• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

৭০ শতাংশেরও বেশি অভিনেতা-অভিনেত্রী মাদকাসক্ত

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে বেরিয়ে আসছে বলিউডের অনেক অজানা গল্প। সুশান্তের বান্ধবী এবং অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর মাদকদ্রব্য সরবরাহে জড়িত থাকার কথিত অভিযোগে নড়েচড়ে বসেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। জানা গেছে, মাদকে আসক্ত ছিলেন সুশান্ত। তাকে মাদক সরবরাহ করতে সাহায্য করতেন রিয়া।

সুশান্ত মামলা তদন্তের সঙ্গে জড়িত একজন কর্তাব্যক্তি ভারতের জি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বলিউডের ৭০ শতাংশেরও বেশি অভিনেতা-অভিনেত্রী মাদকদ্রব্য সেবন করেন।

এছাড়া অনেক নির্মাতা-কলাকুশলীরাও মাদকে আসক্ত। তিনি আরো জানান, ভারতের তারকাদের মধ্যে ‘এমডি’ সবথেকে বেশি প্রচলিত একটি ড্রাগ। যা হিন্দিতে ‘গাঞ্জা’ নামে পরিচিত।

তথ্যদাতা আরো জানান, সবথেকে দামি গাঁজাগুলো সেবন করে থাকে তারা। যা প্রতি গ্রাম বিক্রি হয় পাঁচ হাজার রুপি করে।

সাধারণত বান্দ্রা জুহু অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীরা এগুলো বলিউডে সরবরাহ করে থাকেন। এক্ষেত্রে নারী তারকাদের চেয়ে পুরুষরাই অবশ্য এগিয়ে।

অভিনেতারা কখনো সামনাসামনি না আসলেও তারা তাদের গাড়ির ড্রাইভার এবং কাজের লোকদের দিয়ে এগুলো সংগ্রহ করে থাকেন।

তবে বারবার কোড বদলিয়ে ড্রাগ বিক্রি করতে আসা এই ড্রাগ ব্যবসায়ীদের নাম সরাসরি গণমাধ্যমকে বলতে পারলেন না তিনি।

শুধু দক্ষিণ মুম্বাই এবং বান্দ্রা জহুর মতো উন্নত এলাকাগুলোতে চিংকু পাঠান নামের একজন ড্রাগ সরবরাহ করেন বলে নাম প্রকাশ করেন তিনি।

ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরো যোগ করেন, ড্রাগ ডিলারগুলো মুম্বাই ঢুকে সাধারণত গুজরাট এবং পাঞ্জাবের রাস্তার সাহায্য নিয়ে বাজার বিস্তার করেছে।

আর অভিনেতারা বেশ বড় পরিমাণে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে। তাই বেশ রমরমা মাদকদ্রব্যের বাজার হয়ে উঠেছে বলিউড।

এদিকে তামিল-তেলেগুসহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যের শোবিজে মাদকের প্রভাব কেমন তার কোনো সঠিক তথ্য উপাত্ত নেই পুলিশ বা গোয়েন্দাদের কাছে।

শিগগিরই এই ব্যাপারেও নজরদারি বাড়ানো হোক বলে দাবি উঠছে। কারণ দ্রুতই মাদকের সঙ্গে সংস্কৃতির চর্চা করা মানুষদের এই সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভারতকে ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে চড়া মূল্য দিতে হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।