বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও নেত্রকোনা-৩ আসনের সাংসদ অসীম কুমার উকিল এবং তার সহধর্মিণী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
এ রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট দুদককে ১ জুনের মধ্যে রিটকারীর আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। পরপরই নেত্রকোণা এলাকায় সাধারন মানুষের মাঝে তাদেরকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এলাকাবাসী তার অর্জিত সম্পদ ও অর্থবিত্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেছে।
গত মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মৌখিক আদেশ দেন। নেত্রকোনা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকারের করা রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, মাহজাবিন রাব্বানী দীপা, কাজী শামসুন নাহার কনা ও ঈশিতা পারভীন।
সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল ও অপু উকিলের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে গতবছর ১১ ডিসেম্বর দুদকের কাছে আবেদন করেন রিট আবেদনকারী। কিন্তু দুদক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
গত ৮ মার্চ আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম কেশব রঞ্জন সরকারের পক্ষে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন দাখিল করেন। কেশব রঞ্জন বলেন, বহুবার অসীম-অপুর দুর্নীতি অবৈধ সম্পদ অর্জনের ব্যপারে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, আইন মন্ত্রী, পুলিশ প্রধান, র্যা ব পরিচালক ও দুদক বরাবর অভিযোগ করার পর কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সন্তুষ্টজনক প্রতিকার না পেয়ে তিনি অবশেষে উচ্চ আদালতের দ্বারস্ত হন।
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে বহু বাড়ি নির্মানের পর আয়ের উৎস জানতে গিয়ে সম্প্রতি পাপিয়া সংশ্লিষ্টতা থাকার কথাও দাবি করেন। এ ব্যপারে পাপিয়ার মত অপু উকিলকে আইনের আওতায় নিলে তার সকল তথ্য বের হয়ে আসবে।