• ❐ www.crimeprotidin.com ❐ ৮ম বর্ষ ❐ ঢাকা ❐ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ❐ dailycrimeprotidin@gmail.com ❐

লক্ষ্মীপুরে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১২

ক্রাইম প্রতিদিন ডেস্ক

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার বিকালে রামগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একাংশের নেতাকর্মীরা পৌরসভা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। একপর্যায়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান মাসুদসহ অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পৌরসভা কার্যালয় এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০ অক্টোবর উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ে ওই ইউনিয়নে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছিল।

সেখানে যোগ দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টু ও পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে পৌরসভা কার্যালয়ের ভেতরে জড়ো হন। এসময় লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের এমপি আনোয়ার হোসেন খানের শতাধিক অনুসারী পৌরসভার প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এতে নেতাকর্মীরা পৌরসভা কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে ভেতরে থাকা নেতাকর্মীরা তালাটি ভেঙে ফেলে। এ নিয়ে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষ ও ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এতে আওয়ামী লীগ নেতা রাকিবুল হাসান মাসুদ ও পৌরসভার কাউন্সিলর আরিফুল ইসলামসহ উভয়পক্ষের ১২ নেতাকর্মী আহত হয়। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এর মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন হোসেন ও মামুন হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, আনোয়ার খান এমপির অনুসারী ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা পৌরসভার গেইটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। এসময় তারা বৃষ্টির মতো পৌরসভা কার্যালয়ে ভেতরে অবস্থান নেয়া আমাদের নেতাকর্মীর ওপর ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। নেতাকর্মীদের আহত করে তারা ৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে।

আনোয়ার খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ফয়সাল মাল বলেন, ঘটনার সময় আমরা ইছাপুরে সভা করছিলাম। ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।

রামগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

প্রসঙ্গত, ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ উল্যা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সেখানে চেয়ারম্যান পদে শহীদ উল্যার স্ত্রী শাহনাজ আক্তারকে দলীয় তৃণমূলের সমর্থন দেয়ার জন্য এমপি চেয়েছিলেন।

কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম ফারুকসহ (এসআই ফারুক) কয়েকজন প্রার্থী অনড় থাকায় দু’পক্ষের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়।