• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ১৩ আগস্ট, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

‘স্বাস্থ্য সচিবের নির্দেশেই রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি হয়’

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

তখনকার স্বাস্থ্য সচিবের মৌখিক নির্দেশেই রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি হয় বলে জানিয়েছেন সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ। নির্দেশ পালন না করার কোন সুযোগ ছিল না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদেও সাবেক স্বাস্থ্য সচিবের ওপর দায় চাপালেন সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ। রিজেন্টকাণ্ডে দুর্নীতি দমন কমিশনের টানা পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলামের ওপর দায় চাপালেন অধিদপ্তরের পদ্যত্যাগী মহাপরিচালক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ। বললেন, সচিবের মৌখিক নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে চুক্তি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে আসাদুল ইসলাম  একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে তার কোনো কথাই হয়নি।

বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের নির্ধারিত সময়ের মিনিট বিশেক আগেই দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ।সকাল দশটায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদকের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে একটি টিম। টানা পাঁচ ঘণ্টা রিজেন্টকাণ্ড নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন আবুল কালাম আজাদ।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আগেই বেশ কিছু নথিপত্র হাতে আসে দুদকের অনুসন্ধান টিমের কাছে। তাতে দেখা যায়, করোনা পরীক্ষায় রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে অধিদপ্তরের যে চুক্তি হয়েছে তাতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেই। নিয়ম নীতিরও কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি। এছাড়া অধিদপ্তরের সাথে যে চুক্তি হয়েছে তাতে করোনা পরীক্ষা বাবদ রিজেন্ট হাসপাতালের টাকা নেয়ার বিষয়টিও ছিলো না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান নিপসম-এর পক্ষ থেকেও রিজেন্টের অনিয়মের বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কোনো ব্যবস্থা নেননি।

জিজ্ঞাসাবাদে আবুল কালাম আজাদ এসব বিষয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, সচিবের মৌখিক নির্দেশে রিজেন্টের সাথে চুক্তি হয়েছে। এমন উত্তরে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, মৌখিক নির্দেশে চুক্তি করা আইনসঙ্গত কি-না! জবাবে আজাদ বলেন, নির্দেশ পালন না করার কোনো সুযোগ ছিলো না। 

দুদক সচিব বলছেন, অনুসন্ধানের প্রয়োজনেই আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য নিয়েছেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আজাদ গণমাধ্যমের সামনে আগেরদিনের মতোই নিজের সততার কথা তুলে ধরেন। তবে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দেননি তিনি।