• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ১৪ মে, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

ফরিদগঞ্জে মানছে না লকডাউন, বাড়ছে করোনার ঝুঁকি!

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাস রোধে হিমশিম খাচ্ছে তখন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষসহ কেউই মানছেন না সরকারি নির্দেশনা। সকল কিছু উপেক্ষা করে দোকান-পাট খোলা রাখছে। জনসমাগমের সৃষ্টি হচ্ছে ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রুপসা বাজারে (আজ ১১টার দিকে) এমনই চিত্র দেখ যায়। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই দোকান-পাট খোলা রেখে ক্রয়-বিক্রয় চলছে। ক্রেতাদের মুখে যেমন মাস্ক দেখা যায়নি তেমনি হাত মোজা ছাড়াই বিক্রেতারা পণ্য বিক্রয় করছেন। নানা অযুহাতে অনেকে রাস্তাঘাটসহ বাজার গুলোতে জনসমাগম করছে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, ‘দোকান খোলা না রাখলে আমরা সংসার চালাবো কি করে। আমরা চাইতে পারিনা নিতেও পারি না। তাই দোকান খোলা ছাড়া উপায় নেই। 

সূত্র বলছে, উপজেলার বিভিন্ন কাপড় ব্যবসায়ীরা এই পরিস্থিতির মধ্যেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, ঢাকায় মোকাম করছে। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। তাদের দাবি প্রশাসন কঠোর হলেই কার্যকর হবে লক ডাউন।

লক ডাউন কার্যকরে প্রশাসনের পাশাপাশি বড় ভূমিকা রাখছে বাজার ব্যবসায়ী কমিঠি, জনসচেতনায় হ্যান্ড মাকিং, বাজার মনিটরিংসহ ঘরে রাখতে নিচ্ছে বিভিন্ন উদ্দোগ, কিন্তু কে শুনে কার কথা, কথা হয় বাজার কমিঠির সভাপতি মোঃ ফারুক খানের সাথে তিনি ক্ষোভ করে ক্রাইম প্রতিদিনকে বলেন, কবে যে এরা মানুষ হবে আল্লাহই ভালো বলতে পারবে, এই পরিস্থিতেও ................ আল্লাহ তাদের হেদাায়েত দান করুক।

তিনি আরো বলেন, লক ডাউন কার্যকরে প্রশাসনের মনিটরিং আরও বাড়ানো উচিত, সম্ভব হলে প্রতি বাজারে দুইজন পুলিশ সদস্যকে মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হোক। কারন প্রশাসনের কর্মকর্তারা যখন আসছে তখন অনেকেই দৌড় দিয়ে তারাহুরো করে দোকান-পাট বন্ধ করছে। তারা চলে গেলে পরক্ষণেই আবার বাজার গুলোতে শুরু হচ্ছে জনসমাগম।

প্রসঙ্গত, করোনার বিস্তার শুরু হলে গত ৮ এপ্রিল গোটা চাঁদপুর জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। তবে এ সময় প্রশাসন কিছুটা শিথিল অবস্থান নিলে জেলা শহরে ব্যাপক জনসমাগম শুরু হয়। বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপও। 

এমন পরিস্থিতিতে করোনা আরো ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হয়ে পড়লে রবিবার ভোর থেকে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হয়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ। এরই মধ্যে চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশসহ অর্ধশত। মারা গেছেন চারজন।