• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

বিচার না পেয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর আত্মহত্যা

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূ বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে গোদাগাড়ীর কাঁকনহাটের ঘিয়াপুকুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ স্থানীয় কাউন্সিলরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার (সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: কাঁকনহাট পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশু, আকবর আলী, মেরাজুল ইসলাম। প্রত্যেকের বাড়ি ঘিয়াপুকুর মহল্লায়। তবে অভিযুক্ত মূল ধর্ষক মফিজুল ইসলামকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মফিজুলের বাবার নাম আতাউর রহমান।

নিহত গৃহবধূর নাম সখিনা বেগম (৩৫)। তার বাড়ি জেলার গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ঘিয়াপুকুর মহল্লায়। তার স্বামীর নাম কামাল হোসেন। কামাল চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামে থাকেন।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাতে মফিজুল ইসলাম দুই সন্তানের মা সখিনা বেগমের ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশী আকবর আলী ও মেরাজুল ইসলাম ধর্ষক মফিজুলকে ধরে কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশুর কাছে নিয়ে যান। কিন্তু কাউন্সিলরসহ সবাই মিলে রাতেই মফিজুলকে ছেড়ে দেন। এরপর ক্ষোভে রাতেই ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

গোদাগাড়ী থানার ওসি খাইরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে তদন্তে আমরা ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত ও ধর্ষণ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিলো। আলামত সংগ্রহ করে তার মরদেহ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, পুলিশকে না জানিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। সে কারণে পৌর কাউন্সিলরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আপাতত তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণ ও তার আত্মহত্যা প্ররোচণার ঘটনায় থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় কারাগারে পাঠানো তিনজনসহ মোট চারজনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে ধর্ষণে অভিযুক্ত মফিজুলকে। তিনি পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।