• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২২ আগস্ট, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

জয়কে কিডন্যাপ করে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান এবং তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার সরাসরি জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


তিনি বলেন, সরকারের মদদ না থাকলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটানো সম্ভব হতো না। এর সঙ্গে বিএনপি সরকার যদি জড়িত না থাকে, তাহলে আলামতগুলো নষ্ট করবে কেন?

ভয়াল একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ঘটায়। তার ছেলে তারেক রহমানও যে এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত-তা তাদের কথায় বেরিয়ে এসেছে। তারা কোথায় মিটিং করেছে, কীভাবে এই ষড়যন্ত্র করেছে-তা বেরিয়ে এসেছে। আসলে আমি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের টার্গেটে ছিলাম। বাংলাদেশের মানুষের জন্য কিছু করার জন্যই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। আমেরিকায় আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে কিডন্যাপ করে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। সেখানে তারা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের কাছে ধরা পড়েছিল। এফবিআইয়ের তদন্তে এটা বের হয়। এতে বিএনপির নেতা দোষী সাব্যস্ত হয় এবং সাজাপ্রাপ্ত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানকার রায়ে বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান এবং শফিক রেহমানের নাম বেরিয়ে এসেছে যে, তারা এর সঙ্গে জড়িত। শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি তারেক জিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। জয়কে যে হত্যা (চেষ্টা) করবে এটা আমরা কখনও জানতে পারতাম না, যদি এফবিআই এটা খুঁজে বের না করত।

এ ছাড়া ২১ আগস্টের ঘটনায় আমার বাঁচার কথা নয়। তিনি বলেন, মোহাম্মদ হানিফ ভাইসহ সবাই আমাকে যেভাবে ঘিরে রেখেছিলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে সেদিন আমাকে রক্ষা করেছিলেন। আমি জানি না, এরকম অবস্থায় পড়ে কোনো মানুষ বাঁচতে পারে কি না। আল্লাহ বোধহয় হাতে তুলে আমাকে বাঁচিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, হামলাকারীদের এক জায়গায় করা, তাদের ট্রেনিং দেয়া, তাদের আনা, পরবর্তী সময়ে তাদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। তাদের মনে হয়েছিল, আমি মারা গেছি। যখন শুনেছে আমি মারা যাইনি, তখন তাদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। হামলাকারীরা যাতে নির্বিঘ্নে এলাকা ত্যাগ করতে পারে, সেই সুযোগটা সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছিল। সরকারের মদদ না থাকলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এভাবে হতে পারত না।

তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এর সঙ্গে বিএনপি সরকার যদি জড়িত না থাকবে, তাহলে তারা আলামতগুলো কেন নষ্ট করবে? গ্রেনেড হামলার পরই সিটি কর্পোরেশনের তখনকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা লোকজন নিয়ে পুরো এলাকা ধুয়ে ফেলে।

তিনি বলেন, রমনা ভবনের এক কোনায় যে গ্রেনেডটা পাওয়া গিয়েছিল, সেটা বিস্ফোরিত হয়নি। সেই গ্রেনেডটা একজন সেনা অফিসার আলামত হিসেবে রাখতে চেয়েছিলেন বলে খালেদা জিয়া তাকে চাকরিচ্যুত করেছিলেন। কোনো আলামতই তারা রাখতে চায়নি। এরপর একটা নাটক সৃষ্টি করেছিল।


হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে খালেদা জিয়া জড়িত মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, একেকটা ঘটনা ঘটানোর আগে খালেদা জিয়া বক্তৃতা দিয়েছেন। যখন কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল, তার আগে তিনি বলেছিলেন: ‘আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না!’ আবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল: ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, বিরোধীদলীয় নেতাও কোনোদিন হতে পারবেন না।’ এ ভবিষ্যদ্বাণী খালেদা জিয়া কীভাবে দিয়েছিলেন? কারণ, তাদের চক্রান্তই ছিল আমাকে তারা হত্যা করে ফেলবে, তাহলে তো আমি কিছুই হতে পারব না। প্রতিটি ঘটনার আগে খালেদা জিয়ার বক্তৃতা যদি আপনারা দেখেন, তাহলেই প্রমাণ পেয়ে যাবেন।

২১ আগস্টের ঘটনা নিয়ে সংসদে তৎকালীন বিরোধী দলকে কোনো কথা বলতে দেয়া হয়নি জানিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অনেক সংসদ সদস্য গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছেন। আমরা যখন এটা নিয়ে আলোচনা করতে চাইলাম। একটা রেজুলেশন নিতে চাইলাম অপজিশন থেকে-খালেদা জিয়া সেটা হতে দেননি। আলোচনা করতে দেননি। সংসদ নেতা হয়ে (খালেদা জিয়া) তিনি বলে দিলেন, ‘ওনাকে আবার কে মারবে?’ এরকম তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে আমাদের কোনো কথা বলতে দেননি। তিনি বলেন, সংসদে কথা বলতে আমাদের কাউকে মাইক দেয়নি। আলোচনা করতে দেয়নি। এতে কী প্রমাণ হয়? তারা যদি সরাসরি জড়িত না থাকত, তাহলে কি তারা এভাবে বাধা দিত?

গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসায় বাধা দেয়া হয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অন্য দেশ হলে কী করত-সঙ্গে সঙ্গে পুলিশসহ অন্য সবাই ছুটে আসত আহতদের সাহায্য করতে, উদ্ধার করতে, চিকিৎসা করতে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, সেখানে কোনো রোগী ঢুকতে পারবে না, যেতে পারবে না, চিকিৎসা নিতে পারবে না। ঢাকা মেডিকেল কলেজে বিএনপির কোনো ডাক্তার সেখানে উপস্থিত নেই। যাদের ডিউটি ছিল তারাও নেই। কারণ, রোগীদের চিকিৎসা করবে না। আমাদের ডাক্তাররা সেখানে ছুটে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরে কত হাসপাতাল, কত ক্লিনিক আছে, সেটা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর আমরা জানতে পারি। নেতাকর্মীরা সারা ঢাকা শহরের যে যেখানে পেরেছে আহতদের নিয়ে গেছে। আহতদের সাহায্য করতে আসা নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দূরে ছিল তারা যখন ছুটে আসে, পুলিশ তাদের টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে, লাঠিপেটা করে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল।

গ্রেনেড হামলার ভয়াবহতার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এ ধরনের গ্রেনেড হামলা বোধহয় পৃথিবীতে আর কখনও কোথাও ঘটেনি। সাধারণত রণক্ষেত্রে, যুদ্ধক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু আমাদের সেই র‌্যালিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। ভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে গেছি। কিন্তু সেদিন আইভি রহমানসহ আমাদের ২২ জন নেতাকর্মী শাহাদতবরণ করেছেন। সেই সঙ্গে অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, অনেকে আহত হয়ে পথে মারা গেছেন।

মানুষের জন্য কিছু করার জন্যই আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য যাতে কিছু করতে পারি, সে জন্যই হয়তো বেঁচে গেছি। নইলে এরকম অবস্থা থেকে বেঁচে আসা অত্যন্ত কঠিন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে বহুবার বিভিন্ন হামলার শিকার হয়েছি; কিন্তু একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া নিশ্চয়ই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কিছু কাজ রেখে দিয়েছেন, যেটা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত হয়তো কাজ করে যেতে পারব। আল্লাহ সেই সুযোগ দেবেন। দেশটাকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে উলে­খ করে শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেই হত্যাকাণ্ড শুধু রাষ্ট্রপতিকে নয়, একটি পরিবারের সদস্যদেরও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এরপর আমাদের আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। কত লাশ যে আমাদের টানতে হয়েছে! বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন অভিযোগ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমাদের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে স্মরণ করাতে চাই-বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছিল, বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়েছিল। ওই চক্রান্তের সঙ্গে খন্দকার মোশতাক যেমন জড়িত, সেই সঙ্গে জিয়াউর রহমান গংও জড়িত। কারণ, খন্দকার মোশতাক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান করেছিল। আবার জিয়াউর রহমানই সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেন, পুরস্কৃত করেন। তাদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠতাও ছিল। খুনি কর্নেল রশিদ-ফারুক বিবিসির ইন্টারভিউয়ে খুব স্পষ্টভাবে বলেছিল: জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খুনিদের যে সম্পর্ক ছিল, এটা তো আজ দিবালোকের মতো স্পষ্ট।

আওয়ামী লীগই দেশের মানুষকে প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ দিয়েছিল উল্লেখ করে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি আমরা। ২১ বছর পর সরকারে এসেছিলাম (১৯৯৬ সালে)। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই এ দেশের মানুষ প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিল এবং সরকার যে জনগণের জন্য কাজ করে, সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছিল। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়েছিল। ২০০১ সালে এক গভীর চক্রান্ত করে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। আমরা যে ভোট পাইনি, তা নয়। কিন্তু সেখানে একটা বিরাট ষড়যন্ত্র ছিল।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা সংকটকালে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ প্রতিটি সহযোগী সংগঠন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এমনকি ধান কাটার সময় তারা ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিয়ে সহযোগিতা করেছে। এখনও ত্রাণ দিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে এ ত্রাণ দিতে গিয়ে দলের অনেক নেতাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। করোনার সময় পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসনের সবাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আর দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি? করোনার কারণে আজ আপনাদের সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে পারলাম না-এ জন্য বড় দুঃখ।

তিনি বলেন, আজ যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না হতো, তাহলে এভাবে আলোচনা করা হয়তো সম্ভব হতো না। সে জন্য আমি জয়কে ফোন করেছিলাম এবং তাকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছি যে, ‘তুমি যদি ডিজিটাল করে না দিতে, তাহলে হয়তো এইভাবে ভার্চুয়ালি আলোচনা করা সম্ভব হতো না। আজ ভিডিও কনফারেন্সে যেসব কার্যক্রম চালাচ্ছে এগুলো হয়তো পরিচালনা করা সম্ভব হতো না।’

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা এ দেশ স্বাধীন করেছেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তার স্বপ্নপূরণে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু হঠাৎ করোনায় সবকিছু স্থবির হয়ে গেছে। সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখছি। দেশটা যেন আরও সামনে এগিয়ে নিতে পারি সে জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব-এটাই হল প্রতিজ্ঞা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। এ সময় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ২১ আগস্ট নিহতদের স্মরণে দলীয় কার্যালয়ের নিচে স্থাপিত বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।