• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ১ মে, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

বাড়ছে করোনা রোগী, তবুও থেমে নেই ঢাকায় প্রবেশ

স্টাফ রিপোর্টার

রাজধানী ঢাকায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে করোনা রোগী, সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এজন্য রাজধানীর সাথে সমগ্র দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। রাজধানী থেকে বাইরে কিংবা বাইরে থেকে রাজধানীতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে স্বল্প পরিসরে গার্মেন্টস খুলে দেওয়ায় সে নির্দেশনাও কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। ফলে বানের জলের মতো ঢাকায় প্রবেশ করছে মানুষের স্রোত।

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাদেশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, অটোরিকশা, রিক্সা কিংবা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। এসব বহন করে ঢাকায় প্রবেশ করছে মানুষ।

নগরীর বিভিন্ন প্রবেশদ্বার গুলোতে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থানের পরেও থামানো যাচ্ছে না মানুষের প্রবেশ। নানা অজুহাতে প্রবেশ করছেন তারা। আবার কেউ কেউ প্রবেশের জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। পুরাতন প্রেস্ক্রিপশন কিংবা ব্যাংকের কাগজ দেখিয়ে কেউ কেউ প্রবেশ করছেন। আবার কেউ কেউ দিচ্ছেন অজুহাত।

রাজধানীর গাবতলী এবং আব্দুল্লাহপুরে দেখা গেছে, ঢাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এসব জায়গায় যৌক্তিকতা বিচার করে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। তবে যারা যৌক্তিক কারণ দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলা থেকে ঢাকায় ফিরছেন পোশাক কারখানার শ্রমিক নিলুফা ইয়াসমিন। তিনি জানান, কারখানা থেকে বলা হয়েছে কাজে যোগদানের জন্য। এজন্য ঢাকায় ফিরতে হলো। কাজে যোগদান না করলে বেতন হবে না।

রাজবাড়ী থেকে ঢাকায় ফিরেছেন জলিল মিয়া। পেশায় তিনি একজন রিকশাচালক। লকডাউন এর কারণে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। তবে আবারও ঢাকায় ফিরে এসেছেন। তিনি জানান, গ্রামে বসে থাকলে খাবার জুটবে না। টেলিভিশনে দেখলাম ঢাকা শহরে রিকশা সিএনজি চলছে। এ কারণে চলে আসলাম।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, ঢাকায় মানুষের প্রবেশ থামাতে প্রয়োজন ব্যক্তিগত সচেতনতা। আইন প্রয়োগ করে ঢাকায় প্রবেশ থামানো সম্ভব নয়।