এখনকার আওয়ামী লীগে কতজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন-এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি পুরনো দল, কিন্তু এই দলের যিনি প্রতিষ্ঠাতা তাকেও তারা বাদ দিয়ে দিয়েছে। কারণ তার চিন্তাচেতনার সঙ্গে পরবর্তী আওয়ামী লীগের কোনো মিল ছিল না। আজকে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত আছেন, তাদের অধিকাংশই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এখন যারা স্বাধীনতার বিরোধীশক্তি হিসেবে আমাদের দিকে আঙুল তুলতে চান, তাদের প্রশ্ন করতে চাই— আপনারা কি বলতে পারবেন আপনাদের মধ্যে কারা কারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমাদের সঙ্গে যারা লড়াইয়ের সংগ্রাম করছেন, কাজ করছেন, তাদের অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধের সময় সরাসরি অংশ নিয়েছেন?
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক মন্ত্রী সুনীল গুপ্তের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে। এ দেশের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পতন ঘটিয়েছে। এ দেশের মানুষ লড়াই করছে, সংগ্রাম করেছে— এ লড়াইয়ে অবশ্যই গণতন্ত্রের বিজয় হবে। এ লড়াইয়ে অবশ্যই যারা গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করছেন, তাদের বিজয় হবে। যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, দানবীয় ফ্যাসিবাদ তারা পরাজিত হবে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান বিজুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা জয়ন্ত কুমার কুণ্ড প্রমুখ।