• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ৩০ জুন, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

দেড় মাসেও প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা পাননি অধিকাংশ তালিকাভুক্ত

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

নড়াইল সদর উপজেলায় করোনায় কর্মহীন অসহায় মানুষের জন্য সরকারের ২৫শ টাকার নগদ সহায়তা অধিকাংশ তালিকাভুক্ত এখনও পাননি। রোজার ঈদের আগে ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নগদ অর্থ সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেও অধকাংশ তালিকাভুক্তই এ অর্থ পাননি। আদৌ এ টাকা পাবেন কিনা সেটা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।

সম্প্রতি আউড়িয়া ইউনিয়নের তালিকাভুক্তরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তাদের মোবাইল নম্বর সঠিক আছে কিনা সেটি যাচাইয়ের জন্য আবেদনও করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ৫০ হাজার দরিদ্র মানুষকে সরকারিভাবে নগদ অর্থ সহায়তা প্যাকেজের আওতায় প্রত্যেককে ২৫শ টাকা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সদরে ১৮ হাজার ৯শ জন তালিকাভুক্ত হয়েছেন। জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, মোবাইল নম্বরসহ ২৪টি তথ্য সংযুক্তির মধ্য দিয়ে তালিকা করা হয়েছে। তালিকাভুক্তদের মোবাইলে এসএমএস করা হবে এবং বিকাশের মাধ্যমে এ অর্থ প্রত্যেকের মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু অধিকাংশ উপকারভোগীর মোবাইলে এ অর্থ আসেনি।

আউড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য বাশার মন্ডল জানান, এ ইউনিয়নে ১ হাজার ৬৪৯ জনের নামের তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১নং ওয়ার্ডের ১৯০ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৪ জন অর্থ পেয়েছেন। শুনেছি তালিকাভুক্তরা কেউ কেউ অন্য ব্যক্তির ফোন নম্বর বা ভুল নম্বর দিয়েছেন। এছাড়া তালিকাভুক্তদের মোবাইল সিমটি অন্য কারও নামে নেয়া। এনআইডি নম্বরের সঙ্গে মোবাইল সিমের অমিল হওয়ায় এমনটি হতে পারে বলে জানান তিনি।

আউড়িয়া গ্রামের তালিকাভুক্ত মো. আজিবর শেখ, মো. জাফর সিকদার, হরেন কুমার সরকার ও রাম প্রসাদ বিশ্বাস জানান, তাদের মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য তথ্য ঠিকঠাক থাকলেও তারা এখনও টাকা পাননি। এ কারণে গত ১১ জুন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মোবাইল নম্বর যাচাইয়ের জন্য একটি দরখাস্ত দেয়া হয়েছে।

ভদ্রবিলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোশারফ শেখ বলেন, তার ইউনিয়নে ১২৪২ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩শ জন অর্থ পেয়েছেন। এ পর্যন্ত স্থানীয় মেম্বার ও চৌকিদার দিয়ে তিনবার তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। তার ইউনিয়নে মাত্র এক জনের নামের তালিকা ভুল ছিল। বাকি সবার তথ্য ঠিক রয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা সেলিম বলেন, তালিকাভুক্ত যাদের তথ্য সঠিক রয়েছে তারা সিরিয়ালি অর্থ পাচ্ছেন। কারও ফোন নম্বর না থাকলে বা কোনো সমস্যা হলে তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা চলে যাবে।

এ পর্যন্ত কত জন অর্থ পেয়েছেন এ প্রশ্নে তিনি বলেন, যেহেতু বিভিন্ন ধাপে ধাপে এ অর্থ আসছে সেজন্য নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা সম্ভব নয়।

আউড়িয়া গ্রামের দরখাস্তকারীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, যদি কারও নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকে শুধু তাদের দরখাস্ত করতে বলা হয়েছে।