• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ১১ এপ্রিল, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

এবার সাংবাদিককে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দিলো ছাত্রলীগ নেতা

জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে দৈনিক বাংলাবাজার ও পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সাংবাদিক শেলু আকন্দের ওপর বর্বরোচিত হামলা করে দেশীয় অস্ত্রসহ লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে দু’পা ভেঙে দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা সন্ত্রাসী রকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। 

সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় শহরের দেওয়ানপাড়া এলাকায় পুরাতন এসডিওর বাড়ির পিছনে শহর বাইপাস রোডে। গুরুতর আহত শেলু আকন্দকে স্বজন ও সাংবাদিকরা উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত শেলু আকন্দ বলেন, আমি ডায়াবেটিকের রোগী। প্রতিদিন সকাল ও রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে শহর বাইপাস রোডে হাঁটাহাঁটি করি। বুধবার রাতে আমার দেওয়ানপাড়ার বাসা থেকে বেড় হয়ে বাইপাস রোডে হেঁটে যাওয়ার সময় এসডিওর বাড়ির পিছনে উৎপেতে থাকা পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাকিব খান, তুষার খান, স্বজন খান ও তুহিন খানসহ ১০/১২ জন আমার ওপর হামলা চালায়। তারা লোহার জিআই পাইপ দিয়ে আমার দুই পায়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে আর বলে মামলার স্বাক্ষী হইছস না, স্বাক্ষী দিবি, তর স্বাক্ষী হওয়ার স্বাদ মিটাইতাছি। লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে পেটাতে আমার দুই পা গুড়িয়ে দিয়েছে।

সাংবাদিক শেলু আকন্দের দুই পা ভেঙে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে তার স্বজন ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

এর ৬ মাস আগে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর ওপর হামলা করে বেধড়ক মারধর করেছিল কাউন্সিলর রুনু খান ও তার ছেলে রাকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় জামালপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলার ২নং স্বাক্ষী ছিল সাংবাদিক শেলু আকন্দ। সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় সাংবাদিক শেলু আকন্দ হামলার শিকার হয়েছেন।

জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান জানিয়েছে, সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান সাংবাদিক শেলু আকন্দের ওপর হামলার নির্দেশদাতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও হামলাকারী রকিবখানসহ হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি।