গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ প্রতিদিন, Habiganj, Habiganj Protidin, হবিগঞ্জ, হবিগঞ্জ প্রতিদিন, Jaipurhat, Jaipurhat Protidin, জয়পুরহাট, জয়পুরহাট প্রতিদিন, Jamalpur, Jamalpur Protidin, জামালপুর, জামালপুর প্রতিদিন, Jessore, Jessore Protidin, যশোর, যশোর প্রতিদিন, Jhalakathi, Jhalakathi Protidin, ঝালকাঠী, ঝালকাঠী প্রতিদিন, Jhinaidah, Jhinaidah Protidin, ঝিনাইদাহ, ঝিনাইদাহ প্রতিদিন, Khagrachari, Khagrachari Protidin, খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি প্রতিদিন, Khulna, Khulna Protidin, খুলনা, খুলনা প্রতিদিন, Kishoreganj, Kishoreganj Protidin, কিশোরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ প্রতিদিন, Kurigram, Kurigram Protidin, কুড়িগ্রাম, কুড়িগ্রাম প্রতিদিন, Kushtia, Kushtia Protidin, কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া প্রতিদিন, Lakshmipur, Lakshmipur Protidin, লক্ষ্মীপুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিদিন, Lalmonirhat, Lalmonirhat Protidin, লালমনিরহাট, লালমনিরহাট প্রতিদিন, Madaripur, Madaripur Protidin, মাদারীপুর, মাদারীপুর প্রতিদিন, Magura, Magura Protidin, মাগুরা, মাগুরা প্রতিদিন, Manikganj, Manikganj Protidin, মানিকগঞ্জ, মানিকগঞ্জ প্রতিদিন, Meherpur, Meherpur Protidin, মেহেরপুর, মেহেরপুর প্রতিদিন, Moulvibazar, Moulvibazar Protidin, মৌলভীবাজার, মৌলভীবাজার প্রতিদিন, Munshiganj, Munshiganj Protidin, মুন্সীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিদিন, Mymensingh, Mymensingh Protidin, ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ প্রতিদিন, Naogaon, Naogaon Protidin, নওগাঁ, নওগাঁ প্রতিদিন, Narayanganj, Narayanganj Protidin, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন, Narsingdi, Narsingdi Protidin, নরসিংদী, নরসিংদী প্রতিদিন, Natore , Natore Protidin, নাটোর, নাটোর প্রতিদিন, Nawabgonj, Nawabgonj Protidin, নওয়াবগঞ্জ, নওয়াবগঞ্জ প্রতিদিন, Netrokona, Netrokona Protidin, নেত্রকোনা, নেত্রকোনা প্রতিদিন, Nilphamari, Nilphamari Protidin, নীলফামারী, নীলফামারী প্রতিদিন, Noakhali, Noakhali Protidin, নোয়াখালী, নোয়াখালী প্রতিদিন, Norai, Norai Protidin, নড়াইল, নড়াইল প্রতিদিন, Pabna, Pabna Protidin, পাবনা, পাবনা প্রতিদিন, Panchagarh, Panchagarh Protidin, পঞ্চগড়, পঞ্চগড় প্রতিদিন, Patuakhali, Patuakhali Protidin, পটুয়াখালী, পটুয়াখালী প্রতিদিন, Pirojpur, Pirojpur Protidin, পিরোজপুর, পিরোজপুর প্রতিদিন, Rajbari, Rajbari Protidin, রাজবাড়ী, রাজবাড়ী প্রতিদিন, Rajshahi , Rajshahi Protidin, রাজশাহী, রাজশাহী প্রতিদিন, Rangamati, Rangamati Protidin, রাঙ্গামাটি, রাঙ্গামাটি প্রতিদিন, Rangpur, Rangpur Protidin, রংপুর, রংপুর প্রতিদিন, Satkhira, Satkhira Protidin, সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা প্রতিদিন, Shariyatpur, Shariyatpur Protidin, শরীয়তপুর, শরীয়তপুর প্রতিদিন, Sherpur, Sherpur Protidin, শেরপুর, শেরপুর প্রতিদিন, Sirajgonj, Sirajgonj Protidin, সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন, Sunamganj, Sunamganj Protidin, সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ প্রতিদিন, Sylhet, Sylhet Protidin, সিলেট, সিলেট প্রতিদিন, Tangail, Tangail Protidin, টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল প্রতিদিন, Thakurgaon, Thakurgaon Protidin, ঠাকুরগাঁও, ঠাকুরগাঁও প্রতিদিন, ক্রাইম প্রতিদিন, ক্রাইম, প্রতিদিন, Crime, Protidin, অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, অমুবাচা, crimeprotidin

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ধুসর-ধুবুলিয়া এলজিইডি কার্পেটিং সড়কের জমি জাল ওয়ারিশান সনদপত্রে খারিজ ও বেচা-কেনা করেছে একটি চক্র। প্রায় চার দশক আগে সরকারিভাবে নির্মিত সড়কটির জমি এই চক্র হাতিয়ে নেয়ায় প্রশস্তকরণ ও উন্নয়নমূলক কাজে জটিলতা ও সমস্যা সম্মুখীনের আশক্সক্ষা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ধূসর গ্রামের নন্দ কিশোর সাহা নাটোসহ পাঁচ ভাই জাল ওয়ারিশান সনদপত্রে জমি খারিজ করে জাফরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল করিম শেখ, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন কবিরের স্ত্রী জাহানারা বেগমের কাছে বিক্রি করেছেন। আর তাদের এ কাজের নেপথ্যে রয়েছেন আফজাল হোসেন, জাফরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন কবির, সহকারী প্রধান শিক্ষক আরশেদ আলী, সহকারী শিক্ষক আব্দুল মজিদ, মহিদুর রহমান, স্থানীয় তৎকালীন ওয়ার্ড মেম্বার হাবিবুর রহমান ও ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা বলে অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

সড়কটি নির্মাণকালীন উথলী ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কামাল ই জালাল মিলু মিয়া জানান, ১৯৭৮ সালের শেষের দিকে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে জাফরগঞ্জ-ধূসর এলাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য প্রথমে প্রায় পাঁচশ মিটার দৈর্ঘ্য কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

পার্শ্ববর্তী তেওতা ইউনিয়নের গোয়ারিয়া গ্রামের কাপড়্যা বাড়ি খ্যাত যোগেশ্বর সাহার ছেলে রাধা গোবিন্দ সাহার নদীশুখা মৌজার আরএস ৩১ দাগে পরিত্যক্ত ৩৯ শতাংশসহ আশেপাশের ব্যক্তি মালিকাধীন জমির ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হয় সড়কটি। রাধা গোবিন্দ সাহার জমির প্রস্থ ছিল প্রায় ২৬/২৭ ফুট। বন্যায় বার বার ভাঙনের কবলে পড়ায় পরে বিভিন্ন সময় সড়কটি দু’পাশে সম্প্রসারণ ও উঁচু করা হয়। এই রাস্তা দু’পাশে সম্প্রসারণ ও উঁচু করে কার্পেটিং করেছে এলজিইডি। এতে ঢালু ও সড়কটিতে রাধা গোবিন্দ সাহার জমি ছাড়াও দু’পাশের ব্যক্তি মালিকানা জমি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

শিবালয় উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রকৌশলী মোবারক হোসেন জানান, সড়কটিতে ১০ ফুট কাপেটিং তিন ফুট শোল্ডার এবং কিছু কিছু স্থানে প্রায় ১৫ ফুট উচ্চতা হিসেবে ঢালুসহ সড়কটির অবস্থান ৪৩ ফুটের মতো। সড়কটির উত্তর দিকে শেষ অংশে কান্তাবর্তী নদীর ওপর প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ মিটার প্রস্থ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলেই বাস ও ট্রাকসহ বড় যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কটির প্রশ্বস্তকরণ ও উন্নয়নমূলক কাজ জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এই সড়কটির জমি হাতিয়ে নিতে ২০২১ সালের ১২ আগস্ট উথলী ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ারিশান/২০২১/৩৪ স্মারকে রাধা গোবিন্দ সাহার ভাতিজা পরিচয়ে ধূসর গ্রামের কৃষ্ট কুমার সাহা, নন্দ কিশোর সাহা নাটো, শ্যামল কুমার সাহা, দিপক কুমার সাহা ও নারায়ণ কুমার সাহা ওয়ারিশান সনদপত্র নেন। এরপর উথলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে সড়কটির দখলে থাকা ৩৯ শতাংশ জমির মধ্যে ২০ শতাংশ খারিজ করে নেন তারা। খারিজ নিয়েই ১৫ শতাংশ স্থানীয় জাফরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ২ শতাংশ তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল করিম শেখ ও ৩ শতাংশ প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর কবিরের স্ত্রী জাহানারা বেগমের কাছে আলাদা দলিলে বিক্রি করেন। সড়কের এই যে জমিটি ওয়ারিশান সনদপত্রে খারিজের মাধ্যমে মালিক সেজে বেচা-কেনা করা হয়েছে। সেই জমিটির কোন দখল ও সীমানা নির্ধারণ করা ছিল না। তারপরও অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে খারিজের মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদনসহ অন্যান্য বিষয়গুলো করা হয়েছে।

পরে জমিটি সরকারি সড়কের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে উথলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী তহশীলদার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম মিস কেস করলেও তা টিকেনি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।

তথ্য অধিকার আইনে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২১ সালের ১২ আগস্ট উথলী ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. মাসুদুর রহমান ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুর রহমানের সুপারিশ ও তথ্য অনুযায়ী উথলী ইউপি/ওয়ারিশান/২০২১/৩৪ স্মারকে নন্দ কিশোর সাহা নাটোসহ পাঁচ ভাইয়ের নামে যে ওয়ারিশান সনদ প্রদান করেন। তা ছিল ভূল। সনদে রাধা গোবিন্দ সাহার বাড়ি ধূসর গ্রামে বলা হলেও তার বাড়ি ছিল তেওতা ইউনিয়নের গোয়ারিয়া গ্রামে। নন্দ কিশোর সাহা নাটোরাও ছয় ভাই। আরেক ভাইয়ের নাম জন্টু সাহা বলে জানিয়েছেন তাদের আরেক ভাই দিপক কুমার সাহা। তাকে কিংবা তার সন্তানদের এই ওয়ারিশান সনদে বঞ্চিত করা হয়েছে।

অপরদিকে, নিয়ম অনুযায়ী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ারিশান সনদপত্র প্রদান করা হয়ে থাকলেও এই ওয়ারিশান সনদপত্র প্রদানের প্রক্রিয়াটি ছিল নজিরবিহীন। উথলী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০২১ সালের ১২ আগস্ট ওয়ারিশান সনদপত্র প্রদান করা হলেও একই সালের ১৮ সেপ্টেম্বর উথলী ইউনিয়ন পরিষদে রাধা গোবিন্দ সাহার ভাতিজা পরিচয়ে ওয়ারিশান সনদপত্রের জন্য পাঁচ ভাইয়ের নাম উল্লেখ করে আবেদন করেন নন্দ কিশোর সাহা নাটো। এই আবেদনপত্রেও নানা মিথ্যা তথ্য ও অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। রাধা গোবিন্দ সাহার গ্রাম ধূসর উল্লেখ করা হলেও তিনি এই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন না বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। আবেদনপত্রে পাঁচ ভাই উল্লেখ করা হলেও নন্দ কিশোর সাহা নাটোরাও ছয় ভাই। ঠিকানা ধূসর গ্রাম উল্লেখ করা হলেও সবাই এখানকার বাসিন্দা নন। শিবালয় ইউনিয়নের বাসিন্দাও রয়েছেন দুইজন।

নিয়ম অনুযায়ী ওয়ারিশান সনদপত্রের জন্য আবেদনপত্রে তিন গণ্যমান্য ব্যক্তির সুপারিশ ছকের স্থলে নাম থাকলেও নেই তাদের স্বাক্ষর। তারপরও ওয়ারিশান সনদের জন্য সুপারিশ করেন তৎকালীন মেম্বার হাবিবুর রহমান। হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এ ধরনের ওয়ারিশান সনদের বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করলেও ওয়ারিশান সনদপত্র দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, ধূসর গ্রামের আফজাল হোসেনের কথা মতো তিনি ওই ওয়ারিশান সনদপত্রের ব্যবস্থা করেছেন। তার সময়ে এলাকার মানুষকে এইভাবে ওয়ারিশান সনদপত্র দিয়েছেন কোন সমস্যা হয়নি। এখন তিনি আর মেম্বার নন তাই এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে রাজি না হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন হাবিবুর রহমান।

এদিকে, উথলী ইউপি/ওয়ারিশান/২০২১/৩৪ স্মারকের মুল ওয়ারিশান সনদপত্রটির বণর্নায় রাধা গোবিন্দ সাহা নিঃসন্তান উল্লেখ নেই। কিন্তু, এই চক্রটি একই ম্মারকের সিল, স্বাক্ষর অপরিবর্তিত রেখে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রাধা গোবিন্দ সাহাকে নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যাওয়ার কথা উল্লেখ করে হুবহু আরেকটি ওয়ারিশান সনদপত্র তৈরি করেছে। এই জাল ওয়ারিশান সনদপত্রে রাধা গোবিন্দ সাহাকে নিঃসন্তান উল্লেখ করা হলেও তা সঠিক নয়। রাধা গোবিন্দ সাহার দুই ছেলে রয়েছেন। বড় জন ভজ গোপাল সাহা ও ছোট নবা কুমার সাহা বলে জানিয়েছেন নন্দ কিশোর সাহা নাটো ও তার ছোট ভাই দিপক কুমার সাহা।

রাধা গোবিন্দ সাহা নিঃসস্তান নন। তারপরও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে নিঃসন্তান উল্লেখ করে ওয়ারিশান সনদপত্রে জমি খারিজ ও বিক্রির বিষয়ে নন্দ কিশোর সাহা নাটোকে জিজ্ঞাসা করলে কথা বলতে রাজি হননি। পরে প্রসঙ্গ এড়িয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথা বার্তা বলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তিনি।
এই জাল-জালিয়াতি ও অসঙ্গতির বিষয়ে উথলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী তহশীলদার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ওয়ারিশান সনদপত্রের কপি দেখিয়ে বলেন, ‘জমি খারিজের জন্য অনলাইনে সকল কাগজপত্র স্ক্যান ও সংযুক্ত করে আবেদন করা হয়। নন্দ কিশোর সাহা ও তার ভাইয়েরা চেয়ারম্যানের যে ওয়ারিশান সনদপত্রের ভিত্তিতে খারিজ পেয়েছেন। ওই সনদে রাধা গোবিন্দ সাহা নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যাওয়ার কথা উল্লেখ আছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্ভারে ও অফিসে ওই সনদপত্রটি সংরক্ষিত আছে।’
গত ২৬ জানুয়ারি এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্বাস আলী জানান, আগের চেয়ারম্যান নন্দ কিশোর সাহা নাটো ও তার ভাইদের ওয়ারিশান সনদপত্র প্রদান করেছিলেন। ওয়ারিশান সনদপত্রের বর্ণনায় ‘সে মৃত্যুর সময় আমার জানামতে এবং ইউপি. সদস্যদের দেওয়া তথ্যকৃত সুপারিশ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ওয়ারিশান রাখিয়া যান’ কথাটি উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু, এই ওয়ারিশান সনদপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সেই বর্ণনায় ‘আমার জানা মতে এবং ইউপি. সদসস্যের দেওয়া তথ্যকৃত সুপারিশ অনুযায়ী সে নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যায় ও নিম্নবর্ণিত ওয়ারিশান রাখিয়া যায়।’ কথাটি উল্লেখ করে জাল সনদপত্র তৈরি করে অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য ভূমি অফিস ও অন্যান্য দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে জেনে শোকজ করা হয়।

নন্দ কিশোর সাহা ও আফজাল হোসেন পরিষদে এসে যে ওয়ারিশান সনদপত্র দেখিয়েছেন। তাতে পরিষদের সংরক্ষিত কপি ও তাদের কপির সঙ্গে মিল রয়েছে। কিন্তু, খারিজের জন্য যে ওয়ারিশান সনদপত্রের কপি ভূমি অফিসে তারা দিয়েছে। সেই কপির সঙ্গে পরিষদের কপির মিল পাওয়া যায়নি। সনদপত্রটি বাতিলের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মো. আব্বাস আলী।

জাল-জালিয়াতি ওয়ারিশান সনদপত্রে জমি খারিজ করে দলিল সম্পাদন করা হয়েছে বরংগাইল সাব-রেজিস্টার অফিসে। এ ব্যাপারে বরংগাইল সাব-রেজিস্টার মো. আবরার ইবনে রহমান জানান, দলিল সম্পাদনের সময় যে সব কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়। সেগুলো যাচাই করার ততটা সময় থাকে না। ওই দলিল ও সম্পাদনের সময় কাগজপত্রগুলো দেখে জাল-জালিয়াতির বিষয়ে বলা যাবে। যদি জাল-জালিয়াতির কিছু হয়ে থাকে। আদালত সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবে।

শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিসুর রহমান খান জানান, চেক লিস্ট অনুযায়ী কাগজপত্র দেখে ও সরেজমিন প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খারিজ করা হয়। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওয়ারিশান সনদপত্রে খারিজ করা হলে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আপিল কিংবা অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, জাফরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন কবির দাবি করেন, এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষকেরা ও  এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে সঠিক কাগজপত্র দেখে জমি কিনেছেন তারা। তবে, বিক্রেতার জমির সীমানা নির্ধারণ ও দখল ছিল কিনা? এ প্রশ্নের উত্তরে দলিলের চৌহদ্দি পড়ে শুনিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান ওই প্রধান শিক্ষক।

নিউজটি শেয়ার করুন

 
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
-->

Shotoborshe Mujib, A Z M Mainul Islam Palash, Crime Protidin Media And Publication