কভিড -১৯, করোনাভাইরাস মহামারিতে পুরো বিশ্ব আজ অসহায়। নিরন্তর ছুটে চলা মানুষগুলো আজ স্বেচ্ছায় বন্দী নিজ নিজ ঘরে। সারি সারি লাশের সামনে দাঁড়িয়ে একজন রাষ্ট্র প্রধান অসহায় চোখে দু 'হাত তুলে ছেয়ে আছে আকাশের দিকে, শেষ ভরসা মহান সৃষ্টিকর্তা।
বৈশ্বিক এই মহামারীর ধারাবাহিকতায় আমরাও আক্রান্ত, কিন্তু আমরা সাহস হারাইনি ,সৃষ্টিকর্তার মহানুববতার পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছি আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থায় অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় যুদ্ধ। সরকার ও প্রশাসনের আদেশ মেনে দেশের জনগণ যখন নিজ নিজ ঘরে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছে, তখন আমাদের নতুন করে বাঁচতে স্বপ্ন দেখাচ্ছে আমাদের তরুণ সমাজ। যাদেরকে আমরা আধুনিক যুগের ছেলে বলে সামাজিক দায়িত্ব হতে দূরে সরিয়ে রাখতাম ,কি আশ্চর্য আজ তারাই খাবারের প্যাকেট কাঁধে নিয়ে ছুটে যাচ্ছে সমাজের অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে। কাঁধে জীবাণুরোধক স্প্রে 'র ড্রাম নিয়ে রাস্তা -ঘাট, বিদ্যালয়, ঘর বাড়িতে ছিটাচ্ছে ঔষধ। তাদের কোন প্রস্তুতি, ছিলোনা কোন পূর্ব পরিকল্পনা, মহামারীর পরিস্থিতিই তাদের করণীয় ঠিক করে দিয়েছে। যেখানে সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা নিস্ক্রিয়, নিজেদের নিরাপদ দুরত্বে রেখে চলছেন। সেখানে সজীব -নাহিদের মতো তরুনরা গঠন করে "শিবপুর দরিদ্র তহবিল "নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পকেটের খরচের টাকা আর পরিচিত প্রিয়জনদের সহযোগিতায় কাজ করছে অনেক দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকদের মতো। স্হানীয় শতদল যুব ক্লাবের তরুণ সভাপতি রানা চৌধুরীর নেতৃত্বে চলছে আন্ডারঘর এলাকায় জীবাণু প্রতিরোধক স্প্রে ও করোনা ভাইরাস মুক্ত থাকার তথ্য সরবরাহ।
লক্ষ্ণীপুর সদর উপজেলা ১১নং হাজির পাড়া ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডভুক্ত শিবপুর গ্রামের একদল তরুনের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের জাতীয় এই দুর্যোগ মুহুর্তে এলাকা ভিত্তিক সমাজ সেবা কার্যক্রম আমাদের নতুন করে বেঁচে থাকার আলো দেখাচ্ছে। আশা জাগাচ্ছে একটি অপরাধ মুক্ত সমাজ গড়ার। সমাজের সকল বিওবানদের আমরা আহবান জানাচ্ছি আমাদের এই তরুণদের পাশে এসে দাঁড়াতে, তাদের সাহস দিন, শক্তির জোগান দিন।