• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২১ এপ্রিল, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

করোনায় সরকারি চাকরিজীবীরা কারা কত টাকা পাবেন, জেনে নিন!

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে এবং করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে দায়িত্বপালনকালে কেউ আক্রান্ত হলে তাঁদের বিমা সুবিধার পরিবর্তে সরাসরি নগদ অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেড এবং আক্রান্ত ও মৃত্যু অনুযায়ী আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে ৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ৫ লাখ টাকা, ১০ম থেকে ১৪তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন সাড়ে ৭ লাখ আর ১ম থেকে ৯ম গ্রেডের আক্রান্ত কর্মচারীরা পাবেন ১০ লাখ টাকা। একইভাবে ১৫ থেকে ২০তম গ্রেডের কেউ মারা গেলে ২৫ লাখ টাকা, ১০ম থেকে ১৪তম গ্রেডের কেউ মারা গেলে সাড়ে ৩৭ লাখ ও ১ম থেকে ৯ম গ্রেডের কেউ মারা গেলে পাবেন ৫০ লাখ টাকা।

তবে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ছাড়া কোয়ারেন্টিনে থাকা বা না থাকা ব্যক্তি এই সুবিধার আওতায় আসবেন না। কোভিড-১৯ ছাড়া অন্য কোনো রোগে মারা যাওয়া ব্যক্তি এ সুবিধা পাবেন না। সরকারি হাসপাতালের বাইরে বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া কোনো চিকিৎসক, নার্স বা কর্মী আক্রান্ত হলে বা মারা গেলেও সরকারি এ আর্থিক সুবিধা পাবেন না।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সরকার যদি কোনো বেসরকারি হাসপাতালকে করোনার চিকিৎসার জন্য ঠিক করে, তবে ওই হাসপাতালে যাঁরা চিকিৎসাসেবার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তাঁদেরও সরকারি সুবিধাভোগীর আওতায় আনা উচিত।

কীভাবে দাবি করতে হবে আক্রান্ত সরকারি কর্মচারী বা তাঁদের নমিনিদের এ সুবিধার আওতায় অর্থসহায়তা পেতে আবেদন করতে হবে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে। এ জন্য লাগবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মনোনীত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র। পাশাপাশি লাগবে চিকিৎসার চার্টসহ হাসপাতালে ভর্তির প্রত্যয়নপত্র, হাসপাতালের বিল ও অন্যান্য বিল। আর মারা গেলে অবশ্যই লাগবে মৃত্যুসনদ। নানা প্রমাণপত্র সাপেক্ষেই আক্রান্ত ব্যক্তি বা মৃত ব্যক্তির নমিনিকে টাকা দেওয়া হবে।

এ ছাড়া যে কর্মচারীর পক্ষ থেকে এ সুবিধার জন্য আবেদন করা হবে, তিনি করোনা মোকাবিলায় কীভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, তার সুনির্দিষ্ট বিবরণসংবলিত প্রত্যয়নপত্রও লাগবে। সেখানে তাঁর কাজের ধরন, কোথায়, কীভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানপ্রধান এই প্রত্যয়নপত্র দেবেন।