• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ৫ এপ্রিল, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

মানবতার ফেরিওয়ালা গুলশানের ডিসি সুদীপ কুমার!

ইব্রাহিম গাজী, ঢাকা

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারী রূপ ধারণ করায় বাংলাদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ২৬ মার্চ হতে ৪ এপ্রিল, পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এতে গরিব, দিনমজুর, নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও কর্মহীন হয়ে পরিবারের ভরন-পোষণ যোগাতে পারছে না। এ ধরনের মানুষের সাহায্যার্থে গুলশানের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী (বিপিএম) ব্যতিক্রম ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এক বিরল  দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। তাঁর এই ব্যতিক্রমি সহযোগিতা ও মানবতা দেখে ক্রাইম প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ তাঁকে মানবতার ফেরিওয়ালা বলে আক্ষা দিয়ে বলেন, মানব সেবাই পরম ধর্ম। পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মেই মানব সেবার কথা বলা আছে। অনেকের মতে মানব সেবার মাঝেই সৃষ্টিকর্তার আনুকূল্য পাওয়া যায়। চাইলে অনেকভাবেই মানুষের সেবা করা যায়। ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্যার রাতের অন্ধকারে তথ্য গোপন করে মাত্র একটি এসএমএসের মাধ্যমে পৌছে দিচ্ছেন ত্রাণ সেইসব মানুষদের যাদের 'বুক ফাটে তো মুখ ফুটে না, যারা লোকলজ্জার ভয়ে কারো কাছে হাত পাততে পারে না অর্থাৎ মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের জন্য- এই মহতি উদ্দোগ, মানবতায় সত্যি আমি মুগ্ধ।

উল্লেখ্য সমাজের যেসব নিন্মমধ্যবিত্ত/মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যগন সরকারের নির্দেশনা শুনে ঘরে অবস্থান করছেন (যারা লোকলজ্জার ভয়ে কারো কাছে হাত পাতেন না) তাদের পরিবারকে পরিচয় গোপন রেখে সাধ্যমত সহযোগিতা করবেন ডিসি গুলশান ফেইসবুক পেইজ থেকে এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পরপরই সাড়া পরে সারা বাংলাদেশে।

পরবর্তীতে গুলশান বিভাগের প্রত্যেক থানা থেকে ইন্সপেক্টর অপারেশন এবং একজন সাব ইন্সপেক্টরকে নিয়ে টিম গঠন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রত্যেক থানায় আগ্রহী প্রত্যেক পরিবারের কাছে রাতের অন্ধকারে এই ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন।

এই বিষয়ে এস আই তানজির আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্রাইম প্রতিদিনকে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে উপার্জন বন্ধ থাকায় নিন্মমধ্যবিত্ত/মধ্যবিত্ত পরিবার, যারা পারে না চাইতে পারে না বলতে, সেইসব অসহায় পরিবারের কাছে ডিসি স্যারের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কাজ করছি।

তিনি আরো বলেন, ডিসি স্যারের নির্দেশেই রাতের অন্ধকারে উক্ত ব্যাক্তির বাসার কাছাকাছি গিয়ে ফোন দিয়ে চুপ করে ত্রাণ পৌছে দেই, যাতে কেউ না জানে এবং তথ্য গোপন থাকে।