• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ১৪ আগস্ট, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

ভালোবাসাও ইসলামের দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত!

মুফতি আব্দুস সালাম হুসাইন আলী

আরবিতে اّلْمَحَبَّةُ (মাহাব্বাত), ইংরেজিতে Love, বাংলায় ভালোবাসা। আর এটি হৃদয় বা অন্তরের কর্ম। পানাহার, দর্শন, শ্রবণ ইত্যাদির মতো ভালোবাসাও ইসলামের দৃষ্টিতে কখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং কখনো কঠিন নিষিদ্ধ হারাম কর্ম। পিতামাতার ভালোবাসা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তানদের ভালোবাসা, ভাইবোনের ভালোবাসা, আত্মীয়-স্বজন, সঙ্গীসাথী ও বন্ধুদের ভালোবাসা, সৎ মানুষদের ভালোবাসা, সকল মুসলিমকে ভালোবাসা, সকল মানুষকে ভালোবাসা এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহর সকল সৃষ্টিকে ভালোবাসা ইসলাম নির্দেশিত কর্ম। এরূপ ভালোবাসা মানুষের মানবীয় মূল্যবোধ উজ্জীবিত করে, হৃদয়কে প্রশস্ত ও প্রশান্ত করে এবং সমাজ ও সভ্যতার বিনির্মাণে কল্যাণময়, গঠনমূলক ভূমিকা ও ত্যাগ স্বীকারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। তথাকথিত ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে’ ভালোবাসার এ দিকগুলো একেবারেই উপেক্ষিত, অথচ সংঘাতময় এ পৃথিবীকে মানুষের বসবাসযোগ্য করার জন্য এরূপ ভালোবাসার প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠার কতই না প্রয়োজন!

জৈবিক ভালোবাসা ও ইসলাম ভালোবাসার একটি বিশেষ দিক নারী ও পুরুষের জৈবিক ভালোবাসা। আজকে ইসলামবিরোধী শক্তি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের নামে শুধু যুবক-যুবতীদের এরূপ জৈবিক ও বিবাহেতর বেহায়াপনা উস্কে দিচ্ছে। যুবক-যুবতীদের বয়সের উন্মাদনাকে পুঁজি করে তারা তাদের অশ্লীলতার পঙ্কিলতার মধ্যে ডুবিয়ে দিয়ে তাদের সাম্রাজ্যবাদী ও বাণিজ্যিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়।

অনেক ধর্মে, বিশেষত পাদ্রী-পুরোহিত নিয়ন্ত্রিত খৃস্টান ধর্মে নারী-পুরুষের এরূপ ভালোবাসা, দৈহিক সম্পর্ক ও পারিবারিক জীবনকে অবহেলা করা হয়েছে বা ঘৃণার চোখে দেখা হয়েছে। নারীকে শয়তানের দোসর মনে করা হয়েছে। স্ত্রীর সাহচর্য বা পারিবারিক জীবনকে পরকালের মুক্তি বা আল্লাহপ্রেম অর্জনের পথে অন্তরায় বলে মনে করা হয়েছে। এজন্য সন্যাস বা বৈরাগ্যকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এখনো যেখানেই তারা সুযোগ পায় সংসার ও পরিবার বর্জন করে ‘নান’ (nun), মঙ্ক (monk) বা সন্যাসী হওয়ার উৎসাহ দেয় এবং এরূপ হওয়াকে ধার্মিকতার জন্য উত্তম বলে প্রচার করে। মধ্যযুগীয় খৃস্টীয় গীর্জা ও মঠগুলোর ইতিহাসে এ সকল সন্যাসী-সন্যাসিনীর অশ্লীলতার বিবরণ পড়লে গা শিউরে ওঠে এবং আধুনিক যুগের অশ্লীল গল্পকেও হার মানায়। বস্তুত, এ সকল চিন্তা মানবতা বিরোধী ও প্রকৃতি বিরোধী। ইসলামে এরূপ চিন্তা কঠিনভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবার গঠন করা এবং পারিবারিক কাঠামোর মধ্যে নারী-পুরুষের এরূপ জৈবিক প্রেমকে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত বলে গণ্য করা হয়েছে।

মানব জাতিকে টিকিয়ে রাখতে মহান আল্লাহ মানুষের মধ্যে এ জৈবিক ভালোবাসা প্রদান করেছেন। এরূপ ভালোবাসার প্রবল আকর্ষণে মানুষ পরিবার গঠন করে, সন্তান গ্রহণ করে, পরিবার-সন্তানের জন্য সকল কষ্ট অকাতরে সহ্য করে এবং এভাবেই মানব জাতি পৃথিবীতে টিকে আছে। মানব সভ্যতা টিকিয়ে রাখার জন্য এরূপ ভালোবাসাকে একমুখী বা পরিবারমুখী করা অত্যাবশ্যকীয়। যদি কোনো সমাজে পরিবারিক সম্পর্কের বাইরে নারী-পুরুষের এরূপ ভালোবাসা সহজলভ্য হয়ে যায়, তবে সে সমাজে পরিবার গঠন ও পরিবার সংরক্ষণ অসম্ভব হয়ে যায় এবং ক্রমান্বয়ে সে সমাজ ধ্বংস হয়ে যায়। এজন্য সকল আসমানী ধর্ম ও সকল সভ্য মানুষ ব্যভিচার ও বিবাহেতর ‘ভালোবাসা’ কঠিনতম অপরাধ ও পাপ বলে গণ্য করেছে। ব্যভিচারের সকল পথ রুদ্ধ করেছে ইসলাম ইসলামে শুধু ব্যভিচারকেই নিষেধ করা হয়নি, বরং ব্যভিচারের নিকটে নিয়ে যায় বা ব্যভিচারের পথ খুলে দিতে পারে এমন সকল কর্ম কঠিনভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইরশাদ হচ্ছে,

قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ

‘বলো, আমার প্রতিপালক হারাম (নিষিদ্ধ) করেছেন সকল প্রকার অশ্লীলতা, তা প্রকাশ্য হোক আর অপ্রকাশ্য হোক।’ [সুরা আরাফ : ৩৩]

وَلا تَقْرَبُوا الزِّنَا إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল এবং নিকৃষ্ট আচরণ।’ [সুরা ইসরা : ২৮]

وَلا تَقْرَبُوا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ ‘তোমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য কোনো প্রকারের অশ্লীলতার নিকটবর্তী হয়ো না।’ [সুরা আনয়াম : ১৫১]

وَإِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً قَالُوا وَجَدْنَا عَلَيْهَا آَبَاءَنَا وَاللَّهُ أَمَرَنَا بِهَا قُلْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاءِ أَتَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ

‘যখন তারা কোনো অশ্লীল-বেহায়া কর্ম করে তখন বলে আমাদের পূর্বপুরুষরা এরূপ করতেন বলে আমরা দেখেছি এবং আল্লাহ আমাদের এরূপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বল, আল্লাহ কখনোই অশ্লীলতার নির্দেশ দেন না, তোমরা কি আল্লাহর নামে এমন কিছু বলছ যা তোমরা জান না?’ [সুরা আরাফ : ২৮]

ব্যভিচারের পথ রোধের অন্যতম দিক চক্ষু সংযত করা, অনাত্মীয় নারী-পুরুষের দিকে বা মনের মধ্যে জৈবিক কামনা সৃষ্টি করার মতো কোনো কিছুর দিকে দৃষ্টিপাত না করা।

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ... وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ

‘মুমিনদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের সম্ভ্রম হিফাজত করে... মুমিন নারীদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের সম্ভ্রম হিফাজত করে।’ [সুরা নুর : ৩০-৩১]

ইসলামে ভালোবাসা ও শত্রুতার মানদন্ড ক. কাউকে ভালোবাসা কিংবা কারো সাথে শত্রুতা পোষণের মানদন্ড হলো একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি। শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালবাসতে হবে এবং শত্রুতাও যদি কারও সাথে রাখতে হয়, তাও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন :

إِنَّ أَحَبَّ الْأَعْمَالِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ الْحُبُّ فِي اللَّهِ وَالْبُغْضُ فِي اللَّهِ

‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠ আমল হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালোবাসা এবং শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কারও সাথে শত্রুতা রাখা’। [আহমদ, আলমুসনাদ : ২০৩৪১]

খ. ঈমানের পরিচয় দিতে হলে, কাউকে ভালোবাসবার আগে আল্লাহর জন্য হৃদয়ের গভীরে সুদৃঢ় ভালোবাসা রাখতে হবে। কিছু মানুষ এর ব্যতিক্রম করে। আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন :

وَمِنْ النَّاسِ مَنْ يَتَّخِذُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَندَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ

‘আর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে এবং আল্লাহকে ভালোবাসার মতো তাদের ভালোবাসে; কিন্তু যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসায় তারা সুদৃঢ়।’ [সুরা বাকারা : ১৬৫]

গ. শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালোবাসতে হবে, নতুবা কোনো ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ পাবে না। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন :

ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلَاوَةَ الْإِيمَانِ أَنْ يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ

‘তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকে সে ঈমানের স্বাদ পায়। (ক) আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তার কাছে অন্য সব কিছু থেকে প্রিয় হওয়া। (খ) শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালোবাসা। (গ) কুফুরিতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপছন্দ করা’। [বুখারি, আসসাহিহ : ১৫]

আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ভালোবাসার ফজিলত ক. আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের মহত্বের নিমিত্তে যারা পরস্পর ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করে, কিয়ামতের দিন তাদের তিনি তাঁর রহমতের ছায়ায় জায়গা দেবেন। রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন :

إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَيْنَ الْمُتَحَابُّونَ بِجَلَالِي الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلِّيْ

‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, আমার মহত্বের নিমিত্তে পরস্পর ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপনকারীরা কোথায়? আজ আমি তাদের আমার বিশেষ ছায়ায় ছায়া দান করব। আজ এমন দিন, যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত অন্য কোনো ছায়া নেই’। [মুসলিম, আসসাহিহ : ৪৬৫৫]

إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ لَأُنَاسًا مَا هُمْ بِأَنْبِيَاءَ وَلَا شُهَدَاءَ يَغْبِطُهُمُ الْأَنْبِيَاءُ وَالشُّهَدَاءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِمَكَانِهِمْ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ تُخْبِرُنَا مَنْ هُمْ قَالَ هُمْ قَوْمٌ تَحَابُّوا بِرُوحِ اللَّهِ عَلَى غَيْرِ أَرْحَامٍ بَيْنَهُمْ وَلَا أَمْوَالٍ يَتَعَاطَوْنَهَا فَوَ اللَّهِ إِنَّ وُجُوهَهُمْ لَنُورٌ وَإِنَّهُمْ عَلَى نُورٍ لَا يَخَافُونَ إِذَا خَافَ النَّاسُ وَلَا يَحْزَنُونَ إِذَا حَزِنَ النَّاسُ

‘নিশ্চয় আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ আছে যারা নবিও নয়, শহিদও নয়; কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে তাদের সম্মানজনক অবস্থান দেখে নবি এবং শহিদগণও ঈর্ষান্বিত হবেন। সাহাবিগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদেরকে বলুন, তারা কারা? তিনি বলেন : তারা ঐ সকল লোক, যারা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই একে অপরকে ভালোবাসে। অথচ তাদের মধ্যে কোনো রক্ত সম্পর্কও নেই, এবং কোনো অর্থনৈতিক লেনদেনও নেই। আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় তাদের চেহারা হবে নুরানি এবং তারা নুরের মিম্বারে দাঁড়াবে। যে দিন মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত থাকবে, সে দিন তাদের কোনো ভয় থাকবে না। এবং যে দিন মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকবে, সে দিন তাদের কোনো চিন্তা থাকবে না’। [আবু দাউদ, আসসুনান : ৩০৬০]

পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধির উপায় পারস্পরিক ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য স্থাপিত না হলে পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়া যায় না, শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করা যায় না, এমনকি জান্নাতও লাভ করা যাবে না। তাই রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুমিনদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির জন্য একটি চমৎকার পন্থা বাতলে দিয়েছেন। তিনি বলেন :

لَا تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلَا تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا أَوَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ أَفْشُوا السَّلَامَ بَيْنَكُمْ

‘তোমরা বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার না হবে, তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করবে। আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ের কথা বলব না, যা করলে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠিত হবে? সাহাবিগণ বললেন, নিশ্চয় ইয়া রাসুলাল্লাহ! (তিনি বললেন) তোমাদের মধ্যে বহুল পরিমাণে সালামের প্রচলন করো’। [মুসলিম, আসসাহিহ : ৮১]