আগামী মাসেই মানবদেহে পরীক্ষামূলক করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু হচ্ছে। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা ল্যাবরেটরিতে এ ওষুধের উন্নয়ন ঘটাতে ব্যাপক পরিশ্রম করে আসছিলেন। ভ্যাকসিন তৈরিতে গবেষকদের সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। কিছু ল্যাবে ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে।
এগুলো এখন প্রাণীদেহে পরীক্ষামূলক ব্যবহার হচ্ছে, যা বিজ্ঞানীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে। মানবদেহে আগামী মাসেই ব্যবহার করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ ভ্যাকসিন যদি নিরাপদ ও কার্যকরী হয় তবে তা আগামী বছরের শুরুতে বিশ্বের সব দেশে ব্যাপক হারে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। দ্য টেলিগ্রাফ।
লন্ডনের ইমেপিরিয়াল কলেজের ইনফেকশাস ডিজিজ ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর রবিন শাত্তক জানাচ্ছেন, ফেব্রুয়ারিতে তার গবেষক দল প্রাণীদেহে ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু করেছে। আর্থিক সহায়তা পেলে এপ্রিলে মানবদেহে পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করা যেতে পারে। তিনি বলছেন, ‘আমরা প্রযুক্তিভিত্তিক এমন একটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে যাচ্ছি যা হবে অত্যন্ত দ্রুতগতির। এ ধরনের ভ্যাকসিন আগে তৈরি হয়নি।’
অপর দিকে চীন বলছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। ক্লিনিক্যাল এবং জরুরি গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য আগামী মাসেই কিছু ভ্যাকসিন চলে আসবে।
শুক্রবার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ঝেং ঝংওয়েই বলেন, ভ্যাকসিনের পাঁচটি ধরন নিয়ে গবেষণা চলছে এবং ধীরে ধীরে তা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে চীন এখনও এই নতুন করোনাভাইরাসের ব্যাপারে অনেক কিছুই জানতে পারেনি। এছাড়া ভ্যাকসিনের গবেষণার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চীনা এই কর্মকর্তা।
করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র হুবেই প্রদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তা ডিং জিয়াংইয়াং বলেন, আগামী মাসে কিছু ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য আবেদন করা হবে। চীনের দক্ষিণাঞ্চলের শিনঝেন প্রদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণের পর দেশটির বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বয়স্কদের মতো শিশুরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।