• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২৭ এপ্রিল, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

১১ বছর পর ভাগ্য খুলছে সোনালী পেপারের!

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস প্রায় ১১ বছর পর পুঁজিবাজারের মূল মার্কেটে ফিরতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে মূল মার্কেটে পুনঃতালিকাভুক্তির জন্য কোম্পানির আবেদনের পর বেশ কিছু ধারা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। এখন কেবল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের অপেক্ষা।  করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে  উৎপাদন বন্ধ থাকা ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করাসহ ৫ কারণ দেখিয়ে ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর কোম্পানিটিকে মূল মার্কেটের তালিকাচ্যুত করে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে পাঠানো হয়। তালিকাচ্যুতির আরও ৩ কারণ হলো—ধারাবাহিক লোকসান, শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত লভ্যাংশ  না দেওয়া এবং কাগুজে শেয়ার ইলেকট্রনিকে রূপান্তর না করা।

প্রসঙ্গত, মূল বাজারে ফিরতে যেকোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একইসঙ্গে ধারাবাহিক ৩ বছর মুনাফায় থেকে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে হয়।  তবে, সোনালী পেপারকে এই ২ শর্ত থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএসইসি। এছাড়া, তালিকাচ্যুতির সময় কোম্পানির যে শেয়ার দর ছিল, এখন মূল মার্কেটে লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই সেই দরে কেনাবেচারও সুযোগ দিচ্ছে বিএসইসি।

এ বিষয়ে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের কোম্পানি সচিব রাশেদুল হোসাইন বলেন, ‘পুঁজিবাজারের মূল মার্কেটে ফেরার লক্ষ্যে  প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এখন অনুমতি পেলেই মূল মার্কেটে ফিরবো।’

জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ওটিসি মার্কেটের সোনালী পেপার বর্তমানে ধারাবাহিক মুনাফায় রয়েছে। নিয়মিত এজিএমও করছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এই কোম্পানিটিকে দ্রুত মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনা উচিত। এতে ওটিসির অন্যান্য কোম্পানিও মূল মার্কেটে ফিরতে আগ্রহী হবে।’

এ বিষয়ে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী সানাউল হক বলেন, ‘মূল মার্কেটে ফেরার সব শর্ত যথাযথভাবে মানলেই সোনালী পেপারকে অনুমোদন দেবে স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ।’

উল্লেখ্য, সোনালী পেপার ১৯৭৭ সালে ব্যবসা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। তালিকাভুক্তির কিছুদিন পর থেকেই কোম্পানিটির ব্যবসা খারাপ হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে ২০০৬ সালে  কোম্পানির মালিকানায় পরিবর্তন আসে।  এরপর থেকেই নতুন পরিচালকরা ব্যবসা ভালো অবস্থানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।  বর্তমানে কোম্পানির তৈরি কাগজপত্রের বিক্রি বেড়েছে।  এখন এর উৎপাদন ক্ষমতা প্রতিদিন ৪৫ হাজার কেজি।