করোনাভাইরাস আতংকে বেগুন-টমোটোর দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস। পশ্চিমবঙ্গের বাজারে যেখানে কয়েকদিন আগেও প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১০০ টাকার উপরে। সেখানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মুরগির দাম নেমে এসেছে ৬০ টাকায়। আর পাইকারি বাজারে মুরগির দাম নেমে এসেছে ৩৫-৪০ টাকায়। কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বার্ড ফ্লুর সময়েও মুরগির দাম এত নিচে নেমে আসেনি।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার বেহালা থেকে বেলেঘাটা, গড়িয়া থেকে লেক মার্কেটসহ কলকাতার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি বেগুনের দাম ৪০-৫০ টাকা। টমেটোর দাম ৪০ টাকা। আর শশার দাম ৩০ টাকা। অন্যান্য শাক-সবজিও বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকার মধ্যে।
বলা হচ্ছে, বিক্রেতারা সাধাসাধি করেও ক্রেতাদের মুরগি কেনাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বলা হচ্ছে এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে পাঠার মাংসের বিক্রেতারা। মুরগির মাংসের সাত গুণ দাম নিচ্ছেন তারা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি বলেন, ফ্রেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যটিতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখ পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কত কোটি টাকার ক্ষতি হবে এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
বেহালা সরসুনার সুপার মার্কেটে মুরগির মাংস বিক্রেতা বাপি দাস জানন, হঠাৎ করে গুজব রটে গেল, মুরগির মাংস খেলে করোনাভাইরাস আক্রমণ করবে। এরপরেই এ ব্যবসায় ধস নেমেছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, করোনা-আতংকের জেরে মুরগির মাংসের বিক্রি ৬০ শতাংশ কমেছে। প্রতি সপ্তাহে রাজ্য জুড়ে ২ কোটি ৪০ লাখ কেজির মতো মুরগির মাংস উৎপাদন হয়। রাজ্যে চাহিদা রয়েছে ২ কোটি কেজির কাছাকাছি। এখন বেশি পরিমাণে উৎপাদন হচ্ছে। বিদেশেও রফতানি করা হয়। রাজ্যে প্রায় ৫ লাখ পোল্ট্রি রয়েছে।